জয়ের দেখা পেল আর্সেনাল
পাঁচ ম্যাচ পর অবশেষে জয়ের দেখা পেল আর্সেনাল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পায় তারা।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে স্বাগতিকরা।
আট মিনিটে নিকোলা পেপের গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। ৪২ মিনিটে পাপাস্তাথোপুলসের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও চাপ বাড়িয়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ইউনাইটেড। কিন্তু ব্যবধান কমাতে পারেনি সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত আসরে ষষ্ঠ হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে।
আসরে ষষ্ঠ হারের স্বাদ পাওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২১ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে। ৬ জয় ও ৯ ড্রয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে উঠল আর্সেনাল।
এসএস
মন্তব্য করুন
ঢাকায় পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের কোচিং প্যানেলের বেশ কয়েকটি পদ খালি হয়। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সেসব পদে কোচ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সেই ধারাবাহিকতায় গত মাসে স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার নাথান কিয়েলিকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে কিয়েলি অধ্যায়।
রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন কিয়েলি। গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপরারেশন্স ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস। দ্রুতই কাজ শুরু করবেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। কাজ শুরু আগে আজ (সোমবার) কেইলি এসেছিলেন মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
দুই বছরের চুক্তিতে জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করবেন নতুন এই কোচ। কিয়েলি এর আগে পেশাদার ক্রিকেট ও রাগবিতে কাজ করেছেন। এছাড়া চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট নিউ সাউথ ওয়েলসে ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স কোচ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
এ ছাড়া এনএসডব্লিউ ব্লুজ, এনএসডব্লিউ পাথওয়েস ও প্রমীলা বিগ ব্যাশের দল সিডনি সিক্সার্সের সাথে কাজ করেছেন কিয়েলি।
ভারত সিরিজের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণা
চলতি মাসেই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। সিরিজটির জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করে বিসিবি। সিরিজটির জন্য নতুন করে দলে ডাক পেয়েছেন হাবিবা ইসলাম পিংকি।
সিলেটে অনুষ্ঠিত সিরিজটি খেলতে আগামী ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে ভারত দল। এরপর ২৮ এপ্রিল প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়ে লড়াই শুরু হবে। সিরিজের প্রথম দুটি ও শেষ ম্যাচটি দিবারাত্রির হলেও তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচ দুটি বেলা ২টায় শুরু হবে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড : নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, মারুফা আক্তার, মর্শিদা খাতুন, সোবহানা মুস্তারি, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, সুলতানা আক্তার, রাবেয়া খান, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, শরিফা খাতুন, দিলারা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, রুবায়া হায়দার ঝিলিক, হাবিবা ইসলাম পিংকি।
অতিরিক্ত– সুমাইয়া আক্তার, নিশিতা আক্তার।
বিশ্বকাপের ভাবনা থেকে বাদ পড়লেন যে দুই ওপেনার!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি রয়েছে আর মাত্র দেড় মাস। তাই ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট নিতে ছুটি কাটিয়ে আগেই ঢাকায় ফিরেছেন ট্রেনার নাথান কাইল। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছিলেন, ঢাকা লিগের বিরতির দিনগুলোতে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা করা হবে।
এ জন্য নাথানের হাতে খেলোয়াড়দের একটি তালিকা দিতে হবে নির্বাচক প্যানেলকে। তাই মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে মিটিংয়ে বসেছিলেন নির্বাচকরা।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল বিশ্বকাপ মাথায় রেখে দেয়ার পরিকল্পনা বিসিবির। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে ব্যাটিং অর্ডারে বড় পরিবর্তন আনা হতে পারে। বিপিএল ও ডিপিএলে দারুণ খেলা এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ বাদ পড়তে পারেন টি-টোয়েন্টি দল থেকে।
বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে শ্রীলঙ্কা সিরিজে ডাক পেয়েছিলেন বিজয় ও নাঈম। তবে একই দলে পাঁচজন ওপনারকে জায়গা দেওয়ায় সমালোচনার শিকার হয় বিসিবি।
একইভাবে মিডল অর্ডার ব্যাটার জাকের আলি অনিককে সুযোগ না দেওয়ায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন নির্বাচকদের সমালোচনা করেছিলেন চট্টগ্রামের একটি অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলনে।
