দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খেলো রিয়াল মাদ্রিদ
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খেলো রিয়াল মাদ্রিদ। সেল্টা ভিগোকে হারিয়ে লা লিগার নতুন মৌসুম শুরু করলেও ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাবিউতে জিদানের দলকে রুখে দিয়েছে রিয়াল ভায়াদোলিদ। ১-১ গোলে ড্র হয়েছে ম্যাচটি।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে রিয়াল মাদ্রিদ। মুহুর্মুহু আক্রমণে ভীতি ছড়ায় প্রতিপক্ষ রক্ষণ সীমান্তে। তবে লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
দ্বিতীয়ার্ধে কৌশল পাল্টে আক্রমণের ধারা বাড়ানোর চেষ্টা করেন জিদান। ৮২ মিনিটে ভারানের পাস থেকে গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন করিম বেনজেমা।
তবে এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ৮৮ মিনিটে সের্গি গার্দিওয়ালার গোলে সমতায় ফেরে ভায়াদোলিদ। বাকি সময় আর গোল না হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ে উভয় দল।
পি
মন্তব্য করুন
২৭১ রানের জবাবে মাত্র ৭ রানে অলআউট, লজ্জার রেকর্ড
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে খেলায় লজ্জার রেকর্ড করেছে আইভরি কোস্ট। নাইজেরিয়ার দেওয়া ২৭১ রাতের জবাবে দলটি মাত্র ৭ রানে অলআউট হয়েছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বনিম্ন রানের বিশ্ব রেকর্ড।
রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে নাইজেরিয়া।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৭১ রান করে নাইজেরিয়া। সর্বোচ্চ ৫৩ বলে ১১২ রান করেন ওপেনার সেলিম সালাউ। এ ছাড়া সুলাইমন রানসিউয়ি করেন ২৯ বলে ৫০ রান। শেষ দিকে ২৩ বলে ৬৫ রান করে অপরাজিত থাকেন আইজাক ওকপে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুখ থুবড়ে পড়েছে আইভোরি কোস্ট। মাত্র ৪৫ বল খেলে দলটি অলআউট হয়েছে ৭ রানে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ৪ রান করেন দলটির ওপেনার উয়াত্তারা মোহামেদ। এ ছাড়া তিনজন করেন ১ রান করে। বাকি ৬ ব্যাটার ডাক মেরেছেন।
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক আইভরি কোস্টের। এখন পর্যন্ত আফ্রিকার দলটি দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরেছে বাজেভাবে। এর আগে সিয়েরা লিওনের কাছে আইভরি কোস্ট হেরেছিল ১৬৮ রানে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন রানে অলআউটের ঘটনা এতদিন ছিল আইল অব ম্যান ও মঙ্গোলিয়ার। দুটি দলই অলআউট হয়েছিল ১০ রানে।
আরটিভি/আরএ/এস
আইপিএল নিলামের তালিকায় মোস্তাফিজের পরে রিশাদ, সাকিব কত নম্বরে?
ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল)। টুর্নামেন্টটির ১৮তম আসরকে সামনে রেখে সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জেদ্দায় বসেছে মেগা নিলাম।
রোববার (২৪ নভেম্বর) নিলামের প্রথম দিনে উঠেছিলেন মোট ৮৪ জন ক্রিকেটার। তার মধ্যে দল পেয়েছে ৭২ জন। যার মধ্যে ২৪ জন বিদেশি ক্রিকেটার।
প্রথম দিনে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের নাম ডাকা না হলেও অনেকেই ভেবেছিল আজ দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই নাম উঠতে পারে টাইগার ক্রিকেটারদের। কিন্তু প্রথম দিনে লাঞ্চের আগেই নাম ওঠেনি সাকিব-মোস্তাফিজদের।
আইপিএলের এবারের নিলামে বাংলাদেশের ক্রিকেটার ১২ জন। নিলামের প্রথম দিনে বাংলাদেশের কাউকে ডাকা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, ত্বরিত বা দ্রুততর নিলামপ্রক্রিয়ায় আজ তাদের ডাকা হতে পারে। ক্রমিক নম্বর অনুসারে প্রথম ১১৭ জনের মধ্যে ৮৪ জনকে প্রথম দিনে নিলামে তোলা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সঞ্চালক মল্লিকা সাগর এক এক করে ডাকবেন পরের ৩৩ জনকে। এরপর তালিকার ১১৮ থেকে ৫৭৭ পর্যন্ত থাকা খেলোয়াড়দের ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে এই ৪৪০ জনের সবাইকে নাও ডাকা হতে পারে।
এই তালিকায় মোস্তাফিজ আছেন ১৮১ নম্বরে, তার পরে ১৮৭ নম্বরে আছেন রিশাদ হোসেন। এরপর লিটন (২৪৭), তাওহিদ হৃদয় (২৯৮), তাসকিন আহমেদ (৪০৯) এবং সাকিব আল হাসান রয়েছে ৪৩৯ নম্বরে।
এ ছাড়াও মেহেদী হাসান মিরাজ (৪৪০), শরিফুল ইসলাম (৪৪৪), তানজিম সাকিব (৪৪৭), মেহেদী হাসান (৪৭৫), হাসান মাহমুদ (৪৮২) এবং ৪৮৫ নম্বরে রয়েছে নাহিদ রানা।
দুই ধাপেই বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নাম থাকতে পারে। এই ডাকাডাকি তখনই বন্ধ হয়ে যাবে, যখন ১৩২ জন কেনা হয়ে যাবে অথবা ন্যূনতম চাহিদা পূরণের পর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর টাকা শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের সবার নাম যে ডাকা হবে, তার নিশ্চয়তা নেই।
কারণ, ৫৭৭ জনের মধ্যে থাকা ১২ বাংলাদেশিদের ৮ জনের নামই ক্রমিক নম্বরে ৪০০ উপরে। এত দূর পর্যন্ত হাঁকডাকের আগেই দলগুলোর স্কোয়াড পূর্ণ অথবা টাকা শেষ হয়ে যেতে পারে।
আরটিভি/ এসআর
আইপিএল নিলাম / দল পেলেন না মোস্তাফিজ
আইপিএলের গত আসরে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে খেলেছিলেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তবে মেগা নিলামের আগে তাকে ছেড়ে দিয়েছিল চেন্নাই। আর নিলাম থেকেও তাকে দলে নেয়নি কোনো দল।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের মেগা নিলাম। সোমবার (২৫ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনে নাম ওঠানো হয় মোস্তাফিজের। কিন্তু তাকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।
এর আগে ২০১৬ সালে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু হয় এই টাইগার পেসারের। সেবার হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট শিকার করে আসরের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন ফিজ।
