পাকিস্তানের নিরাপত্তা ইস্যু ভাবাচ্ছে বিসিবিকে
পাকিস্তানে যেকোনো দলের সফর করার আগে সব বোর্ডেরই ভাবনায় থাকে নিরাপত্তার বিষয়টি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) সেটির ব্যতিক্রম নয়। আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি (এফটিপি) অনুযায়ী আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।
গত ১০ বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতকেই ঘরের মাঠ বানিয়ে খেলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। অথচ এই দশ বছরেও বাংলাদেশকে আরব আমিরাতে আতিথেয়তা দেয়নি পাকিস্তান।
যখনই বাংলাদেশের সঙ্গে সিরিজ খেলার কথা ওঠে তখনই তারা পাকিস্তানে খেলতে চেয়েছে। এবারও তেমনটাই হচ্ছে।
এ নিয়ে রোববার বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আমরা পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছি পাকিস্তান।
‘আইসিসির চলতি এফটিপি অনুযায়ী আমাদের একটা কমিটমেন্ট আছে, যেখানে পাকিস্তান আতিথ্য দিবে বাংলাদেশকে। আমাদের দলগুলোর বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নিরাপত্তা ছাড়পত্র। আমরা বিষয়টা নিয়ে কাজ করছি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট হাই কমিশনের সঙ্গে। তাদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
বর্তমানে শ্রীলঙ্কা দল ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার জন্য পাকিস্তানে অবস্থান করলেও লঙ্কান দলের ১০ জন নিয়মিত খেলোয়াড় যায়নি পাকিস্তান সফরে।
যদিও এ নিয়ে খুব একটা ভাবছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাকিস্তান না ভাবলেও ঠিকই ভাবছে বিসিবি।
‘প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমরা বাংলাদেশ হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বাংলাদেশ হাই কমিশন একটা প্রতিবেদন দিয়েছে এবং আমরা সেটা সরকারকে পাঠিয়েছি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় এটার ওপর কাজ করছে।’
নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর আশা খুব শিগগিরই একটা পর্যবেক্ষক দল যাবে পাকিস্তান এবং একটা রেজাল্ট পাব।
‘আমরা আশা করছি যে, খুব শিগগিরই একটা ইন্সপেকশন টিম হয়তো পাকিস্তান সফরে যাবে। যেহেতু শ্রীলঙ্কা দল এখন পাকিস্তান সফর করছে। এই সময় যদি তারা অনগ্রাউন্ড সিকিউরিটি অ্যারেঞ্জমেন্টগুলো দেখতে পারে, তাহলে তাদের জন্য আরও সহজ হবে অ্যারেঞ্জমেন্ট মূল্যায়নে।’
গত ২০০৯ সালে করাচিতে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর হামলার ছয় বছর পর পাকিস্তান সফর করে জিম্বাবুয়ে। নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থেকে দুটি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে খেলে।
এরপর ২০১৭ সালে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজন করে পাকিস্তান। তাতেও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই গেছে।
এমআর/সি
মন্তব্য করুন