তবে নতুন নির্বাচক প্যানেল নিয়োগ দেওয়ার পর জাকেরকে দলে নিয়ে চমক দেখান। উইকেটরক্ষক এ ব্যাটারও অভিষেকে ঝোড়ো ইনিংস খেলে বাজিমাত করেন। আলিস ইসলাম চোটে পড়ায় জাকেরকে দলে নেওয়া সহজ হয়েছিল প্রধান নির্বাচক লিপুর জন্য।
কিন্তু এবার সাকিব আল হাসানকে মাথায় রেখে দল গোছাতে হচ্ছে তাকে। এ ক্ষেত্রে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই কিছু পরিবর্তনের কথা মাথায় নিতে হচ্ছে নির্বাচকদের।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে হাঁটুতে চোট পেলেও বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকার খেলার মতো ফিট। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে রানিং করেছেন তিনি।
বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকেও ভালো রিপোর্ট গেছে নির্বাচকদের কাছে। সৌম্য, তামিম ও লিটনকে নিয়ে ওপেনিং স্লট। নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলীকে নিয়ে সাতজন ব্যাটার মোটামুটি চূড়ান্ত।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড চূড়ান্ত, বিমানের টিকিট পাচ্ছেন যারা
আর মাত্র দেড় মাস পরেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েটি বিশ্বকাপের নবম আসর। এই আসরকে কেন্দ্র করে স্কোয়াড গোছাতে মাঠে নেমে পড়েছে দলগুলো। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়, শক্তিশালী দল তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পারছে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নির্বাচক প্যানেল।
বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড প্রায় চূড়ান্ত বিসিবির। শুধু কয়েক জায়গায় বার বার চিন্তা করছে নির্বাচক, কোচ ও অধিনায়ক।
শ্রীলঙ্কার সিরিজের মাঝ পথে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। তবে আসন্ন বিশ্বকাপে তার ওপরেই ভরসা রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার সঙ্গী হিসেবে দেখা মিলবে সৌম্য সরকারের। বাড়তি ওপেনার হিসেবে দলে জায়গা পাচ্ছেন তরুণ তানজিদ তামিম।
লঙ্কানদের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে সৌম্যর বদলি হিসেবে খেলতে নেমে ৮১ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে কোচ এবং টিম ম্যানেজমেন্টের বিশ্বাস অর্জন করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। তিনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, এরপর তাওহীদ হৃদয় এবং সাকিব আল হাসানের জায়গা নিশ্চিত।
ফিনিশারের ভূমিকা পালনের জন্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পাশাপাশি তরুণ জাকের হোসেনকে দলে রাখতে চায় নতুন নির্বাচক প্যানেল। বিপিএলের পর লঙ্কানদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলেন এই ডান হাতি ব্যাটার।
বাংলাদেশের স্কোয়াডে তিন পেসার অটোচয়েজ। যেখানে রয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। তবে পেস বিভাগে শক্তি বাড়াতে লড়াই হচ্ছে তানজিম হাসান সাকিব ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মধ্যে। দীর্ঘ দিন ধরেই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব ভালোভাবেই টের পাচ্ছে টাইগাররা।
তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট হওয়ায় বিশ্বকাপ দলে সাইফউদ্দিনই এগিয়ে রয়েছে। কারণ, নতুন বলে সুইং এবং ডেথ ওভারে এই ডান বোলারের ইয়োরকার দেওয়ার দক্ষতা যেকোনো দলের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
অন্যদিকে স্পিন বিভাগে মূল ভূমিকায় থাকবেন সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গে দেখা যাবে লেগ স্পিন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন ও অফ স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী। বিপিএল এবং লঙ্কানদের বিপক্ষে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন এই দুই ক্রিকেটার। ফলে ১৫ সদস্যের স্কোয়াডের ১৪ জন ক্রিকেটার চূড়ান্ত।
তবে ১৫ নম্বর সদস্য কে হবে তা নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তা করছে নির্বাচকরা। একটি জায়গার জন্য লড়াই করছেন তানজিম হাসান সাকিব, শামীম হোসেন পাটেয়ারী ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে সাইফউদ্দিনকে দিয়ে চার পেসার নিশ্চিত হওয়ায় এই লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়েছেন তানজিম সাকিব।
তাই মিডিল অর্ডারের অভাব পূরণের জন্য শামীম ও আফিফের মধ্যে একজনকে বেঁছে নিতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে আফিফের বিপিএলের ব্যর্থতা এবং দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের বাইরে থাকায় শামীমের জায়গা অনেকটাই নিশ্চিত। এ ছাড়াও কোচ হাথুরুসিংহের অপছন্দের তালিকায় রয়েছেন আফিফ। ফলে সব কিছু মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়তো মিস করতে চলেছে এই বাঁহাতি ব্যাটার।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমদুউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিদ হাসান তামিম, শেখ মাহেদী ও শামীম পাটোয়ারী।
মোস্তাফিজের ‘বিকল্প’ নিলো চেন্নাই!
