শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দ. আফ্রিকা
জয়ের জন্য নিজেদের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ১৪৮ রানের লক্ষ্যটি মামুলিই বটে। তবে পাকিস্তানের আব্বাস আফ্রিদির পেস আক্রমণে দিশেহারা প্রোটিয়া শিবিরের ৯৯ রানে অষ্টম উইকেটের পতনে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল পাকিস্তান। এতটা কাছে থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা আরও একবার চোকার্স তকমা পাবে এমনটিই হয়তো ভাবতে বসেছিলেন অনেকে। পুরো ম্যাচে বোলিংয়ে নিস্তেজ ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন কাগিসো রাবাদা। মার্কো ইয়ানসেনকে নিয়ে যে প্রতিরোধী জুটি তিনি গড়েন তাতেই ম্যাচের ফয়সালা হয়। ২ উইকেটে ম্যাচ জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার পুরো ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছেন দুই দলের পেসাররা। ম্যাচের ৩৮টি উইকেটের মধ্যে কেবল একটি ছাড়া সবগুলো পড়েছে পেস আক্রমণের কাছে হার মেনে। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ২১১ রানের জবাবে প্রোটিয়ারা তোলে ৩০১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ২৩৭ রানে। তাতে ১৪৮ রানের সহজ লক্ষ্য পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তৃতীয় দিনের শেষ দিকে ১৯ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জয়ের জন্য ১২১ রান ও হাতে ৭ উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে প্রোটিয়ারা। এই অবস্থায় প্রোটিয়াদের জন্য ভয়ংকর হয়ে ওঠেন তিন বছর পর টেস্ট একাদশে সুযোগ পাওয়া পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আব্বাস। এইডেন মার্করাম ও টেম্বা বাভুমার ৪৩ রানের জুটি ভেঙে দিয়ে স্বাগতিক মনোবলে চির ধরান তিনি। এর পর তুলে নেন ৬ উইকেট। এতে ৯৬ থেকে ৯৯ রানে যেতে প্রোটিয়ারা হারায় ৪ ব্যাটসম্যানকে।
এর পর কাগিসো রাবাদা-মার্কো ইয়ানসেন জুটি বাঁধেন। ২৪ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকা ইয়ানসেন সামাল দেন চাপ। আর রাবাদার ২৬ বলে ৩১ রানের ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ জেতার সঙ্গে নিশ্চিত হয় ফাইনালের টিকিট। প্রথম ইনিংসে ৮৯ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭ রানের ইনিংসের সুবাদে ম্যাচসেরা হন এইডেন মার্করাম।
আরটিভি/এমএম-টি
মন্তব্য করুন