হেটমায়ার ও কোটরেলে সিরিজ সমতায় উইন্ডিজ
ব্যাটিংয়ে গেইল-হেটমায়ার ও বোলিংয়ে কোটরেল তোপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সমতা এনেছে উইন্ডিজ। আগের ম্যাচে করেছিলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। কিন্তু দলের জয়ে সেই সেঞ্চুরি কোনও কাজে আসেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি না পেলেও পেয়েছেন অর্ধশত। এতে করে ক্যারিবীয় দলে তার অন্তর্ভুক্তির কারণ জানান দিলেন ক্রিস গেইল। এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেঞ্চুরি করেন সিমরন হেটমায়ার।
শুক্রবার বার্বাডোজে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে গেইল ও ক্যাম্পবেলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১২ ওভারে ৬১ রানের জুটি গড়ে ক্যারিবীয়রা। ২৩ রানে মঈন আলীর বলে প্লাঙ্কেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ক্যাম্পবেল। এরপর গেইল তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ব্যাট করে ৬৩ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের অর্ধশতের অর্ধশত। এরপরই রশিদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরত যান তিনি।
গেইল ফিরে যাওয়ার পর ২২তম ওয়ানডে খেলতে নামা তরুণ হেটমায়ারের চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ২৮৯ রানে লক্ষ্য দাঁড় করায় উইন্ডিজ। হেটমায়ার ৮৩ বলে ১০৪ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার দেন। যেখানে ছিল ৭টি চার ও ৪টি ছয়ের মার।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে উড, প্ল্যাংকেট, স্টোকস ও রশিদ একটি করে উইকেট নেন।
আগের ম্যাচে বড় সংগ্রহকে পার করে ইতিহাস গড়েছিল ইংলিশরা। ফলে ২৯০ রানের টার্গেট তেমন কিছু নয়। কিন্তু এই টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কাটরেল-হোল্ডাররা ২৬৩ রানেই আটকে দেন রুট-মরগানদের।
সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। এরপর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জো রুট দলীয় ৬০ রানে বিদায় নিলে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। অধিনায়ক মরগান স্টোকসকে নিয়ে সে চাপ সামলান। কিন্তু ৮৩ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৭০ রান করে কোটরেলে শিকার হন মরগান।
এরপর কোটরেল ও হোল্ডারের পেস তোপে স্টোকসের ৮৫ বলে ৭৯ রান ও বাটলারের ৩৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংসও ইংলিশদের পরাজয় থেকে বাঁচাতে পারেনি।
উইন্ডিজের পক্ষে কোটরেল পাঁচটি, হোল্ডার তিনটি এবং থমাস ও ব্র্যাথওয়েট একটি করে উইকেট লাভ করেন।
২০১৪ সালের পর এই প্রথম ওয়ানডেতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে হারল ইংলিশরা। অন্যদিকে ওয়ানডেতে টানা দশ পরাজয়ের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতল উইন্ডিজ। অনবদ্য সেঞ্চুরির জন্য প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জেতেন হেটমায়ার।
এএ/এসএস
মন্তব্য করুন