ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ‘হল অফ ফেমে’ যুক্ত হলেন ক্লার্ক
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন হলেন মাইকেল ক্লার্ক। তার নেতৃত্বে ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুলেছিল অজিরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার প্রায় এক দশক পর এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে ‘হল অব ফেমে’ অন্তর্ভুক্ত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এই খেতাব গ্রহণ করেন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার ৬৪তম ক্রিকেটার হিসেবে হল অফ ফেমে যুক্ত হয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে মাইকেল ক্লার্ক বলেন, ছেলেবেলায় যেসব দারুণ খেলোয়াড়দের আদর্শ ও রোল মডেল মেনে বেড়ে উঠেছি, তাদের সঙ্গে একই কাতারে বসার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। অবসর নিজের ভেতরে অনেক পরিবর্তন বয়ে আনে। এখন যখন ক্রিকেট দেখি, তখন কিছু মুহূর্ত খুব মিস করি। সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেললে মানুষ কেবল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলে, তবে আমার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ছয় বছর বয়সে।
অবসর নিয়েছে ৩৪ বছর বয়সে, সুতরাং এটাই আমার জীবন। এখনও ক্রিকেট আমার জীবনের অংশ। ক্রিকেট অনেকটাই জীবনের মতো। আপনি যখন সেঞ্চুরি করেন তখন ব্যাট উঁচিয়ে অভিবাদনের জবাব দেন। কিন্তু এরপর ফিল্ডিংয়ে নেমে ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ মিস করে বসেন।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকটা দুর্দান্তভাবে রাঙান ক্লার্ক। ভারতের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু টেস্টে ১৫১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরাও হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ২০০৫ সালের শেষ দিকে অবশ্য দল থেকে বাদ পড়েন। তবে ফেরার পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
১২ বছরের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১১৫টি টেস্ট, ২৪৫টি ওয়ানডে এবং ৩৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে তার রান সংখ্যা ১৭ হাজারেরও বেশি। ৪৭টি টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া এই অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়াকে ২০১৩-১৪ অ্যাশেজে ৫-০ ব্যবধানে ঐতিহাসিক জয় এবং ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দেন।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি পার্ট-টাইম বোলার হিসেবেও খ্যাতি ছিল ক্লার্কের। অভিষেক সিরিজেই মুম্বাই টেস্টে বাঁ-হাতি অফস্পিনে কেবল ৯ রানে ৬ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ২০০৮ সালে ভারতের বিপক্ষেই কেবল ১.৫ ওভারে ৫ রান খরচে ৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজ জেতাতে ভূমিকা রাখেন সাবেক এই অধিনায়ক।
অনুষ্ঠানে হল অব ফেমের চেয়ারম্যান পিটার কিং বলেন, মাইকেলের অসাধারণ প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুরু হয়েছিল। এখানেই তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের জন্ম দিয়েছেন, যার মধ্যে ২০১২ সালে ভারতের বিপক্ষে ট্রিপল সেঞ্চুরি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মাইকেলের ক্যারিয়ার অস্ট্রেলিয়ান জনগণের কাছে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে এবং তিনি সর্বকালের সেরাদের কাতারে স্থান করে নিয়েছেন।
আরটিভি/এসআর-টি
মন্তব্য করুন