মারা গেলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী দলের ডিফেন্ডার
মারা গেলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী দলের ডিফেন্ডার, হোয়াও লুইস টাটা ব্রাউন। বেশ কিছুদিন ধরে আলঝেইমার রোগে ভুগছিলেন তিনি।
আর্জেন্টিনার লা প্লাটায় নিজ বাড়িতে ৬২ বছর বয়সে মারা যান ব্রাউন। আর্জেন্টিনা দলে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন, সেন্টারব্যাক।
আদর করে তাকে ডাকা হতো, ‘টাটা’ নামে। ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা।
ফাইনালের উত্তাপ ছড়ানো সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনার পক্ষে প্রথম এবং জাতীয় দলের জার্সিতে ক্যারিয়ারের একমাত্র গোলটি করেন, টাটা ব্রাউন।
এসএস
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর প্রসঙ্গে যা বললেন মেসি
অনেকেই ভেবেছিল কাতার বিশ্বকাপের পর ফুটবলকে বিদায় বলবেন লিওনেল মেসি। কিন্তু একটি বিশ্বকাপ ট্রফি যেন সবকিছু বদলে দিয়েছে। জাতীয় দল ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন এই তারকা ফুটবলার। তবে ভক্তদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, ঠিক কবে অবসর নিতে যাচ্ছেন মেসি।
তবে এবার নিজের অবসর নিয়ে মুখ খুলেছেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার। বুধবার (১৪ অক্টোবর) লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ শেষে মেসিকে অবসর নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়।
আটবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা বলেন, আর্জেন্টিনা সমর্থকদের স্নেহ অনুভব করে এবং এখানে খেলতে পেরে খুব ভালো লাগছে। তারা যেভাবে আমার নামে চিৎকার করে তা আমাকে আবেগপ্রবণ করে তোলে। সবাই ভক্তদের সঙ্গে সৌহার্দ্যতা উপভোগ করি এবং আমরা নিজেদের দেশের হয়ে খেলতে পছন্দ করি।
নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোনো তারিখ বা সময়সীমা নির্ধারণ করিনি। আমি শুধু এসব (খেলা) উপভোগ করছি। আমি আগের চেয়ে অনেক বেশি আবেগপ্রবণ এবং সব কিছু মেনে নিচ্ছি। মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা কুড়িয়ে নিচ্ছি। কারণ আমি জানি, এগুলো আমার ক্যারিয়ারের শেষ দিকের খেলা। এখানে উপস্থিত থাকা আনন্দের। এই মুহূর্তটির প্রশংসার।
তিনি আরও বলেন, অল্প বয়সী সতীর্থদের সঙ্গে খেলতে পেরে আমার নিজেকেও বাচ্চা মনে হয়। ছোট ছোট অবদান রাখার চেষ্টা করি। কারণ আমি করতে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। যতক্ষণ আমি সেই অনুভূতি ধরে রাখি এবং দলে অবদান রাখতে পারি, আমি এখানে (জাতীয় দল) উপভোগ করার পরিকল্পনা করছি।
উল্লেখ্য, বলিভিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ৬-০ ব্যবধানে জিতেছে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচে বুড়ো হাড়ের ভেলকিতে চমৎকার হ্যাটট্রিক করেছেন মেসি এবং অ্যাসিস্টও করেছেন দুটি। সব মিলিয়ে দাপুটে পারফরম্যান্সে আর্জেন্টিনাকে বিশাল এক জয় এনে দিলেন বিশ্বকাপজয়ী এ ফুটবল কিংবদন্তি।
আরটিভি/এমএসআর-টি
দেশে ফিরছেন না সাকিব
ফেরা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও দুবাই থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই ক্রিকেটার।
দুবাই থেকে সাকিব নিজেই জানিয়েছেন, তার এখন দেশে আসা হচ্ছে না।
দুবাইয়ে এমনিতেই লম্বা ট্রানজিট সাকিবের। আজ বিকালে তার দেশের বিমান ধরার কথা ছিল। বর্তমানে দুবাইতে থাকা সাকিব গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশে ফেরার কথা ছিল কিন্তু এখন হয়তো ফিরতে পারব না সিকিউরিটি ইস্যুর জন্য, আমার নিজের নিরাপত্তার জন্যই।
দেশে আসার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হলে সাকিব বলেন, এখন সিদ্ধান্ত চূড়ান্তই বলতে পারেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার একটি ভার্চুয়াল মিটিং করে বিসিবি। সেই মিটিংয়ে দেশে ফিরতে সাকিবকে নিষেধ করা হয়। বিসিবির পরামর্শ অনুযায়ী ফ্লাইটও বাতিল করে দিয়েছেন সাকিব।
যদিও গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ অক্টোবর শুরু প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা করা হয়েছে তাকে রেখেই। নির্বাচকরা বিসিবির সবুজ সংকেত পেয়েই তাকে দলে রেখেছিলেন। আর বিসিবি সবুজ সংকেত পেয়েছিল সরকারের কাছে। তারপরও হঠাৎ করে সাকিবের নিরাপত্তা কেন একটা ইস্যু হয়ে গেলে, সেটি জানা যায়নি। এ ব্যাপারে বিসিবির কাছ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা আসেনি।
সাকিবের দেশে আসার খবর জেনে বুধবার (১৬ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা তার কুশপুত্তলিকা পোড়ান। সাকিব দেশে ফিরলে তারা বিক্ষোভ করবে বলে ঘোষণাও দেন। তাকে যেন স্টেডিয়ামে না ঢুকতে না দেওয়া হয়, এ জন্য বিসিবির কাছে আবেদন জানাবে শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুরে বিসিবিতে স্বারকলিপি জমা দিতে যাবেন তারা। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বিসিবিতে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন এসব শিক্ষার্থী।
