বরিশালকে বিধ্বস্ত করে হ্যাটট্রিক জয় রংপুর রাইডার্সের
গ্লোবাল সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বিপিএলে খেলতে নেমেছে রংপুর রাইডার্স। মাহেদী-সোহানরা গায়নার সেই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে মিরপুরেও। ঢাকা ক্যাপিটালসকে হারিয়ে উড়ন্ত শুরু পেয়েছিল বসুন্ধরা গ্রুপের দলটি। এরপর সিলেট ও বরিশালকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিক জয় তুলে নিয়েছে রংপুর।
নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে সোহানের দল। বিপরীতে এক ম্যাচ পরই হারের তিতো স্বাদ পেল তামিম-মুশফিকরা। রাজশাহীকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল বরিশাল।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে রংপুরকে ১২৫ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় বরিশাল। জবাব দিতে নেমে ৩০ বল এবং ৮ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রংপুর। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ডাক আউট হন অভিষিক্ত আজিজুল হক তামিম। দুই বল পরে তার দেখানো পথে হাঁটেন তৌফিক খান। এতে দলীয় ১৫ রানে ২ উইকেট হারায় রংপুর।
আরেক ওপেনার অ্যালেক্সকে সঙ্গে নিয়ে রংপুর শিবিরের হাল ধরেন সাইফ হাসান। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪৮ রান এবং ১২ ওভারে ১০০ রানের কোটা পূরণ করে উত্তরবঙ্গের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সেই সঙ্গে ৩৯ বলে ফিফটি তুলে নেন সাইফ।
শেষ পর্যন্ত অ্যালেক্স হেলসের ৪১ বলের ৪৯ রান এবং সাইফ হাসানের ৪৫ বলে অপরাজিত ৬১ রানে ভর করে ৩০ বল এবং ৮ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর।
বরিশালের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন ইকবাল হোসেন ইমন।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বরিশাল। ১০ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়ও। ৬ বলে ৪ রান করেন তিনি।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তোলার চেষ্টা করতে থাকেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৮ বলে ২৮ রান করে নাহিদের বলে বোল্ড আউট হন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবং কাইল মায়ার্স।
১৭ বলে ১৫ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন মুশফিক, আর ১৩ বলে ১৪ রান করে ক্যাচ আউট হন মায়ার্স। এরপর ৩ বলে ১ রান করে ফাহিম আশরাফ আউট হলে দলীয় ৮০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল।
এদিন বরিশালকে বিপদ থেকে রক্ষ করতে পারেনি অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ৮ বলে ১০ রান করে খুশদিল শাহ বলে প্লে-ডাউন হন তিনি। ১৬তম ওভারে ১০০ রানের কোটা পার বরিশাল।
শাহিন শাহ আফ্রিদি (৮), তানভীর ইসলাম ৬ রানে আউট হলে রান তোলার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ নবি। ১৯তম ওভারে দ্বিতীয় বলে এই আফগান তারকা আউট হলে ১০ বল হাতে থাকতেই ১২৪ রানে অলআউট হয় বরিশাল। ১৯ বলে ২১ রান করেন নবি।
আরটিভি/এসআর/এস
মন্তব্য করুন