আর মাত্র কয়েক দিন পরই মোস্তাফিজুর রহমানের এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) অধ্যায় শেষ হতে যাচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই টাইগার এই পেসারের জায়গা কে পূরণ করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এবার সেই উত্তরই দিলো আইপিএলের সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজিটি!
আইপিএলের বাকি অংশের জন্য চেন্নাইয়ে যোগ দিয়েছেন ইংলিশ পেসার রিচার্ড গ্লিসন। প্রথমবারের মতো আইপিএলে খেলবেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ডেভন কনওয়ের বদলি হিসেবে তাকে দলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে এম এস ধোনির দল।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই কিউই ওপেনারকে নিয়ে শঙ্কা ছিল। বাঁ-পায়ের চোটে এবার পুরো আসর থেকেই ছিটকে গেছেন কনওয়ে। গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে চোটে পড়েছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছিল, মে’র মাঝামাঝিতে ফিরতে পারেন কনওয়ে। তবে তা আর হচ্ছে না। আর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের লাইনআপ যথেষ্ট শক্তিশালী বিবেচনায় পেসার গ্লিসনকে দিয়ে স্লটটি পূরণ করেছে তারা।
এদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য মে’র প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরবেন দ্য ফিজ। তাকে ১ মে পর্যন্ত এনওসি (অনাপত্তিপত্র) দিয়েছিল বিসিবি। তাই নিশ্চিতভাবেই তাকে এবারের আইপিএলে আর পাচ্ছে না চেন্নাই। চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেছেন ফিজ। এতে টুর্নামেন্টের সেরা উইকেট শিকারির তালিকাতেও আছেন তিনি।
কনওয়ের পরিবর্তে ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে গ্লিসনকে দলভুক্ত করেছে চেন্নাই। ইংলিশদের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেললেও এখনও এই পেসারের টেস্ট-ওয়ানডে খেলা হয়নি।
৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০ দশমিক ৭৮ গড় ও ৮ দশমিক ৯ ইকোনমিতে ৯ উইকেট শিকার করেছেন ৩৬ বছর বয়সী পেসার। ভারতের বিপক্ষে নিজের অভিষেকে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও রিশাভ পান্তের উইকেট শিকার করেছিলেন গ্লিসন।
বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন ডানহাতি এই পেসার। টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ উইকেটসহ ১০০-এর বেশি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও দুর্দান্ত রেকর্ডের মালিক এই পেসার। ৩৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১৪৩ উইকেট রয়েছে গ্লিসনের।
হলিউড-বলিউড হার মানবে যাদের কাছে!
এই দৃশ্য দেখে কিছুক্ষণের জন্য ভয়ে যে কারও হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যেতেই পারে। মনে হতেই পারে এটি হলিউড বা বলিউড সিনেমার কোনো দৃশ্য। তবে এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। এটি চট্টগ্রামের কাজির দেউরির দুঃসাহসী দুই তরুণ সাজ্জাদ ও মিনহাজের ছুটে চলার গল্প।
ছোটবেলা থেকেই পারকোরের নেশায় আসক্ত তারা। নিজ থেকেই দীর্ঘ ৭ থেকে ৮ বছর অনুশীলনের ফলে আজ তারা অনায়াসে পাড়ি দিতে পারে যেকোনো দুর্গম পথ। ‘সাজ্জাদ অ্যান্ড মিনহাজ’ নামে একটি পেজে টেম্পল রান, ক্রেজি থিফ চেইসিং, এস্কেইপ বিল্ডিং, সাবওয়ে সার্ফারের মতো থিমে নিজেদের পারকোর ভিডিও আপলোড করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে তারা।
তবে এই পথ চলার গল্পটা ততটা সহজ ছিল না। শুরুতে তাদের শুনতে হয়েছে মানুষের কটুকথা। ছিল পরিবারের বাধাও। তবে এখন তারাই বাহবা দিচ্ছে পারকোর বয়েজদের।
মিনহাজের ভাষ্য, ছোটবেলা থেকেই পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা ছিল। মারধরও করতো। বলতো, এটা রিস্কের ব্যাপার। শুরুর দিকে পরিবার থেকে সাপোর্ট পেতাম না। এখন মোটামুটি সাপোর্ট পাচ্ছি।
‘সাজ্জাদ অ্যান্ড মিনহাজ’ নাম দিয়ে একটি পেজ খুলে নিজেদের পারকোরের ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিও আপলোড করে তারা। এরপর রাতারাতি সেটাতে ১৮ লাখ মানুষের ভিউ পড়ে। প্রচলিত ভাষায় যেটাকে বলা যায় ‘ভাইরাল হওয়া’। বাংলাদেশে ভিন্নধর্মী এই খেলা ছিল একেবারেই নতুন কিছু। মানুষের সাধুবাদ তাদের উৎসাহকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
সাজ্জাজের মন্তব্য, কার্টুন থেকেই আমার মধ্যে আগ্রহ জাগে। আমিও চেষ্টা করব। কার্টুন থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই জগতে আসা।
আন্তর্জাতিক পারকোরে বাংলাদেশের হয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন সাজ্জাদ- মিনহাজ জুটি। তবে অনুশীলন সরঞ্জাম ও প্লে-গ্রাউন্ডের অভাবসহ নানা সীমাবদ্ধতায় তাদের স্বপ্নের এই যাত্রাটা বেশ কঠিন। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে অবশ্য বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পতাকা মেলে ধরা সম্ভব বলে মত এই দুই তরুণের।
নিজের পায়ে কি নিজেই কুড়াল মারলেন তামিম ইকবাল?
