টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরির সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের জয়ের দিন
১৬ মার্চ বিশ্ব ক্রিকেটে বিশেষ একটি দিন। এদিন ভারতের ক্রিকেট লিজেন্ড শচীন টেন্ডুলকার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে (টেস্ট ও ওয়ানডে) সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি হাঁকান। যে ক্লাবে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি। যদিও দলের সতীর্থরা তার এ অসামান্য অর্জনকে স্মরণীয় করতে ব্যর্থ হন। উল্টোদিকে বাংলাদেশকে জয় তুলে দেয়ার নায়ক ছিলেন সাকিব আল হাসান।
২০১২ সালের এশিয়া কাপ ক্রিকেটের চতুর্থ ম্যাচে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয় ভারত। টস জিতে ফিল্ডিংয়ে যায় স্বাগতিরা। সে সময় বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও ভারতের ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
ভারতীয় দলে গম্ভীর, টেন্ডুলকার, কোহলি, ধোনি, রায়না, ইরফান, আশ্বিনরা যেমন ছিলেন তেমনি বাংলাদেশ দলে ছিলেন তামিম, জহুরুল, নাসির, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, মাশরাফি, রাজ্জাক, শাহাদাতরা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৫ রানে গাম্ভীরকে বোল্ড করে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শফিউল ইসলাম। কিন্তু এরপরই কোহলিকে নিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের উপর শাসন করতে থাকেন টেন্ডুলকার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কোহলিকে নিয়ে ১৪৮ রানের জুটি, তৃতীয় উইকেটে রায়নাকে নিয়ে আরও ৮৬ রানের জুটি গড়েন ভারতের ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’।
দলীয় ২৫৯ রানে রায়নাকে তামিম ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান মাশরাফি। অবশ্য এর আগে অনন্য এক রেকর্ডের সাক্ষী হয়ে থাকেন রায়না ও সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট লিজেন্ড টেন্ডুলকার সাকিবের করা ৪৩.৪ ওভারের সময় একরান নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৯তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। এতে করে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তার সেঞ্চুরি সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় একশটিতে। যা এখনো রেকর্ড।
---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনায় পিএসএলে নীরবতা পালন
---------------------------------------------------------------------
রায়না আউট হবার পরের ওভারেই অর্থাৎ ৪৬.৫ ওভারের সময় উইকেটের পেছনে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে টেন্ডুলকারকে ফেরত পাঠান মাশরাফি। তার আগে ১৪৭ বলে ১২টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ১১৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় বাংলাদেশের সামনে। যেখানে টেন্ডুলকারের ১১৪ ছাড়াও অর্ধশত করেন কোহলি (৬৬) ও রায়না (৫১)।
ভারতের বিশাল লক্ষ্যকে টপকাতে গিয়ে শুরুতেই নাজিমুদ্দিনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে তামিম-জহুরুলকে নিয়ে ১১৩ রানের জুটি গড়েন।
এরপর দলীয় ১২৮ ও ব্যক্তিগত ৫৩ রানে জহুরুল ফিরেন। অন্যদিকে তামিম দলীয় ১৫৬ ও ব্যক্তিগত ৭০ রান করে বিদায় নিলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু নাসিরের ৫৪, সাকিবের ৪৯ ও মুশফিকের ৪৬ রানের কল্যাণে এ ম্যাচে ৫ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পায় বাংলাদেশ।
৩১ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে সাকিব আল হাসান প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।
এএ/ওয়াই
মন্তব্য করুন