অন্ধ ছেলের হয়ে ফুটবল ম্যাচ দেখেন তিনি
মাঠে চলছিল ফুটবল ম্যাচ। স্থানীয় একটি টেলিভিশন রিপোর্টার লক্ষ্য করেন, গ্যালারিতে বসে ম্যাচের ধারা বর্ণনা করে নিজের অন্ধ ছেলেকে শোনাচ্ছে এক মা। ওই রিপোর্টারে সূক্ষ্ম দৃষ্টি সিলভিয়া গ্রেসোকে এনে দিয়েছে ফিফার বর্ষসেরা ফ্যানের পুরস্কার। সোমবার ২০১৯ সালের সেরা ফ্যান হয়েছেন সিলভিয়া। ইতালির রাজধানী মিলানে ফিফার ‘দ্য বেস্ট’ আয়োজনে এই ঘোষণা দেয়া হয়। ৫৮.৩৬ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
ব্রাজিলিয়ান লিগে পালমেইরাস বনাম কোরিনথিনাসের ম্যাচ শেষ হবার পর সিলভিয়া ও ছেলে নিকোলাস বাড়ি ফিরে যান। এরপর টিভিতে ফুটবলের প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসা প্রচার করা হয়। এরপর মা-ছেলে দুজনই বেশ জনপ্রিয় ওঠেন সাউপাওলোতে।
এক সাক্ষাৎকারে সিলভিয়া জানান, টিভিতে সম্প্রচারের পর ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
‘আমি জানতামও না তারা আমাদের ভিডিও ধারণ করছিল। আমি স্টেডিয়াম ত্যাগ করার পর অনেকেই আমাদের নিয়ে আলোচনা করে।’
‘এটা নতুন নয়, বেশ কয়েক বছর ধরেই সবার সঙ্গে বসে খেলা দেখি আমরা।’
পালমেইরাসের ভক্ত নিকোলাস পাঁচ মাসের প্রিম্যাচিউর অবস্থায় জন্ম নেয়। ছোট্ট থাকাতেই শিশুটিকে পালক নেন সিলভিয়া।
সিলভিয়া জানান, স্টেডিয়ামে অন্যদের সঙ্গে দলীয় গানে অংশ নেন তারা। পছন্দের খেলোয়াড়রা যখন শুট, পাস ও পজিশন পরিবর্তন করে তখন তাদের উৎসাহ দেই।
‘আমি স্টেডিয়ামের পরিবেশটা তার কাছে তুলে ধরি। প্রতিটা খেলোয়াড় দেখতে কেমন সেগুলো তার কাছে বর্ণনা করি। যদি তাদের চুল রং করা থাকে অথবা জার্সির হাতা ছোট নাকি লম্বা। এসব কিছু বলি। কোন রংয়ের ফুটবল বুট পায়ে দিয়েছে খেলোয়াড়রা সেটিও আগ্রহের তালিকায় থাকে।’
‘আমি বিশ্বাস করি, সবচেয়ে সেরা মুহূর্তটি হচ্ছে প্রিয় দলের গোলের বর্ণনা দেয়া।’ যোগ করেন নিকোলাসের মা।
ওয়াই
মন্তব্য করুন