বরিশাল শিবিরে যোগ দিয়ে যে কারণে হতাশ মালান
বর্তমান সময়ে বিপিএল ও আইএল টি-টোয়েন্টি লিগ ছাড়াও মাঠে গড়িয়েছে বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। তবে অন্য সবগুলোকে দূরে রেখে বিপিএলকে বেছে নিয়েছেন ডেভিড মালান। পুরো টুর্নামেন্টের জন্য এই ইংলিশ তারকা ব্যাটারকে দলে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে চুক্তি করায় হতাশ হয়েছেন মালান।
বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগেই বরিশাল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টানা পাঁচ ম্যাচ বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে মালানকে। যা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মালান।
এ সময় তিনি বলেন, যখন একসঙ্গে ৪টা লিগ চলছে, কিন্তু একটাতে পুরো আসরের জন্য চুক্তি করে বসে থাকতে হয়, সেটা তো হতাশারই। বিশেষ করে যখন অন্য লিগে খেলার সুযোগ ছিল।
বরিশালের ষষ্ঠ ম্যাচের একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন মালান। সুযোগ কাজে লাগাতেও ভুল করেন তিনি। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ৪১ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন এই মারকুটে ব্যাটার।
ম্যাচ না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করলেও বিপিএল ও ডিপিএলকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মালান। কারণ, ৩০ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের জার্সিতে অভিষেকের হওয়ার আগে নিয়মিত খেলেছেন বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে, কঠিন কন্ডিশনের জন্য ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে যে সব ঘটনার ভূমিকা ছিল, তাতে বাংলাদেশকে বিশেষভাবেই স্মরণ করেন ম্যালান।
এই ইংলিশ ব্যাটার বলেন, আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের বিশেষ একটি অবস্থান আছে। এখানে আমি ১০-১১ বছর আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট খেলেছি। পাকিস্তান সুপার লিগের মতো এই লিগও আমাকে ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের উন্নতি ঘটাতে, ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে ভালো করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।
ম্যালান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে, প্রাইম দোলেশ্বরে। এরপর ২০১৫-১৬ মৌসুমে পিএসএলে খেলে ২০১৬-১৭ থেকে বিপিএলে খেলতে শুরু করেন। প্রথমবার ছিলেন বরিশাল বুলসে, পরে খেলেছেন খুলনা টাইটানস, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সে।
এরপর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ায় ২০১৯ সালের পর আর বিপিএলে আসেননি। এর মধ্যে ২০২০ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে ওঠেন, ২০২১ সালে খেলেন আইপিএলেও।
তাই বিপিএলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ম্যালান বলেন, আমি বিপিএল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি সব সময়ই কৃতজ্ঞ, তারা আমাকে খেলার সুযোগ করে দিয়ে উন্নতি করতে সাহায্য করেছে। এই সাহায্যটা না পেলে আমি যে খেলোয়াড় হয়ে উঠেছি, সেটা হয়তো হতে পারতাম না।
আরটিভি/এসআর
মন্তব্য করুন