এরপর দিল্লি ক্যাপিটালস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়েলস এবং চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন ফিজ। গত আসরে চেন্নাইয়ের হয়ে ৯ ম্যাচ খেলেছিলেন মোস্তাফিজ। শিকার করেছিলেন ১৪ উইকেট।
আরটিভি/এসআর-টি
সাকিব-মোস্তাফিজকে দলে না নেওয়ায় আইপিএল বয়কটের দাবি ভক্তদের
আগামী বছর মার্চে অনুষ্ঠিত হবে আইপিএলের ১৮তম আসর। এর আগে সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল আইপিএলের মেগা নিলাম। যেখানে দল পাননি বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। যার ফলে আইপিএলকে বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন ভক্তরা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) নিলামের দ্বিতীয় দিনে নাম ওঠে সাকিব ও মোস্তাফিজের। কিন্তু তাদের দলে নিতে আগ্রহ দেখাননি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।
দেশের সেরা দুই তারকা ক্রিকেটারের দল না পাওয়াটা সহজভাবে নেয়নি তাদের ভক্তরা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইপিএলের দলগুলোর সমালোচনা করতে শুরু করে বাংলাদেশি ভক্তরা। এবারের আইপিএল না দেখার ঘোষণা দিয়েছেন তাদের ভক্তরা।
২০১১ সালে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সাকিব। পরের আসরে কালকাতাকে চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এরপরই আইপিএলে নিয়মিত হয়ে ওঠেন এই তারকা ক্রিকেটার। সেই সময় বাংলাদেশি দর্শকরা আইপিএল দেখতো সাকিবকে সমর্থন জানানোর জন্য।
এদিকে ২০১৬ সালে আইপিএলে নাম লেখান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর টাইগার ভক্তরা দুইভাগে ভাগ হয়ে এই দুই ক্রিকেটারকে সমর্থন জানাতেন। সাকিব মাঝে দুই আসর না খেললেও ভালো খেলে টুর্নামেন্টে নিয়মিত হয়ে ওঠেন মোস্তাফিজ।
১৮তম আসরের মেগা নিলামে বাংলাদেশকে থেকে মোট ১২ জন ক্রিকেটার নাম লিখিয়েছিলেন। যেখানে সাকিব-মোস্তাফিজসহ ছিলেন তাসকিন আহমেদ, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী মিরাজ, নাহিদ রানা, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ তানজিম হাসান, শেখ মাহেদী ও লিটন দাস।
বাকিরা দল না পেলেও সবার চোখ ছিল সাকিব ও মোস্তাফিজের উপর। কারণ, দুজনেরই টুর্নামেন্টটিতে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু দল পাননি কেউই।
নিলামের তালিকায় সাকিবের নম্বর ৪৩৯ হওয়ায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষাও করেছিল তার ভক্তদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েছে তারা। দলগুলোর আছে কিনা সেটা জানাতো দূরের কথা, বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের নাম্বার আসলে তা পাশ কাটিয়ে চলে যান সঞ্চালক।
আগের আসরগুলোতে ক্রিকেটারদের এনওসি নিয়ে ঝামেলা করলেও, এবার নিলামের দুই দিন আগেই বিসিবি জানিয়েছিল ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে নিলামে শুধু নাম উঠেছিল মোস্তাফিজ ও রিশাদের। কিন্তু কোনো দলই তাদের আগ্রহ দেখায়নি।
আরটিভি/এসআর
