ফিল্ডার মিলারের কাছে পাকিস্তানের হার
সময়টা ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর সিরিজ খুইয়েছে ওয়ানডেতেও। তবে সময় খারাপ যাওয়ার প্রধান কারণ বর্ণবাদী আচরণে নিয়মিত অধিনায়ক সরফরাজের নিষেধাজ্ঞা। দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার আন্দেলো ফেহলুখায়োকে 'কালো' বলায় ৪ ম্যাচের জন্য নিষেধাজ্ঞা পান আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বিজয়ী এই অধিনায়ক। সরফরাজকে ছাড়া প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শুক্রবার রাতে মাঠে নামে পাকিস্তান। ডেভিড মিলারের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে জয়ের কাছে গিয়েও হারতে হয় এই ম্যাচ।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে কেপ টাউনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শোয়েব মালিক। দলীয় ২৬ রানেই জিহান ক্লোয়েটের উইকেট শিকার করেন ইমাদ ওয়াসিম। এরপরই শুরু হয় রেজা হেনড্রিকস ও ফাফ ডু প্লেসির প্রতিরোধ। ১৩১ রানের জুটি গড়ার পর ব্যক্তিগত ৭৮ রানে ফিরে যায় প্রোটিয়া অধিনায়ক প্লেসি।
দুইশ স্কোর যখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল তখনই বিপত্তি ঘটে ৭৪ রানে হেনড্রিকস ফিরে গেলে। এরপর মিডল অর্ডারের কোনও ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে না পারলে ১৯২ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে উসমান শেনওয়ারি নেন ৩ উইকেট। এছাড়া ইমাদ ওয়াসিম, হাসান আলী ও ফাহিম আশরাফ নেন একটি করে উইকেট।
১৯৩ রানের জবাব দিতে গিয়ে প্রথম ওভারেই ফখর জামানকে হারায় সফরকারীরা। তবে বাবর আজম ও হুসেন তালাত সঠিক পথেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। ৮১ রানের জুটি গড়ে তালাত সাজঘরে ফেরেন ৪০ রানে। বাবর কাঁটা পড়েন রানআউটের ফাঁদে ব্যক্তিগত ৪০ রানে। এসময়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শোয়েব মালিক। শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচকে নিয়ে যান তিনি। জয়ের জন্য শেষ ওভারে যখন ১৬ রান প্রয়োজন তখন ক্রিস মরিসের বলে আউট হন মালিক। ম্যাচ শেষ হয়ে যায় তখনই। ২০তম ওভারে তুলতে পারে ৯ রান। এতেই ৬ রানের হার মানতে হয় পাকিস্তানের।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তাবরাইজ শামসি, ক্রিস মরিস ও বুরেন হেনড্রিকস।
তবে ডু প্লেসি কিংবা রেজা হেনড্রিকস নয়, ফিল্ডিংয়ে অসামান্য অবদানের জন্য ব্যাটিংয়ে মাত্র ১০ রান করেও ম্যাচ সেরা হন ডেভিড মিলার। রেকর্ড ৪টি ক্যাচ ও দুটি রান আউট করেন এই প্রোটিয়া ক্রিকেটার।
এই জয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ হবে ৩ ও ৬ ফেব্রুয়ারি।
এস/এএ
মন্তব্য করুন