বাংলাদেশের কাছে হারা সেই কাতারই এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন
ফুটবল বিশ্বকাপ একটি দেশকে বদলে দেয় এই কথাটা অনেক প্রচলিত। একটি দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি ওই দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে বিশ্বকাপ। তবে এই আয়োজন একটি দেশের ফুটবল শক্তিকে রাতারাতি বদলে দেবে তার জ্বলন্ত উদাহরণ কাতার।
গেল বছরের আগস্টেই বাংলাদেশের কাছে এশিয়ান গেমসে হেরেছিল ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটি। সেবার কাতারকে ১-০ গোলে হারিয়েই প্রথম বারের মতো এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছিল র্যাংকিংয়ে ১৯২তম দল বাংলাদেশ। এবার কিনা সেই কাতারই এশিয়ার ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট তুলল। তাও আবার প্রায় নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলা জাপানকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে।
গতকাল শুক্রবার ফাইনালটা কাতারের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ২৯ জানুয়ারি সেমি-ফাইনালে স্বাগতিক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচে জয় পেয়েও আবুধাবির মাঠে দর্শকদের জুতা ও বোতল নিক্ষেপের শিকার হতে হয়েছিল তাদের।
সেই আবুধাবির জায়েদ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল। তাও আবার বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি ও ফিফা র্যাংকিংয়ের ৫০তম দেশ জাপানের বিরুদ্ধে। এশিয়ান কাপেও জাপানের রয়েছে সমৃদ্ধ অতীত। সর্বোচ্চ চারবার এই শিরোপা জিতেছে ব্লু সামুরাইরা। তবে ম্যাচে প্রথম থেকেই চাপ বিহীন খেলেছে ফিফা র্যাংকিংয়ের ৯৩দল কাতার। মাত্র ১৬ মিনিটের মাথায় আলময়েজ আলীর দুর্দান্ত বাই-সাইকেল গোলের মধ্য দিয়ে জাপানবধ শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ২৭ মিনিটে ব্যবধান দিগুণ করেন আব্দুল আজিজ হাতেম। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কাতার।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ধার বাড়ায় জাপান। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেতে সময় নিতে হয় ৬৯ মিনিটে এসে। তাকুমি মিনামিনোর গোলে ব্যবধান কমায় সূর্যোদয়ের দেশটি। তবে সেই ব্যবধান আবারো বাড়ায় কাতারের আকরাম আফিফ। ৮৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে তৃতীয় গোল উপহার দেন এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনও গোল না হলে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়ে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটি।
এস /এএ
মন্তব্য করুন