নাঈমের ধীরগতির ইনিংসে কপাল পুড়ল খুলনার, বরিশালের ষষ্ঠ জয়
খুলনার টাইগার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছিল বরিশালের ব্যাটারদের। মাহমুদউল্লাহ ও রিশাদের ব্যাটে ভর করে লড়াকু পুঁজি পাওয়ার বোলিংয়ে নিজেদের জাত চিনিয়েছেন জাহানদাদ খানরা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে খুলনাকে ৭ রানে হারিয়েছে বরিশাল। ৫৯ বলে ৭৭ রান করেও খুলনা জেতাতে পারেননি নাঈম শেখ। বিপরীতে তার ধীরগতির ইনিংসেই কপাল পুড়েছে মিরাজদের।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) আগে ব্যাট করতে নেমে খুলনাকে ১৬৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বরিশাল। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলতে পেরেছে খুলনা। এতে ৭ রানের জয় পেয়েছে ফরচুন বরিশাল।
জবাব দিতে নেমে ২ বলে শূন্য রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। এরপর মিরাজ ও নাঈম পিচে থাকলেও বরিশালের বোলারদের রীতিমতো ডটবল উপহার দিতে থাকেন। ২৯ বলে ৩৩ রান করে করে ক্যাচ আউট হন মিরাজ। ৭ বলে ৪ রান করে ফেরেন অ্যালেক্স রোস।
এরপর পিচে এসে শুরুতে ব্যাট চালাতে থাকলেও পরের বলে বলে ডট দিতে থাকেন আফিফও। দলের যখন বলে বাউন্ডারি প্রয়োজন তখন ৪৯ বলে ফিফটি তুলে নেন নাঈম ইসলাম।
১৭তম ওভারে প্রথম বলে আফিফকে জীবন ফিরিয়ে দেন মালান। তবে পরের বলেই আবারও আউট হন বাঁহাতি ব্যাটার। ১৭ বলে ১৭ রান করে আউট হন তিনি। ২ বলে ২ রান করে রান আউট মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও।
শেষ ওভারে খুলনার লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫ রান। প্রথম তিন বলে ১২ রান তুলে আশা জাগালেও চতুর্থ বলে ক্যাচ আউট হন নাঈম। ৫৯ বলে ৭৭ রান করেন তিনি। পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মারলেও শেষ রক্ষা হয়নি খুলনার। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলতে পেরেছে তারা। এতে ৭ রানের জয় পেয়েছে ফরচুন বরিশাল।
বরিশালের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন জাহানাব খান। এ ছাড়াও মোহাম্মদ নবী, রিপন মন্ডল ও রিশাদ হোসেন একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বরিশাল। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে তামিম ইকবালকে এবং পরের বলে ডেভিড মালানকে ডাক আউট করে জোড়া উইকেট তুলে নেন মিরাজ। এরপর ৪ বলে ৫ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন মুশফিকুর রহিম। এতে ১৬ রানে ৩ উইকেট হারায় বরিশাল।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামা তাওহীদ হৃদয়। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ৩০ বলে ৩৬ রান করে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এরপর মোহাম্মদ নবি (১) ও ফাহিম আশরাফ ৯ রান করে আউট হলে দলীয় ৮৭ রানে ৬ উইকেট হারায় বরিশাল।
কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করতে থাকেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে সঙ্গে দিয়ে ব্যাট চালাতে থাকে রিশাদ হোসেনও। ৪৪ বলে ফিফটি তুলে নেন রিয়াদ। তবে পরের বলেই ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার।
মাহমুদউল্লাহ আউট হলেও ব্যাট চালিয়ে রান তুলতে থাকেন রিশাদ। ৫ বলে ১০ রান করে আউট হন জাহানাব খান। ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে রান আউট হন রিশাদ। তার আগে ১৯ বলে ৩৯ রানের ক্যামিও ইনিংসের খেলেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তানভীরের ৪ বলে ১২ রানে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানের পুঁজি পেয়েছিল বরিশাল।
আরটিভি/এসআর
মন্তব্য করুন