আকর্ষণ রেখেই জিম ছাড়ল সাহেল মুর্তজা
আসন্ন ত্রিদেশীয় ও শ্রীলঙ্কা সিরিজকে সামনে রেখে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। তবে মূল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দুইদিন বিশ্রাম পেয়েছে টাইগাররা। বৃহস্পতিবারের সঙ্গে শুক্রবারও ছুটি তাদের। ধরেই নেয়া হচ্ছিল স্টেডিয়ামমুখী হবেন না কেউ। তাই মিরপুর স্টেডিয়ামে যেন নেমে এসেছে রাজ্যের নীরবতা। আর এ নীরবতা ভাঙতেই যেন ছেলে সাহেল মুর্তজা ও মেয়ে হুমাইরা মুর্তজাকে নিয়ে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে এলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
আরও পড়ুন
অনুশীলন না থাকলেও সকালে জিমনেশিয়ামে সময় কাটিয়েছেন সদ্য টেস্ট নেতৃত্ব থেকে বাদ পড়া মুশফিকুর রহীম। তার সঙ্গে ছিলেন সাব্বির রহমানও। তবে বেলা বাড়তেই জিমে ঘাম ঝড়িয়ে চলে যান এ দুই তারকা। এরপর মিরপুর স্টেডিয়ামে যেন স্তব্ধ নীরবতা বিরাজ করছিল। তাই ভাঙতে দুপুর পৌনে ১ টার দিকে ছেলে মেয়েকে নিয়ে জিমে আসেন মাশরাফি। আর ছেলে মেয়েরা ফাঁকা জিম পেয়ে শুরু করেন দৌড়াদৌড়ি ছোটাছুটি।
জিমের পাশেই একাডেমি মাঠ। ফাঁকা মাঠে গিয়ে সন্তানদের কয়েকবার খেলতে বললেন মাশরাফি। সন্তানরা সে কথায় কান দিতে নারাজ। বাবার সংস্পর্শে জিমে থাকতেই যেন রাজ্যের আনন্দ।
জিমের সঙ্গে মাশরাফির সখ্যতা গড়ে দিয়েছে ইনজুরি। দুই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে সাতবার। তবুও খেলে যাচ্ছেন। দিয়ে যাচ্ছেন নেতৃত্ব। নিজেকে ফিট রাখতে জিমে দিতে হয় বাড়তি সময়। স্টেডিয়ামে এলে ছেলেমেয়েরাও সবার আগে ছুটে যায় জিমে। দুরন্তপনায় মাততে ওটাই তাদের পছন্দের জায়গা।
দুই ছেলে মেয়েকে গৃহপরিচারিকার তত্ত্বাবধানে রেখে জিম করতে যান মাশরাফি। কিন্তু বাবাকে দেখে দুইজনই আবদার করেন তারাও করবে জিম। আর ছেলেমেয়ের আবদার মেটাতে তাদেরই আগে কসরত শেখাতে থাকেন অধিনায়ক। বেশ কিছুক্ষণ তাদের সঙ্গে থাকার পর নিজে শুরু করেন অনুশীলন। আর এ সময় পুরো জিম দৌড়ে বেড়ান সাহেল ও হুমাইরা। এই মেশিন ছেড়ে ওই মেশিন। তাদের কৌতূহল যেন থামেই না।
শুধু তাই নয়, এক পর্যায়ে মাশরাফির অনেক অনুরোধে উপস্থিত সাংবাদিকদের নেচেও দেখান সাহেল। আর পাশে বসে ছেলেকে তখন হাততালি দিয়ে উৎসাহ দেন মাশরাফি। আবার নিজেই গান ‘আই অ্যাম এ ডিস্কো ড্যান্সার।’ সাহেল নাকি মজার আরেকটা জিনিস পারে। তবে সেটি কোনোভাবেই ‘ফাঁস’ হল না। স্টেডিয়াম ছাড়ার সময় জানিয়ে গেল, অন্য আরেক দিন।
আরও পড়ুন
এএ
মন্তব্য করুন