কানপুর টেস্ট শুরুর আগের দিনই সাকিব ঘোষণা দিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে দেশের মাঠ থেকে এই সংস্করণকে বিদায় জানাতে চান তিনি। হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় দেশে ফেরা ও পরে নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তা চেয়ে আকুতি জানিয়েছিলেন তিনি।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া শুরুতে কঠোর বার্তা দিয়েছিলেন। সাকিবকে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে বলেছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। পরে ফেইসবুকে দীর্ঘ বার্তায় দুঃখপ্রকাশ করে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন সাকিব। বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কণ্ঠের সুরও পরে বদলে যায়।
ক্রীড়া উপদেষ্টা কদিন আগেই বলেন, সাকিবের দেশে ফেরা ও পরবর্তীতে দেশ ছেড়ে যাওয়ায় কোনো বাধা তিনি দেখেন না। দেশের ক্রিকেটের সেরা তারকাকে মাঠের নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তাও তিনি দিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার মিরপুর টেস্টের জন্য ১৫ জনের স্কোয়াডে ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটারকে রাখেন নির্বাচকরা। শেষ পর্যন্ত চিত্র বদলে গেল।
আরটিভি/একে-টি
ঘরের মাঠে ৪৬ রানে অলআউট ভারত
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দাপট দেখিয়েছিল ভারত। এবার উল্টো চিত্র দেখা গেল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। বেঙ্গালুরু টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিনটায় রীতিমত ভারতকে লজ্জা দিয়েছে সফরকারী দলটি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে মাত্র ৪৬ রানে অলআউট হয়েছে ভারত। যা টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর আর দেশের মাটিতে সর্বনিম্ন। সেইসঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও এটিই সবচেয়ে কম রানে আউট হওয়ার নজির।
টেস্টে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর ৩৬। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অ্যাডিলেডে ভুলে যাওয়ার মতো এই রেকর্ড গড়েছিল ভারত। দেশের মাটিতে এর আগে ভারতের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর ছিল ৭৫ রান। সেটি ১৯৮৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
ভারতের ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৫ জন। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উইকেটের মিছিল শুরু হয় ভারতের। ৩১ ওভার ২ বলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পুরো ইনিংসে কেবল দুজন ব্যাটার স্পর্শ করতে পেরেছেন দুই অঙ্ক। ওপেনার জায়সাওয়াল ১৩ ও পাঁচে ব্যাট করতে নামা ঋশভ পন্থ করেন ২০ রান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল হাতে আলো ছড়ান ম্যাট হেনরি। ১৩ ওভার ২ বলে ১৫ রান খরচায় তিনি নেন ৫টি উইকেট। একইসঙ্গে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ১০০ উইকেট। ১২ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন উইলিয়াম ও’রউরকে। বাকি উইকেট নেন টিম সাউদি।
মিরপুর টেস্ট খেলতে দেশে আসবেন না সাকিব: ক্রীড়া উপদেষ্টা
আগামী ২১ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়াবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। প্রথম টেস্টটি অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এই ম্যাচ দিয়ে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বলার কথা ছিল দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের। কিন্তু নিরাপত্তা জটিলতার কারণে তিনি টেস্ট খেলতে দেশে আসবেন না।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া।
সাকিবের দেশে ফেরা ঠেকাতে গতকাল (বুধবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্মারকলিপি জমা দিতে আসে আন্দোলনকারীরা। দুপুর ২টা নাগাদ সাকিববিরোধীদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছিল স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিল আন্দোলনকারী জনতা। স্টেডিয়ামের আশপাশের দেয়ালে নানা স্লোগান লিখেছেন তারা। এঁকেছেন গ্রাফিতিও।
এ ছাড়াও ২১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টের স্কোয়াড থেকে সাকিবকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছে আন্দোলনকারীরা। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের উদ্দেশ্যে দেওয়া স্মারকলিপিতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা বলছে, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে সকল জায়গায় যে পরিবর্তন হয়েছে তার অংশ আপনি নিজে। যদি এই গণঅভ্যুত্থান না হতো, তাহলে আপনি বিসিবি প্রধান হতেন না।
