• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

চট্টগ্রাম টেস্ট: চালকের আসনে আফগানিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:৪৩
চট্টগ্রাম টেস্ট: চালকের আসনে আফগানিস্তান

সাকিব আল হাসান পেস-স্পিনার সমালোচনায় কান দিতে চান না বলেই স্পিন নির্ভর একাদশ সাজিয়েছেন। যে একাদশে নেই কোনও পেস বোলার৷ জয়ের জন্য যা করা লাগে সেটাই করবেন অধিনায়ক। এটাই তো সত্য।

চট্টগ্রামের উইকেটও যে স্পিনারদের স্বর্গ সেটা সবারই জানা। আফগানিস্তানেরও নিশ্চয় অজানা না।

সাকিবের যা কথা তাই কাজ। বাংলাদেশ দলে কোনও পেসার না থাকলেও আফগানিস্তানের একাদশে একজন পেসার আছে। যে কি না প্রথম ওভারেই উইকেট নেন!

এক দলে সাত স্পিনার নিয়ে সহজে ঘায়েল করতে চেয়েছিলেন অনভিজ্ঞ আফগানিস্তানকে। কিন্তু দ্বিতীয় দিন শেষে যা দেখাল আফগানরা সেটা এক কথায় ভয়ানক বার্তা বাংলাদেশের জন্য। আপনার মনে এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে, কয়দিনে শেষ হবে এই টেস্ট?

দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক উইকেট দিয়ে আসে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তরুণ ওপেনার সাদমান ইসলামকে।

---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: আশা জাগিয়ে ফিরলেন মুমিনুলও
---------------------------------------------------------------

এরপর যেন আসা যাওয়ার খেলায় মেতে উঠে টাইগার ব্যাটসম্যানরা। উইকেটে টিকে থাকার ধৈর্যই যেন হারিয়ে ফেলেন সবাই। সাজঘরে ফিরতে পারলেই বাঁচি। বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে সেটাই দেখিয়েছে দিনভর।

সাদমানের বিদায়ের পর মোহাম্মদ নবীর বলে সৌম্য সরকার বিদায় হন ১৭ রান করে। রশিদ খান বোলিং করতে এসে নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান ৩৩ রান করা লিটন দাসকে।

ইনিংসের ৩২তম ওভারে ঘটে বড় বিপর্যয়। একই ওভারে সাকিব-মুশফিককে বিদায় করে দেন রশিদ খান।

ওভারের চতুর্থ বলে সাকিবকে ১১ রানে এলবিডব্লুর পর মুশফিককে শূন্য রানে ফেরান সময়ের সেরা এই লেগ স্পিনার।

এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকেও ৭ রানে ফেরান রশিদ। এসব বিপর্যয় কাটাতে একাই লড়ে যাচ্ছিলেন মুমিনুল হক। সবাই যখন ব্যর্থ তখন মুমিনুলের ব্যাটে আশার আলো।

একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অর্ধশতক পূর্ণ করেন মুমিনুল। কিন্তু টিকতে পারলেন বেশিক্ষণ। আর দুই রান যোগ করেই ক্যাচ তুলে দেন মোহাম্মদ নবীর বলে।

দলীয় ১৩০ রানেই নেই ৭ উইকেট। এখান থেকে স্কোর বোর্ডে আর ষোল রান করেই ভাঙ্গে মিরাজ-মোসাদ্দেক জুটি। মিরাজকে ১১ রানে ফেরান কাইজ আহমেদ।

দিনের শেষটা খানিকক্ষণের জন্য ভরসা জাগালেন তাইজুল ইসলাম আর মোসাদ্দেক হোসেন। এই দুইজনের জুটি অপরাজিত আছে ৪৮ রানে। মোসাদ্দেক অপরাজিত আছেন ৪৪ করে আর তাইজুল আছেন ১৪ রানে।

দিন শেষে বলা যায়, নিজেদের পাতা ফাঁদেই পড়ল কি না বাংলাদেশ! এর থেকে উত্তরণের পথটাও যে খুঁজে নিতে হবে এখান থেকে।

এমআর/

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়