একনজরে দেখে নিন আইপিএলের ১০ দলের পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে আইপিএলের মেগা নিলাম। এবার দল তৈরি করতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে। যেখানে সর্বোচ্চ ২৭ কোটি রুপিতে ঋষভ পান্থকে দলে নিয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্ট। এরপরই রয়েছে শ্রেয়াস আইয়ার। ২৬ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে পাঞ্জাবে নাম লিখিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়াও অনেকগুলো চমক দেখা গিয়েছে এবারের মেগা নিলামে।
একনজরে দেখে নিই ১০ দলের পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড:
কলকাতা নাইট রাইডার্স
রিটেইন: রিঙ্কু সিং (১৩ কোটি), বরুণ চক্রবর্তী (১২ কোটি), সুনিল নারিন (১২ কোটি), আন্দ্রে রাসেল (১২ কোটি রুপি), হর্ষিত রানা (৪ কোটি) ও রমনদীপ সিং (৪ কোটি)।
নিলাম: ভেঙ্কটেশ আইয়ার (২৩ কোটি ৭৫ লাখ), কুইন্টন ডি কক (৩ কোটি ৬০ লাখ), রহমানুল্লাহ গুরবাজ (২ কোটি), এনরিখ নরকিয়া (সাড়ে ৬ কোটি), আনক্রিশ রঘুবংশী (৩ কোটি), বৈভব অরোরা (১ কোটি ৮০ লাখ), মায়াঙ্ক মার্কন্ডে (৩০ লাখ), রোভম্যান পাওয়েল (দেড় কোটি), মনিশ পান্ডে (৭৫ লাখ), স্পেন্সার জনসন (২ কোটি ৮০ লাখ), লুভনিথ সিসোদিয়া (৩০ লাখ), অজিঙ্কা রাহানে (দেড় কোটি), অনুকুল রায় (৪০ লাখ), মঈন আলি (২ কোটি) ও ওমরান মালিক (৭৫ লাখ)।
চেন্নাই সুপার কিংস
রিটেইন: রুতুরাজ গায়কোয়াড় (১৮ কোটি), মাথিশা পাথিরানা (১৩ কোটি), শিবম দুবে (১২ কোটি), রবীন্দ্র জাদেজা (১৮ কোটি) ও মহেন্দ্র সিং ধোনি (৪ কোটি)।
নিলাম: ডেভন কনওয়ে (৬ কোটি ২৫ লাখ), রাহুল ত্রিপাটি (৩ কোটি ৪০ লাখ), রচিন রাবিন্দ্রা (৪ কোটি), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৯ কোটি ৭৫ লাখ), খলিল আহমেদ (৪ কোটি ৮০ লাখ), নুর আহমেদ (১০ কোটি), বিজয় শঙ্কর (১ কোটি ২০ লাখ), স্যাম কারেন (২ কোটি ৪০ লাখ), শাইক রশিদ (৩০ লাখ), আনশুল কাম্বোজ (৩ কোটি ৪০ লাখ), মুকেশ চৌধুরী (৩০ লাখ), দীপক হুদা (১ কোটি ৭০ লাখ), গুরজাপনিত সিং (২ কোটি২০ লাখ), নাথান এলিস (২ কোটি), জেমি ওভারটন (দেড় কোটি), কমলেশ নগরকোটি (৩০ লাখ), রামকৃষ্ণ ঘোষ (৩০ লাখ), শ্রেয়াস গোপাল (৩০ লাখ), বংশ বেদী (৫৫ লাখ) ও আন্দ্রে সিদ্ধার্থ (৩০ লাখ)।
লখনৌ সুপার জায়ান্ট
রিটেইন: নিকোলাস পুরান (২১ কোটি), রবি বিষ্ণুই (১১ কোটি), মায়াঙ্ক যাদব (১১ কোটি), মহসিন খান (৪ কোটি) ও আয়ুশ বাদোনি (৪ কোটি)।
নিলাম: রিশাভ পান্ত (২৭ কোটি), ডেভিড মিলার (৭.৫ কোটি), এইডেন মার্করাম (২ কোটি), মিচেল মার্শ (৩ কোটি ৪০ লাখ), আভেশ খান (৯ কোটি ৭৫ লাখ), আব্দুল সামাদ (৪ কোটি ২০ লাখ), আরিয়ান জুয়াল (৩০ লাখ), আকাশ দীপ (৮ কোটি), হিম্মত সিং (৩০ লাখ), সিদ্ধার্থ (৭৫ লাখ), দিগ্বেশ সিং (৩০ লাখ), শাহবাজ আহমেদ (২ কোটি ৪০ লাখ), আকাশ সিং (৩০ লাখ), শামার জোসেফ (৭৫ লাখ), প্রিন্স যাদব (৩০ লাখ), যুবরাজ চৌধুরী (৩০ লাখ), রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকর (৩০ লাখ), আরশিন কুলকার্নি (৩০ লাখ) ও ম্যাথিউ ব্রিটজকে (৭৫ লাখ)।
পাঞ্জাব কিংস
রিটেইন করা ক্রিকেটার: শশাঙ্ক সিং (সাড়ে ৫ কোটি) ও প্রভসিমরান সিং (৪ কোটি)।