তাই আপনার প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিৎ ফ্যাসিবাদ নির্মূল করে নিজের প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা। আপনি কোনোভাবেই তাই ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন করতে পারেন না। আপনি পারেন না বাংলাদেশের জার্সি একজন ভোটচোর এমপির গায়ে জড়িয়ে দিতে। এই কাজের মাধ্যমে আপনি কেবলমাত্র পতিত স্বৈরাচারের মন্ত্রী ও সাবেক বিসিবি প্রধান পাপনের প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে যাচ্ছেন।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, পাপন (বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন) কথা দিয়েছিল, যে সে সাকিবকে মিরপুরের মাটিতে বিদায় দেবে। আপনিও ঠিক একই কাজটা করতে যাচ্ছেন। সাকিবকে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলতে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি একজন ভোটচোর, হাসিনার দালাল, দুর্নীতিবাজ, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির অপরাধী, জুয়ার দালালের শরীরে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির জার্সি তুলে দিচ্ছেন।
আপনি পারেন না আমাদের এই মিরপুরে শহিদ হওয়া ভাইয়েদের লাশের উপর সাকিবকে ব্যাট বল চালাতে দিতে। অন্যথায় আপনি নিজেই আরেকজন পাপন হয়ে উঠবেন।
এমন অবস্থায় সাকিবের দেশে ফেরা ইস্যুতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে দেশে না আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরটিভি/এসআর
কোথায় যাব জানি না, তবে দেশে ফিরছি না: সাকিব
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বলার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই অনুসারে তাকে নিয়েই স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল বিসিবি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পাল্টে গেছে সব হিসাব-নিকাশ। দেশে ফেরা হচ্ছে না বিশ্বসেরা এই ক্রিকেটারের।
নির্ধারিত সময় অনুসারে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে দুবাই থেকে বাংলাদেশের বিমানে ওঠার কথা ছিল সাকিবের। কিন্তু দুপুর ২টা নাগাদ সাকিববিরোধীদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছিল স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন আন্দোলনকারী জনতা।
২১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টের স্কোয়াড থেকে সাকিবকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছে আন্দোলনকারীরা। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের উদ্দেশে দেওয়া স্মারকলিপিতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা বলছেন, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে সকল জায়গায় যে পরিবর্তন হয়েছে তার অংশ আপনি নিজে। যদি এই গণ-অভ্যুত্থান না হতো, তাহলে আপনি বিসিবি প্রধান হতেন না।
‘তাই আপনার প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত ফ্যাসিবাদ নির্মূল করে নিজের প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা। আপনি কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন করতে পারেন না। আপনি পারেন না বাংলাদেশের জার্সি একজন ভোটচোর এমপির গায়ে জড়িয়ে দিতে। এই কাজের মাধ্যমে আপনি কেবলমাত্র পতিত স্বৈরাচারের মন্ত্রী ও সাবেক বিসিবিপ্রধান পাপনের প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে যাচ্ছেন।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, পাপন (বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন) কথা দিয়েছিল, যে সে সাকিবকে মিরপুরের মাটিতে বিদায় দেবে। আপনিও ঠিক একই কাজটা করতে যাচ্ছেন। সাকিবকে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলতে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি একজন ভোটচোর, হাসিনার দালাল, দুর্নীতিবাজ, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির অপরাধী, জুয়ার দালালের শরীরে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির জার্সি তুলে দিচ্ছেন।
এমন অবস্থায় ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকেও দেশে না ফেরার কথা জানিয়েছেন সাকিব। তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে কোথায় যাব, জানি না। তবে এটা প্রায় নিশ্চিত যে আমি দেশে ফিরছি না।
জানা গেছে, আগামীকাল (শুক্রবার) সাকিবের বদলি হিসেবে একজনকে স্কোয়াডে যোগ করা হবে। তবে সাকিবের দেশে না ফেরার সংবাদে বিপাকে পড়েছে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি চিটাগং কিংসও। আসন্ন বিপিএলের জন্য সাকিবকে সরাসরি চুক্তিতে দলে নিয়েছিল তারা। কিন্তু সাকিবের বিপিএল খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরটিভি/এসআর/এসএ