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি রয়েছে আর মাত্র দেড় মাস। চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্ট কেন্দ্র করে দলে গঠনের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে অংশ গ্রহণকারী দলগুলোর নির্বাচকরা। তবে দল নির্বাচনকে ছাপিয়ে টাইগার ক্রিকেটে এখনও আলোচনা কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে তামিম ইকবাল। এই বাঁহাতি ব্যাটারের দলে ফেরা না ফেরার নাটক যেনো কোনোভাবেই শেষ হচ্ছে না।
গত বছর আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তামিম। তবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরেন দেশসেরা এই ওপেনার। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান তিনি।
এরপর ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েন তামিম; যা নিয়ে ব্যাপক সামালোচনার শিকার হতে হয় বিসিবিকে। এর মধ্যেই চাপা পড়ে যায় তামিমের হঠাৎ করে অবসর নেওয়ার রহস্য। বিষয়টি এখনও পরিষ্কার করেনি কোনো পক্ষই।
তবে একটু চিন্তা করলে বোঝা যায়, নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরেছেন তামিম ইকবাল। যদি খেয়াল করি, ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২২ এশিয়া কাপকে কেন্দ্র করে টি-টোয়েন্টি দলের তামিমকে ফেরানোর জন্য অনেক বার আলোচনায় বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সে সময় তিনি বার বার একটা কথা বলে গেছেন পাপনকে। যে টি-টোয়েন্টি নিয়ে এই মুহূর্তে তিনি ভাবছেন না। তার ভাবনায় শুধু ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তবে সেই সময় ওপেনার শঙ্কটে ভুগছিল দল।
মূলত, ২০২১ সালে তৎকালীন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তামিম ইকবালের টি-টোয়েন্টির স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যার পরই বেঁকে বসেন এই বাঁহাতি ওপেনার। বার বার আলোচনা করেও তামিমকে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরাতে পারেননি পাপন। তাই তামিমের এমন বেছে খেলার পরিকল্পনা ভালো না লাগারই কথা বিসিবির।
সেই বছর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অধীনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় টাইগাররা। এতে অধিনায়কত্বের সঙ্গে সঙ্গে টি-টোয়েন্টি দল থেকে নিজের জায়গা হারান রিয়াদ। এরপর সাকিবের কাঁধে ওঠে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব।
এরপর বিশ্বকাপের বছরে টাইগারদের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পান চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ২০২২ সালে ব্যাট হাতে রান পেলেও ২০২৩ সালে ১১ ইনিংসে মাত্র একটিতে ফিফটি তুলতে পারেন তামিম।
তবে আফগানিস্তানের সিরিজের প্রথম ম্যাচে পুরোপুরি ফিট না হয়ে ফেলার বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করায় তামিমকে নিয়ে বিসিবি সভাপতির কাছে অভিযোগ করেন কোচ হাথুরুসিংহে। যেখান থেকেই নাটকের সূচনা হয়।
সিরিজের মাঝ পথে অবসরের ঘোষণা দিয়ে বসেন তামিম। যার উত্তাপ মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে পুরে দেশে। পরিস্থিতি সামলাতে পর দিন তামিমকে সঙ্গে নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এরপরই অবসর ভেঙ্গে ক্রিকেটে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। আপাতত দৃষ্টিতে বিষয়টির সমাধান হয়েছে মনে হলেও আসলেই কি সমাধান হয়েছিল?
