এখনই দমে যেতে চান না আর্জেন্টিনার অ্যাগুয়েরো
বিশ্বকাপে ব্যাপক ভরাডু্বির পর অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত কোচ লিওনেল স্কালোনির অধীনে তরুণ আর্জেন্টিনা দল গঠন করা হয়। এর মাঝে ম্যানচেস্টার সিটির অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার নিকোলাস ওটামেন্ডিকে ফের দলে ভেড়ানো হয়। কয়েকদিন আগে ভেনেজুয়েলা ও মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে আলভেসেলেস্তে শিবিরে আবারও ডাক পান লিওনেল মেসি। সঙ্গে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার নামও ঘোষণা করা হয়। প্রীতি ম্যাচ দুটি চলতি মাসের শেষ দিকে হচ্ছে। ৩১ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াডে থেকেই দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ খ্যাত কোপা আমেরিকার মূল দল ঘোষণা করা হবে। এই স্কোয়াডে সুযোগ হয়নি ম্যানসিটির তারকা সার্জিও অ্যাগুয়েরোর। তার মুখোমুখি হয়েছিল ইএসপিএন।
ফর্মের তুঙ্গে থাকা সত্বেও অ্যাগুয়েরোকে দলে নেয়ার বিষয়টিকে ফুটবল বিষয়ক গণমাধ্যমগুলো কোচ স্কালোনির সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের কারণটিকেই সামনে এনেছে। যদিও ৩০ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার এসব তথ্যকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে তার (কোচ) প্রথম কথা হয়েছিল গেল বছর আগস্টের শেষ দিকে। যদিও আলাপ নিয়ে বিস্তারিত কিছু এখানে বলতে পারব না, তবে সেসময় দুজনের বেশ ভালোই কথোপকথন হয়েছিল। এরপর আমাদের মধ্যে কোনও কথা হয়নি। জানি না কেনো গণমাধ্যমে এ বিষয়গুলো (দ্বন্দ্ব) সামনে এনেছে। আমাদের মধ্যে কোনোদিন খারাপ সম্পর্ক ছিল না। আর আমার ফোনতো সব সময়ই খোলা থাকে।
------------------------------------------
আরো পড়ুন: কোপায় ভাগ্য বদলাতে আর্জেন্টিনার জার্সি পরিবর্তন
------------------------------------------
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন তিনিই। চার ম্যাচে দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি দুই গোল দিয়েছিলেন অ্যাগুয়েরো। ম্যানসিটির হয়ে চলতি মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৩৫ ম্যাচে ২৫ গোল করেছেন তিনি।
ইংলিশ দলটির একের পর এক রেকর্ড ভেঙেই চলা এই তারকা জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার বিষয়ে বলেন, আমাকে কয়েক দফা দলে না ডাকায় আমি চুপ ছিলাম। ক্লাব ফুটবলে মনযোগ দিয়েছিলাম। আবারও আমার সুযোগ হয়নি। এমন সিদ্ধান্তকে আমি শ্রদ্ধা জানাই।
২০০৬ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর ৮৯টি ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন ৩৯টি। তবে এখানেই থামতে চান না তিনি। অ্যাগুয়েরোর মতে, আমি সব সময়ই আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গেই আছি। কোপা আমেরিকার পর সব শেষ হয়ে যাচ্ছে না। আমি সব সময় নিজের সেরাটাই দেয়ার চেষ্টা করেছি। কেউই জানে না সামনে তার জন্য কি অপেক্ষা করছে।
জাতীয় দলে নিজে সুযোগ না পেলেও বন্ধু মেসি ফেরায় খুশি হয়েছেন অ্যাগুয়েরো। তার ভাষায়, লিও একটি প্রতীকের নাম। আমি অনেক ভালো করেই জানি সে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে ভালোবাসে। আমি সব সময় তার পক্ষে থাকি।
আরো পড়ুন:
ওয়াই
মন্তব্য করুন