বিসিবি সভাপতি
‘ফিক্সিং প্রমাণিত হলে জড়িত ক্রিকেটারদের জীবন কঠিন করে তুলব’
নানা আলোচনা আর বিতর্ক দিয়ে শেষ হতে চলেছে বিপিএলের ১১তম আসর। শেষ দিকে যোগ হয়েছে আরও একটি কলঙ্ক গাঁয়ে মাখলো ফারুক আহমেদে আমলের প্রথম বিপিএল। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের উপর। এই ঘটনা জানতে পেরে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
স্পট ফিক্সিং করছে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে অ্যান্টি করাপশন ইউনিট (অ্যাকু)। যা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। কারও বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ‘জীবন কঠিন করে তোলার’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
ফারুক বলেছেন, তদন্ত এখনও চলমান থাকায় আমাদের কিছু প্রোটোকল মেনে চলতে হয়। সে কারণে আমি আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে পারব না। পুরো তালিকা এবং যেসব ম্যাচ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেসব আমাদের নজরে আছে এবং সেসব নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।
কঠিন শাস্তির হুমকি দিয়ে তিনি আরও বলেন, যদি তদন্তে কোনো কিছু (প্রমাণ) বেরিয়ে আসে, এরপর যে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে সবাই জানেন। আমি যদি সেরকম কিছু পাই, তাদের জীবন কঠিন করে তুলব, আমি কারও অপরাধের ছাড় দেবো না। সিদ্ধান্ত একটাই আসবে এবং সেটি সবার জন্যই প্রযোজ্য হবে। সেটি হবে দৃষ্টান্তমূলক।
চলমান বিপিএলের আটটি ম্যাচে স্পট ফিক্সিং বা ম্যাচ ফিক্সিং হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি নজরদারিতে রয়েছে ১০ ক্রিকেটার। এর মধ্যে ৬ জন বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বাকিদের মধ্যে দুজন করে আছেন স্থানীয় অনিভিষিক্ত ও বিদেশি ক্রিকেটার।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহের তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজির হিসাবে সর্বোচ্চ ১২ জন ক্রিকেটার খেলছেন দুর্বার রাজশাহী এবং ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সিতে। এর বাইরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৬ এবং চিটাগাং কিংসের ২ ক্রিকেটারকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
সন্দেহজনক পারফরম্যান্সের তালিকায় আছে ৮টি ম্যাচ– ফরচুন বরিশাল-দুর্বার রাজশাহী (৬ জানুয়ারি), রংপুর রাইডার্স-ঢাকা ক্যাপিটালস (৭ জানুয়ারি), ঢাকা-সিলেট স্ট্রাইকার্স (১০ জানুয়ারি), রাজশাহী-ঢাকা (১২ জানুয়ারি), চিটাগাং কিংস-সিলেট (১৩ জানুয়ারি), বরিশাল-খুলনা টাইগার্স (২২ জানুয়ারি) ও চিটাগাং-সিলেট (দুই ম্যাচ)।
এদিকে সন্দেহের তালিকায় শুরু দিকে রয়েছে এনামুল হক বিজয়। শুরুর দিকে রাজশাহীকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এনামুল হক বিজয়। এরপর মাঝ দিকে তাকে অধিনায়ক থেকে সরিয়ে দেয় দলটি। এবার তার ওপর স্পট ফিক্সিং নিয়েও উঠেছে অভিযোগ। সন্দেহের তালিকায় থাকা একাধিক ক্রিকেটারের মধ্যে আছেন শুরুর দিকে আছে বিজয়ের নাম।
তাই তাকে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বড় শাস্তির মুখোমুখি হবেন তিনি। তার আগে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে এ ক্রিকেটারকে।
আরটিভি/এসআর
মন্তব্য করুন