সঠিক পথে এগোচ্ছে না বিকেএসপি
দেশের একমাত্র সরকারি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের অভাবে তৈরি হচ্ছে না ভালো মানের খেলোয়াড়। এমন অভিযোগ জাতীয় দলের খেলোয়াড় ও ক্রীড়া বিশ্লেষকদের।
দেশের একমাত্র ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় ক্রীড়া শিক্ষাকেন্দ্র। খেলাধুলা শিক্ষার পাশাপাশি আছে পড়াশোনারও সুযোগ।
কিন্তু এখানে সুযোগ পাওয়াটা সহজ নয়। সারা দেশ থেকে বাছাই প্রক্রিয়ার কয়েক ধাপ পেরিয়ে, প্রতিভাবানরাই ভর্তির সুযোগ পায় ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারি শিক্ষাকেন্দ্রটিতে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসাদের এখানে দেখভাল করে প্রস্তুত করা হয় ভবিষ্যতের জন্য। তবুও কোথায় যেন খুঁত রয়ে যায়। এ নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাশীদুল হাসান।
‘যাদের মধ্যে ভালো গুণাবলি পাচ্ছি, যারা এই ট্রেনিংগুলাকে ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছে, যাদের উন্নতি করার অবকাশ আছে তাদেরই আমরা নির্বাচন করছি।’
বিকেএসপি মহাপরিচালকের এমন কথাগুলোর উল্টোটাই শোনালেন এখানকার সাবেক ছাত্র মামুনুর রশিদ।
ক্রিকেটে সাকিব-মুশফিক, শ্যুটিংয়ের বাকী, ফুটবলে জাহিদ-এমিলি, হকিতে জিমিদের মতো খেলোয়াড়রা এসেছেন এখান থেকে। সেটা পুরোনো গল্প। বাস্তবতা হলো, লম্বা একটা সময় যেনো ঘুমিয়ে পার করছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথম ব্যাচের এই ছাত্র এজন্য দুষলেন প্রশাসনে ঘনঘন পরিবর্তনকে।
‘এখন বিকেএসপিতে ট্রেনিং বাদ দিয়ে যদি সারাদিন মিটিং-মিছিল করেন। আমার মনে হয় এখানে সবার গুরুত্ব দেয়া উচিত, বিকেএসপি একটি ট্রেনিংমুখী প্রতিষ্ঠান। এখানে যারা উপর লেভেলে আছেন তাদের জায়গাগুলো স্থায়ী করা উচিৎ। দুই-তিন মাসের জন্য একেক জন আসেন কোনও কাজের কাজ হয় না। ’
সাংবাদিক ও ক্রীড়া বিশ্লেষক শামীম চৌধুরীর মতে, ভর্তি করার যে নিয়মটা এটা নিয়ে আরও অনেক কঠোর হতে হবে। ভর্তি নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠেছে আগেও, এখনও। এসব নিয়ে খতিয়ে দেখার দায়িত্ব বিকেএসপিকেই নিতে হবে।
শামীম চৌধুরীর এই ব্যাপারগুলো পুরোপুরি মানতে নারাজ বিকেএসপির প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাশিদুল হাসান।
তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করি কারও ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ অ্যাফেক্ট না পড়ে। আগে যেসব হয়েছে সেসময় আমি ছিলাম না। তো ওই বিষয়ে কিছু না বলাই বোধহয় ভালো। আমি আশা করছি এই বিষয় সুষ্ঠ একটা পরিকল্পনা আমি আগামী বছর দিতে পারব। এই ধরণের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করব।
তবে সব সমস্যা দূরে ঠেলে, বিকেএসপি আবারও আগের অবস্থায় ফিরে যাবে, এমন প্রত্যাশা ক্রীড়াবিদ-সংগঠকদের।
এমআর/ওয়াই
মন্তব্য করুন