সাকিবকে দেশে আসতে নিষেধ করার কারণ জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বলার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই অনুসারে তাকে নিয়েই স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল বিসিবি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পাল্টে গেছে সব হিসাব-নিকাশ। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে দেশে না ফেরার জন্য বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সাকিবের দেশে ফেরা ইস্যুতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে দেশে না আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি নিজেও চেয়েছি, সাকিব আল হাসানের মতো একজন ক্রিকেটার দেশের মাটিতে অবসর নিক। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। তবে প্রথম দিকেই বলেছি সাকিব আল হাসানের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে জনমনে ক্ষোভ রয়েছে যা স্বাভাবিক।
ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সাকিব তার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করলেও তা যথেষ্ট ছিল না বলে মনে করেন আসিফ মাহমুদ। তার ভাষ্য, রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করাসহ জনমনের ক্ষোভ নিরসনে তিনি ফেসবুক পোস্ট দিলেও সাম্প্রতিক প্রতিবাদে প্রতীয়মান হয়েছে যে তা যথেষ্ট ছিল না। যারা প্রতিবাদ করছে তাদেরও তা করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে।
এদিকে সাকিব দেশে আসলে এবং ম্যাচের মধ্যে কোনো অঘটন ঘটলে যার প্রভাব পড়তে পারে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। তাই দেশসেরা এই ক্রিকেটারকে বিদায়ী টেস্ট খেলতে দেশে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, সাউথ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের মধ্যকার সিরিজে কোনপ্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতেই আপাতত দেশে খেলতে আসার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে বিসিবিকে পরামর্শ দিতে হয়েছে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার আশু ব্যবস্থা হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তবে সকলেরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত বলে মনে করি। কোন অভিযোগ থাকলে আইনি প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিয়েই তার সমাধান খোঁজা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়াবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
আরটিভি/এসআর
মাশরাফীকে বাদ দিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সিলেট স্ট্রাইকার্সকে
বিপিএলের ড্রাফট থেকে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে দলে ভিড়িয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তার হাত ধরেই ২০২৩ বিপিএলের ফাইনালে উঠেছিল দলটি। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হওয়ায় মাশরাফীকে বাদ দিয়ে দল গঠন করতে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সিলেটের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট মহানগরের রিকাবীবাজার জেলা স্টেডিয়ামের গেটের সামনে মাশরাফীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। সিলেটের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ এতে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, মাশরাফী ছিল বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভালোবাসার জায়গা ও আবেগের জায়গায়। কিন্তু হাসিনা যখন আমাদের ভাই-বোনদের গুলি করে নির্বিচারের হত্যা করেছে তখন তিনি প্রতিবাদ না করে নীরব ভূমিকা পালন করেছেন এবং খুনি হাসিনাকে সমর্থন করেছে। এটা আমরা কোনোভাবে মেনে নেব না।তাই আমরা মাশরাফীকে বাদ দিয়ে সিলেটের টিম গঠনের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। তা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, সিলেট স্ট্রাইকার্সকে বয়কট করা হবে।
শাহজালাল বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম বলেন, মাশরাফী সিলেটে আসতে পারবেন না। শাহজালালের এই পুণ্যভূমি সিলেটে কোনো স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসরদের আসতে দেওয়া হবে না।
গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্লেয়ার ড্রাফট। সেখান থেকে মাশরাফীকে দলে ভিড়িয়েছে তার আগের দল সিলেট।
এবারের আসরে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন মাশরাফী। তাই তাকে দলে নিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে ৪০ লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে।
আরটিভি/এসআর/এসএ