নিলাম: আর্শদ্বীপ সিং (১৮ কোটি), শ্রেয়াস আইয়ার (২৬ কোটি ৭৫ লাখ), যুজবেন্দ্র চাহাল (১৮ কোটি), মার্কাস স্টোইনিস (১১ কোটি), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৪ কোটি ২০ লাখ), নেহাল ওয়াধেরা (৪ কোটি ২০ লাখ), হারপ্রীত ব্রারার ( দেড় কোটি), বিষ্ণু বিনোদ (৯৫ লাখ), বিজয়কুমার ভিশক (১ কোটি ৮০ লাখ), যশ ঠাকুর (১ কোটি ৬০ লাখ), মার্কো জানসেন (৭ কোটি), জশ ইঙ্গলিস (২ কোটি ৬০ লাখ), লকি ফার্গুসন (২ কোটি), আজমতুল্লাহ ওমরজাই (২ কোটি ৪০ লাখ), হারনুর পান্নু (৩০ লাখ), কুলদীপ সেন (৮০ লাখ), প্রিয়াংশ আর্য (৩ কোটি ৮০ লাখ), অ্যারন হার্ডি (১ কোটি ২৫ লাখ), মুশির খান (৩০ লাখ টাকা), সূর্যনাশ সেজে (৩০ লাখ), জাভিয়ার বার্টলেট (৮০ লাখ), পাইলা অবিনাশ (৩০ লাখ) ও প্রভিন দুবে (৩০ লাখ)।
গুজরাট টাইটানস
রিটেইন: রশিদ খান (১৮ কোটি), শুভমান গিল (১৬ কোটি ৫০ লাখ), সাই সুদর্শন (৮ কোটি ৫০ লাখ), রাহুল তেওয়াতিয়া (৪ কোটি) ও শাহরুখ খান (৪ কোটি)।
নিলাম: কাগিসো রাবাদা (১০ কোটি ৭৫ লাখ), জস বাটলার (১৫ কোটি ৭৫ লাখ), মোহাম্মদ সিরাজ (১২ কোটি ২৫ লাখ), প্রসিধ কৃষ্ণা (৯ কোটি ৫০ লাখ), নিশান্ত সিন্ধু (৩০ লাখ), মহিপাল লোমর (১ কোটি ৭০ লাখ), কুমার কুশাগরা (৬৫ লাখ), অনুজ রাওয়াত (৩০ লাখ), মানব সুথার (৩০ লাখ), ওয়াশিংটন সুন্দর (৩ কোটি ২০ লাখ), জেরাল্ড কোয়েৎজি (২ কোটি ৪০ লাখ), আরশাদ খান (১ কোটি ৩০ লাখ), গারনুর ব্রারার (১ কোটি ৩০ লাখ), শারফেন রাদারফোর্ড (২ কোটি ৬০ লাখ), সাই কিশোর (২ কোটি), ইশান্ত শর্মা (৭৫ লাখ), জয়ন্ত যাদব (৭৫ লাখ), গ্লেন ফিলিপস (২ কোটি), করিম জানাত (৭৫ লাখ) ও কুলবন্ত খেজরোলিয়া (৩০ লাখ)।
দিল্লি ক্যাপিটালস
রিটেইন: অক্ষর প্যাটেল (সাড়ে ১৬ কোটি), কুলদীপ যাদব (১৩ কোটি ২৫ লাখ), ত্রিস্টান স্টাবস (১০ কোটি) ও অভিষেক পোরেল (৪ কোটি)।
নিলাম: মিচেল স্টার্ক (১১ কোটি ৭৫ লাখ), লোকেশ রাহুল (১৪ কোটি), হ্যারি ব্রুক (৬ কোটি ২৫ লাখ), জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক (৯ কোটি), নটরজন (১০ কোটি ৭৫ লাখ), করুণ নায়ার (৫০ লাখ), সামির রিজভী (৯৫ লাখ), আশুতোষ শর্মা (৩ কোটি ৪০ লাখ), মোহিত শর্মা (২ কোটি ২০ লাখ), ফাফ ডু প্লেসি (২ কোটি), মুকেশ কুমার (৮ কোটি ), দর্শন নালকান্দে (৩০ লাখ), বিপ্রজ নিগম (৫০ লাখ), দুসমান্ত চামেরা (৭৫ লাখ), ডোনোভান ফেরেরা (৭৫ লাখ), অজয় মন্ডল (৩০ টাকা), মন্বন্ত কুমার (৩০ লাখ), ত্রিপুরানা বিজয় (৩০ লাখ) ও মাধব তিওয়ারি (৪০ লাখ)।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু
রিটেইন: বিরাট কোহলি (২১ কোটি), রজত পাতিদার (১১ কোটি) ও যশ দয়াল (৫ কোটি)।
নিলাম: লিয়াম লিভিংস্টোন (৮ কোটি ৭৫ লাখ), ফিল সল্ট (সাড়ে ১১ কোটি), জিতেশ শর্মা (১১ কোটি), জশ হ্যাজেলউড (সাড়ে ১২ কোটি), রশিখ দার (৬ কোটি), সুয়াশ শর্মা (২ কোটি ৬০ লাখ), ক্রুনাল পান্ডিয়া (৫ কোটি ৭৫ লাখ), ভুবনেশ্বর কুমার (১০ কোটি ৭৫ কোটি), স্বপ্নিল সিং (৫০ লাখ), টিম ডেভিড (৩ কোটি), রোমারিও শেফার্ড (দেড় কোটি), নুয়ান থুশারা (১ কোটি ৬০ লাখ), মনোজ ভন্ডগ (৩০ লাখ), জ্যাকব বেথেল (২ কোটি ৬০ লাখ), দেবদত্ত পাডিক্কল (২ কোটি), স্বস্তিক চিকারা (৩০ লাখ), লুঙ্গি এনগিদি (১ কোটি), অভিনন্দন সিং (৩০ লাখ) ও মোহিত রাড়ে (৩০ লাখ)।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