তামিমের হঠাৎ অবসর নেওয়ার কারণ জানতে পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করতে হয় বিসিবি বসকে। বিষয়টি পাপনের কাছে ভালো না লাগারই কথা। এদিকে দেড় মাস ছুটিতে থাকায় এশিয়া কাপ মিস করেন তামিম। এ সময় দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব ওঠে সাকিবের কাঁধে। এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়েন মাহমুদউল্লাহ।
তবে পুরো দায় ওঠে অধিনায়ক সাকিবের কাঁধে। এখানে তামিমের একটি মন্তব্য বড় ভূমিকা পালন করেন। ইনজুরি কারণে ছুটিতে থাকলেও বিসিবির চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে মিরপুরে আসেন তামিম। এসময় বিসিবির এক কর্মচারীকে তামিম বলে বসেন, ‘রিয়াদ ভাইকে দল থেকে বাদ দিয়েদিলেন’। এই ঘটনা চোখ এড়ায়নি গণমাধ্যম কর্মীদের।
যার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই। নেটিজেন মধ্যে ধরণা তৈরি হয় সাকিবের ইচ্ছায় এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে আলোচনার ভিড়ে চাপা পড়ে যায় তামিমের অধীনেই আয়ারল্যান্ড সিরিজে ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েন রিয়াদ।
এদিকে এশিয়া কাপে দল খারাপ করলেও ওপেনিং দুর্দান্ত ব্যাট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ, বিশেষ করে আফগানিস্তান ম্যাচে। সবশেষ আফগানিস্তান ম্যাচগুলোতে ফারুকীর বলে দ্রুত উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন তামিম। তাই বিশ্বকাপেও আফগানিস্তান ম্যাচে মিরাজকে দিয়ে ওপেন করানো কথা ভাবছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। অন্যদিকে ওপেনিংয়ে ছাড়া খেলবেন না তামিম এটা ভালো করেই জানতে বিসিবি।
ফলে এই সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে তারা। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তামিমকে নিচের দিকে ব্যাট করার প্রস্তাব দেওয়ার হয় ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে। তবে বিষয়টি ভালোভাবে নেননি তামিম। যার ফলেই বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েন তামিম। অন্যদিকে সেই সময় বন্ধু সাকিবের সঙ্গে দ্বন্দ্বের বিষয়টিও আগে থেকেই ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে বিশ্বকাপ দল থেকে তামিমের বাদ পড়ার পিছনে ভিলেন বানানো হয় সাকিব আল হাসানকে।
এতে পুরো ক্রিকেট ভক্তরা সাকিবের বিপক্ষে প্রতিবাদ শুরু করে। কিন্তু সব কিছু ভিড়ে একটা প্রশ্ন চাপা পড়ে যায়, সাকিবের কি তামিমকে বাদ দেওয়ার ক্ষমতা আছে? যেখানে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তামিমকে ক্রিকেটে ফিরিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজে।
সুতরাং বোঝা যায় তামিমের দুর্বলতা এবং সাকিবের দ্বন্দ্বকে ভালোভাবেই কাজে লাগানে হয় তাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে। আর সেটার সুযোগ করে দিয়েছেন তামিম ইকবাল নিজেই।
কারণ, অনেকেই মনে করেন সেদিন তামিমকে প্রস্তাবটা দিতে পারতেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অথবা কোচ নিজেই। কিন্তু সাকিবের সঙ্গে তামিমের দ্বন্দ্বের কথা সবার জানা এবং আফগানিস্তান সিরিজের মাঝ পথে হুট করে অবসর নেওয়ায় হাথুরুসিংহের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না তামিমের। এমন অবস্থায় সাকিব কিন্তু কোচের কাছে থেকে প্রস্তাব আশার করাটা কতটা যৌক্তিক এটাও বড় প্রশ্ন।
তবে তামিম বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতেও পারতেন। কারণ ইনজুরির কারণে দলের বাইরে ছিলেন অনেক দিন। ফলে আফগানিস্তান ম্যাচ বাদ দিয়ে বাকি ম্যাচগুলোতে ভালো করা পরিকল্পনা করতেই পারতেন দেশসেরা এই ওপেনার। এতে বিসিবির ভুল পরিকল্পনার জবাব এবং নিজের সেরাটা দেওয়ার সক্ষমতাও দেখাতে পারতেন কি না তিনি? যেমনটা করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম করে বিসিবির অবহেলার যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন দেশসেরা এই ফিনিশার ব্যাটার। পেশাদার ক্রিকেট এমনটাই হওয়া উচিক নয় কি? ফলে বিসিবির পাতানো ফাঁদে পা দিলে এখনও লাল সবুজের জার্সিতে নিয়মিত দেখা যেতো তামিমকে।
তবে সম্প্রতি তামিমকে দলে ফেরাতে নানা ধরনের গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কতটা বাস্তবে রূপ নেই সেটাই দেখার বিষয়।