চিটাগংকে হারিয়ে টিকে রইল ঢাকা
চিটাগং কিংসকে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। ১০ ম্যাচে তৃতীয় জয়ে প্লে-অফের আশা বেঁচে রইল শাকিব খানের মালিকানাধীন দলটির। লিগ পর্বের শেষভাগে জ্বলে উঠেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। দুদিন আগে এক রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারানোর পর এবার চিটাগং কিংসকে ধসিয়ে দিয়েছে তারা।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান তুলতে পারে চিটাগাং। ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ঢাকা ক্যাপিটালসকে। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের হার না মানা হাফ-সেঞ্চুরিতে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা। হার দিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করল চিটাগং কিংস।
এই জয়ে শীর্ষ চারে উঠল ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬। আর ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পাওয়া চিটাগাং নেমে গেল তিনে। ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে গেছে ফরচুন বরিশাল। আর ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে রংপুর রাইডার্স।
ঢাকা ক্যাপিটালসের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন তানজিদ। ৫৪ বলে ৯০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৩ চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা মারেন তিনি। এবারের আসরে তার মোট ছক্কা হলো ২৯টি। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক আসরে এটিই সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। অন্য ওপেনার লিটন দাস খেলেছেন ধীর গতিতে। ২৮ বলে ৩ চারে ২৫ রান করে ফিরেছেন তিনি। ৯ বলে ১ ছক্কায় ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন সাব্বির রহমান।
চিটাগংয়ের পক্ষে একটি করে উইকেট পেয়েছেন আলিস আল ইসলাম এবং হোসেন তালাত।
চিটাগংয়ের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ ৪৪ রান এসেছে ওপেনার নাঈম ইসলামের ব্যাটে। ২৩ রান করেছেন আরেক ওপেনার জুবায়েদ আকবরী। বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন তিনে নামা গ্রাহাম ক্লার্ক (১৯), হোসেন তালাত (২) ও শামিম হোসেন (১৫)। শেষদিকে দলের রান দেড়শর কাছাকাছি পৌঁছে দিতে ৮ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মিঠুন।
ঢাকার বোলারদের মধ্যে দাপুটে বোলিং করেন মোস্তাফিজুর রহমান। উইকেট না পেলেও চার ওভারে খরচ করেন মোটে ১৮ রান। দিনের অন্যতম সফল বলা যায় মোসাদ্দেক হোসেনকে। বিপিএলের মাঝপথে দলে পাওয়া মোসাদ্দেক ৩ ওভারে ১৩ রানে নেন ২ উইকেট। দুটি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন নাজমুল ইসলামও।
আরটিভি/ডিসিএনই-টি
মন্তব্য করুন