রিটেইন: প্যাট কামিন্স (১৮ কোটি), অভিষেক শর্মা (১৪ কোটি), নিতিশ রেড্ডি (৬ কোটি), হেনরিক ক্লাসেন (২৩ কোটি) ও ট্রাভিস হেড (১৪ কোটি)।
নিলাম: মোহাম্মদ শামি (১০ কোটি), হার্ষাল প্যাটেল (৮ কোটি), ঈশান কিশান (১১ কোটি ২৫ লাখ), রাহুল চাহার (৩ কোটি ২০ লাখ), অ্যাডাম জাম্পা (২ কোটি ৪০ লাখ), অথর্ব তাইদে (৩০ লাখ), অভিনব মনোহর (৩ কোটি ২০ লাখ), সিমারজিৎ সিং (দেড় কোটি), জিশান আনসারি (৪০ লাখ), জয়দেব উনাদকাট (১ কোটি), ব্রাইডন কার্স (১ কোটি), কামিন্দু মেন্ডিস (৭৫ লাখ), অনিকেত ভার্মা (৩০ লাখ), ঈশান মালিঙ্গা (১ কোটি ২০ লাখ), শচীন বেবি (৩০ লাখ)।
রাজস্থান রয়্যালস:
রিটেইন: সঞ্জু স্যামসন (১৮ কোটি), যশস্বী জয়সওয়াল (১৮ কোটি), রিয়ান পরাগ (১৪ কোটি), ধ্রুব জুরেল (১৪ কোটি), শিমরন হেটমায়ার (১১ কোটি) ও সন্দীপ শর্মা (৪ কোটি)।
নিলাম: জোফরা আরচার (সাড়ে ১২ কোটি), মহেশ থিকশানা (৪ কোটি ৪০ লাখ), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (৫ কোটি ২৫ লাখ), আকাশ মাধওয়াল (১ কোটি ২০ লাখ), কুমার কার্তিক (৩০ লাখ), নীতীশ রানা (৪ কোটি ২০ লাখ), তুষার দেশপান্ডে (সাড়ে ৬ কোটি), শুবম দুবে (৮০ লাখ), যুধবীর সিং (৩৫ লাখ), ফজলহক ফারুকি (২ কোটি), বৈভব সূর্যবংশী (১ কোটি ১০ লাখ), কোয়ানা মাফাকা (দেড় কোটি), কুনাল রাঠোর (৩০ লাখ) ও অশোক শর্মা (৩০ লাখ)।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
রিটেইন: জাসপ্রিত বুমরাহ (১৮ কোটি), সূর্যকুমার যাদব (১৬ কোটি ৩৫ লাখ), হার্দিক পান্ডিয়া (১৬ কোটি ৩৫ লাখ), রোহিত শর্মা (১৬ কোটি ৩ লাখ) ও তিলক ভার্মা (৮ কোটি)।
নিলাম: ট্রেন্ট বোল্ট (সাড়ে ১২ কোটি), নমন ধীর (৫ কোটি ২৫ লাখ), রবিন মিঞ্জ (৬৫ লাখ), কর্ণ শর্মা (৫০ লাখ), রায়ান রিকেল্টন (১ কোটি), দীপক চাহার (৯ কোটি ২৫ লাখ), আল্লাহ গজনফার (৪ কোটি ৪০ লাখ), উইল জ্যাকস (৫ কোটি ২৫ লাখ), অশ্বনি কুমার (৩০ লাখ), মিচেল স্যান্টনার (২ কোটি), রিস টপলি (৭৫ লক্ষ), কৃষ্ণা শ্রীজিৎ (৩০ লাখ), রাজ অঙ্গাদ বাওয়া (৩০ লাখ), সত্যনারায়ণ রাজু (৩০ লাখ), বেভন জ্যাকবস (৩০ লাখ), অর্জুন টেন্ডুলকার (৩০ লাখ), লিজাদ উইলিয়ামস (৭৫ লাখ) ও ভিগনেশ পুথুর (৩০ লাখ)।
আরটিভি/এসআর
সিরিজ শেষ না করেই পাকিস্তান ছাড়ল লঙ্কান ক্রিকেটাররা
নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে চায় না ভারত। যার ফলে এখন নিশ্চিত হয়নি টুর্নামেন্টটির ভবিষ্যৎ। আগামী শুক্রবার আইসিসির সভায় নির্ধারণ হবে টুর্নামেন্টটি ভাগ্য। এর মাঝেই সিরিজ শেষ না করে পাকিস্তান থেকে চলে গেছে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল।
পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে দেশটিতে সফর করেছিল শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল। প্রথম ম্যাচে সফরকারীদের ১০৮ রানে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচের আগে রাজনৈতিক প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে ইসলামাবাদ।
