গোল হজম করা মানতে পারছি না: ভারত কোচ
র্যাংকিংয়ে ৮৩ ধাপ এগিয়ে থাকায় স্বাগতিক ভারতই ফেভারিট ছিল এই ম্যাচে। তবে সল্ট লেক স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই সমানে সমান লড়তে থাকে জামাল ভুঁইয়ারা। প্রথম আর অষ্টম মিনিটে ইব্রাহিমকে ভারতীয় ডিফেন্ডার রাহুল ভেকের করা ট্যাকেল দুটো অবৈধ ঘোষণা করতেই পারতেন রেফারি! কিন্তু কপাল খারাপ বাংলাদেশের।
প্রথমার্ধে গোলকিপার আশারাফুল রানার দুর্দান্ত সেভে বেশ কয়েকবার রক্ষা পেয়েছে জেমি ডে’র ছেলেরা।
ম্যাচের ৪২ মিনিটে অধিনায়ক জামালের নিখুঁত প্লেসমেন্ট মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন আবাহনী ফরোয়ার্ড মো. সাদ উদ্দিন। হাফটাইমের আগেই ১-০ গোলের লিড বাংলাদেশের।
৫১ মিনিটে সোহেল রানার ড্রিবলিং। তার কাছ থেকে নাবীব নেওয়াজ জীবনের পাওয়ার শটটা লাগে গোলবারে। ৬০ মিনিটে ইব্রাহিমের সুপারসেভ। আরও একবার রক্ষা পায় বাংলাদেশের জাল।
ম্যাচের বয়স ৭৩ মিনিট। জীবনকে দারুণভাবে সামলান ডিফেন্ডার আদিল খান। ব্লু টাইগারদের শিকে ছিড়ল সেই আদিল খানেই বাংলাদেশের হলো সর্বনাশ। ৮৯ মিনিটে ওর গোলেই সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
ভারতের সবচেয়ে বড় তারকা সুনিল ছেত্রীকে দারুণভাবে সামাল দিয়েছে লাল-সবুজ রক্ষণভাগ। কিন্তু ম্যাচটা মিস হয়েছে অল্পের জন্য। তবে সল্ট লেকের হাজার হাজার ভারতীয় দর্শকের সামনে যা করেছে বাংলাদেশ তাই বা কম কি?
ভারত কোচ ইগর স্টিমাচ ও বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে
খেলা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভারত কোচ ইগর স্টিমাচ। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে বিশ্বকাপ খেলা এই ডিফেন্ডার বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে ভাগ্য সঙ্গে ছিল না এমনটাই দাবি করছেন তিনি।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের খুঁটিনাটি
---------------------------------------------------------------
‘ম্যাচের রেজাল্টে আমি খুশি নই। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি ঠিকই। তবে স্কোর করতে পারিনি। এটাই না জেতার কারণ। সবকিছুই হাতে ছিল, শুধু ফলটা বাদে। আজ ভাগ্য আমাদের সহায়তা করে নি। এরকম গোল হজম করা মানতে পারছি না। আমরা এখনও শিখছি। কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সবচেয়ে বড় ব্যাপার আমি এটা শিখেছি যে, নতুন করে আর ভুল করা যাবে না।’
সব মিলিয়ে নাখোশ হলেও দলের কাউকেই কাঠ গড়ায় দাঁড় করাকে চান না ইগর স্টিমাচ।
ক্রোয়েট কোচ বলেন, অনেকসময় আপনার দিনটা ভালো কাটবে। ভুল সিদ্ধান্তের জন্য অনেক সময় বড় ধরনের সমস্যাও হতে পারে। আমরা এখানে কাউকে দোষ দিতে চাই না। আমি আমার ছেলেদের মন থেকেই রক্ষা করছি।
ওয়াই
মন্তব্য করুন