ব্যর্থতার বৃত্তে বাংলাদেশ, কাটল না আফগান জুজু
সেই যে ছয় বছর আগে টি-টোয়েন্টিতে একবার হারিয়েছিল আফগানদের, তারপর আর জয়ের চিহ্ন নেই বাংলাদেশের। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে মাত্র ৭২ রানে অল-আউট করে ৯ উইকেটের জয়টাই কেবল টাইগারদের সুখস্মৃতি।
গত বছরের জুনে দেরাদুনে ৩ ম্যাচের সিরিজেও আফগানদের কাছে ধবল ধোলাই হতে হয় বাংলাদেশকে। আজ ঘরের মাঠেও করুণ পরাজয় মেনে নিতে হলো বাংলাদেশেকে।
শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ের আমন্ত্রণ জানানোটা ভুল প্রমাণ করার জন্যই যেন সাইফউদ্দিন ইনিংসের প্রথম বলেই বোল্ড করে ফেরান রাহমানুল্লাহ গুরবাজকে।
পরের ওভারে আরেক ওপেনার হযরতুল্লাহ জাযাইকে ১ রানে ফেরান সাকিব আল হাসান। তৃতীয় ওভারে আবারও সাইফউদ্দিনের আঘাত। নাজীব তারকাইকে ১১ রানে ফেরান তিনি।
দলীয় ৪০ রানের মাথায় নাজিবুল্লাহ যাদরানকে ৫ রানে ফেরান সাকিব। আফগানদের যখন আসা যাওয়ার মিছিল, তখনই লাগাম টেনে ধরেন আসগর আফগান আর মোহাম্মদ নবী।
আসগর ৪০ রান করে ফিরলেও নবীর ৮৪ রানের ইনিংস আফগানদের এনে দেয় বড় সংগ্রহ। মাত্র ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাংলাদেশকে।
এদিন সাইফউদ্দিন তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন এই ম্যাচে। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। সাকিব পেয়েছেন ২ উইকেট। বাকি পাঁচ বোলারের নামের পাশে যোগ হয়নি কোনও উইকেট।
ব্যাটিংয়ে নেমে মুশফিক চমক। নিয়মিত ওপেনার সৌম্যর বদলে ওপেনিং করতে আসেন মুশফিকুর রহিম। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
লিটন দাস প্রান্ত বদল করেই সাজঘরে ফেরেন রানের খাতা খোলার আগে। এই যে শুরু আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
মুশফিক ব্যর্থ ব্যাটিং অর্ডার বদলে। মাত্র ৫ রানে ফেরেন ফারিদ মালিকের বোলে বোল্ড হয়ে। আফিফের ১৬, সাকিবের ১৫, সাব্বিরের ২৪ আর রিয়াদের ৪৪ রান আর শেষ দিকে মুস্তাফিজের ৫ বলে ১১ রানের ইনিংস কোনও সম্ভাবনা জোগাতে পারেনি জয়ের।
ব্যাটে-বলে ব্যর্থ বাংলাদেশ আবারও হারল আফগানদের কাছে। এই জুজু কবে কাটাবে বাংলাদেশ?
আফগানদের হয়ে মুজিব নেন ১৫ রানে ৪ উইকেট। সমান ২টি করে উইকেট নেন রশিদ খান ও গুলবাদিন। ১টি উইকেট পান ফারিদ মালিক।
এমআর/ এমকে
মন্তব্য করুন