যার ফলে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য হন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাই নিরাপত্তার কারণে দলকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার। এ ছাড়া এই ঘটনা আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স আয়োজনের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিপক্ষে যেতে পারে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবার খেলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন পিসিবি কর্তারা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিরিজের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচ ইসলামাবাদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন পিসিবি কর্তারা।
দ্বিতীয় ম্যাচ বুধবার এবং তৃতীয় ম্যাচ শুক্রবার রাওয়ালপিণ্ডিতে করার কথা বলা হয়। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনাও করেন। আশ্বাস দেওয়া হয় নিরাপত্তা নিয়ে। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্রিকেটারদের সিরিজের মাঝ পথেই দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কর্তারা।
মূলত, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে তার দল দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। গত রোববার থেকে ইসলামাবাদে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছে তারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতাকর্মীরা ইসলামাবাদের দিকে যাচ্ছেন। যার ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পাকিস্তানের রাজধানীর।
এক বিবৃতিতে পিসিবি জানিয়েছে, পাকিস্তান শাহিনস এবং শ্রীলঙ্কার ‘এ’ দলের সিরিজ় আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। দু’দেশের বোর্ড সিরিজের নতুন সূচি নিয়ে আলোচনা করছে।
আরটিভি/এসআর-টি
তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, চ্যালেঞ্জিং পুঁজি বাংলাদেশের
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানরা। আর আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানকে ২২৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে জুনিয়র টাইগাররা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি জুনিয়র টাইগাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন টাইগার ওপেনার জাওয়াদ আবরার। তবে তিনে ব্যাট করতে নেমে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আজিজ হাকিম তামিম।
আর এই ব্যাটকে সঙ্গ নিয়ে ফিফটি তুলে নেন আরেক ওপেনার কালাম সিদ্দিকি। ১১০ বলে ৬৬ রান করে আউট হন কালাম। ৬ বলে ১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন দেবাষীশ দেবা। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান তামিম।
১৫ বলে ১০ রান করে শিহাব জেমস আউট হলেও ১৩২ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। কিন্তু পরের বলেই ক্যাচ আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
শেষ দিকে ফারিদ (১০) এবং মারফ মৃধা শূন্য রানে আউট হলে রাফির অপরাজিত ১১ রানে ভর করে ২২৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের হয়ে আব্দুল আজিজ, ওমারজাই এবং খাতির দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও আল্লাহ গাজানফর এবং নাসির খান নেন একটি করে উইকেট।
আরটিভি/এসআর