বাংলাদেশের ভাবনায় নেই কোহলির না থাকা
প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ সফরে ভারতের আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ। যদিও এই সফরে নেই কোনও ওয়ানডে ম্যাচ। আছে ৩টি টি-টোয়েন্টি ও ২টি টেস্ট ম্যাচ। ২০০০ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ পেলেও ২০১৭ সালে ভারতের মাটিতে একটা টেস্ট ম্যাচের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ।
এবার ম্যাচের সংখ্যা বাড়লেও বড্ড অপ্রস্তুত বাংলাদেশ। সবই ঠিক ছিল কিন্তু হঠাৎ বয়ে যাওয়া ঝড় সামলে উঠতে কষ্ট হয়ে যাবে টাইগারদের।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ফিক্সিংজনিত ঘটনায় নিষিদ্ধ হয়েছে ক্রিকেট থেকে। ওপেনার তামিম ইকবালও ব্যক্তিগত কারনে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন গোটা সফর থেকেই। অল-রাউন্ডার সাইফউদ্দিনও চোটের কারনে যেতে পারেননি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে।
ভাঙাচোরা বাংলাদেশ দলের বিপরীতে ভারতও যে সেরা দল দিয়েছে তাও নয়। নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে ছুটি দিয়েছে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে।
এছাড়াও নিয়মিত কয়েকজন খেলোয়াড়কেও রাখা হয়নি টি-টোয়েন্টির দলে।
যদিও এসব নিয়ে ভাবছে না বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের মতো অনুশীলন করে টাইগাররা।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: শচিনের প্রত্যাশা, ইডেন টেস্ট জমে উঠবে
---------------------------------------------------------------
অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন লিটন দাস।
এসময় তাকে প্রশ্ন করা হয়, বিরাট কোহলির না থাকা নিয়ে কোনও সুবিধা পাবে কী না বাংলাদেশ?
লিটন বলেন, সত্যি বলতে কোহলির থাকা না থাকা নিয়ে ভাবছি না। সে বিশ্রামে আছে। এর পেছনেও নিশ্চয় কোনও কারণ আছে। তার অনুপস্থিতিতে ভারতের শক্তি কমেছে যে সেটিও না। বর্তমান দলটাও অনেক শক্তিশালী।
ভারতীয় শিবিরে কোহলি না থাকাতেও যতটা শক্তিশালী তারা তার উল্টোটা বাংলাদেশ দলে। দেশসেরা অল-রাউন্ডার সাকি ও সেরা ওপেনার তামিম ইকবালের না থাকাটা নিশ্চিতভাবে ভোগাবে বাংলাদেশকে।
লিটন বলেন, আমাদের দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার দলে নেই। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের। তবে দলে যারা আছে তারা নিজেদের সর্বোচ্চটা দিলে যেকোনো কিছুই করা সম্ভব।
এমআর/
মন্তব্য করুন