• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রোনালদিনহো ছাড়াও জেল খেটেছেন যে ফুটবলাররা

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ৩০ মার্চ ২০২০, ১৮:২০
Ronaldinho
রোনালদিনহো

কয়েকদিন আগে ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোনালদিনহো প্যারাগুয়েতে আটক হন। জাল পাসপোর্ট রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয় ২০০২ সালের বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকাকে। বন্দি হওয়ার পরও জেল খানায় ফুটবল খেলতে দেখা গেছে একবারের ব্যালন ডি’ অর জয়ী মিডফিল্ডারকে। বার্সেলোনার সাবেক প্রাণভোমরা ছাড়াও অনেক ফুটবলার কয়েদখানায় গেছেন।

এক নজরে দেখে নেবো কারা কোন কারণে বন্দিশালায় ছিলেন

অ্যাডাম জনসন

২০১৫ সালের মার্চে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের উইঙ্গার অ্যাডাম জনসনের ওপর অভিযোগ আনা হয় ১৫ বছর বয়সী এক মেয়েকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভিযোগ যখন প্রমাণিত হয় তখন সান্ডারল্যান্ড থেকে প্রতি সপ্তাহে তার আয় ছিল ৬০ হাজার পাউন্ড।

ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রমাণ মেলার সঙ্গে সঙ্গে ক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই বছর মার্চে প্রাথমিকভাবে ছয় বছরের জন্য কারাদণ্ড দেয়া হয় ইংলিশদের হয়ে ১২ ম্যাচ খেলা জনসনকে। তিন বছর সাজা কাটিয়ে গেল বছর ২২ মার্চ মুক্তি পেয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত কোনও দলই ৩২ বছর বয়সী এই উইঙ্গারের সঙ্গে চুক্তি করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। অর্থাৎ সেখানেই ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি, লিডস ইউনাইটেডের মতো দলের হয়ে খেলা এই তারকার।

ইয়ান রাইট

আর্সেনালের সর্বোচ্চ গোল দাতার মালিক থিয়েরি অঁরি (২২৮)। মূলত ২০০৫ সালে ইয়ান রাইটকেই (১৮৫) টপকেই এই রেকর্ড গড়েছিলেন অঁরি। ১৯৯১ সালে গানার্সদের হয়ে খেলা শুরু করেন রাইট। একই বছর ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়েও অভিষেক হয় এই ফরোয়ার্ডের। নব্বইয়ের দশকে তারকা হয়ে ওঠার আগেই জেল খাটতে হয়েছিল রাইটকে। লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর দায়ে দুই সপ্তাহ জেলে ছিলেন। আর্সেনাল কিংবদন্তি জানিয়েছেন, জেলের ভেতরের সুশৃঙ্খল জীবন যাপন পরবর্তীতে ফুটবলে বেশ কাজে দিয়েছে। বর্তমানে ইংলিশদের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফুটবল পণ্ডিত হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

ছেদ ইভান্স

২০১১ সালের মে মাসে ওয়েলসের একটি হোটেলে ১৯ বছর বয়সী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে দেশটির জাতীয় দলের ফুটবলার ছেদ ইভান্সের বিরুদ্ধে। পরের বছর এপ্রিলে তা প্রমাণিত হলে পাঁচবছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক এই স্ট্রাইকারকে। সেই সময় শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে খেলা ইভান্স অবশ্য ২০১৪ সালেই মুক্তি পান জেল থেকে। মিথ্যা মামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাই তার পক্ষে আন্দোলনও হয়। অবশেষে ২০১৬ সালে বেকসুর খালাস পান ইভান্স। এরপর চেস্টারফিল্ডের সঙ্গে চুক্তি হয় তার। শেফিল্ডে আবারও খেলার সুযোগ পান। বর্তমানে ফ্লিটাউনের হয়ে খেলছেন ৩১ বছর বয়সী ইভান্স।

লি হিউজ

ওয়েস্ট ব্রমউইচের সাবেক স্ট্রাইকার লি হিউজকে খুনের দায়ে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। ২০০৪ সালে এক বন্ধুসহ গাড়ি চালাচ্ছিলেন হিউজ। অতিরিক্ত গতি থাকায় সামনে থেকে আসা আরেকটি গাড়িতে ধাক্কা দেন তিনি। গাড়িতে থাকা ডগলাস গ্রাহাম নামের ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলেন দুইজন। সেদিন ঘটনাস্থল দ্রুত ত্যাগ করেন তিনি। যদিও ৩৬ ঘণ্টা পর পুলিশের কাছে আটক হন। সাজা কমিয়ে তিন বছরের মাথায় মুক্তি পান এই স্ট্রাইকার।

২০১১ সালে যৌন নিপীড়নের দায়ে আটক হয়েছিলেন লি হিউজ। তবে জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তিনি। ৪৩ বছর বয়সেও নন লিগ দল গ্র্যানথাম টাউনের হয়ে খেলছেন তিনি।

লুক ম্যাককরমিক

২০০৮ সালে সতীর্থ ডেভিড নরিসের বিয়ে থেকে ফেরার পথে দুটি শিশুকে খুনের দায়ে সাত বছর চার মাসের সাজা পান লুক ম্যাককরমিক। প্লাইমাউথ আগ্রেইলের তৎকালীন এই গোলকিপারের গাড়ির নিচে যে দুই শিশু চাপা পড়েছিল তাদের বয়স যথাক্রমে ৮ ও ১০। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। ২০১২ সালে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও গোল পোস্টের নিচে দাঁড়ান ট্রুরো সিটি, অক্সফোর্ড ইউনাইটেড হয়ে আবারও প্লাইমাউথে যোগ দেন। বর্তমানে সুইনডন টাউনের জার্সিতে খেলছেন ৩৬ বছর বয়সী ম্যাককরমিক।

টনি অ্যাডামস

মদ্যপ অবস্থায় একটি দেয়ালে গাড়ি ঠেকে দিয়ে চার মাস জেল খাটতে হয়েছিল টনি অ্যাডামসকে। মদের বিপক্ষে যুদ্ধে জয়ী হয়ে আর্সেনালের ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক হবার গৌরব অর্জন করেছিলেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডার।

জারমাইন পেনাট

আর্সেনালের ইংলিশ ফুটবলার জারমাইন পেনাট ২০০৫ সালে মদ্যপ হয়ে গাড়ি চালানোর দায়ে তিনমাসের কারাভোগ করেন। ছাড়া পেয়ে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ইলেকট্রনিক ট্যাগ (আদালতের দেয়া আসামীদের জন্য বিশেষ ডিভাইস, যা দিয়ে গতিবিধি নজরে রাখা যায়) পড়ে মাঠে নেমেছিলেন। লিভারপুল, রিয়াল জারাগোজার জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন পেনাট।

ডানকান ফার্গুসন

ফুটবল ম্যাচে অপরাধ করে কারাভোগ করা প্রথম খেলোয়াড়ের নাম ডানকান ফার্গুসন। মাঠে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ৪৪ দিন জেলে ছিলেন স্কটল্যান্ডের স্ট্রাইকার। ১৯৯৪ সালে রেইথ রোভার্সের ডিফেন্ডার জন ম্যাকস্টের মুখে নিজের মাথা দিয়ে আঘাত করেন রেঞ্জার্স স্ট্রাইকের ফার্গুসন।

ঘটনার পর ইংল্যান্ডে ফিরে যান তিনি। এভারটনের কিংবদন্তি হয়ে দুই মৌসুম খেলেছেন নিউক্যাসেলের জার্সিতেও।

মারলন কিং

নারী লাঞ্ছনা, গাড়ি চুরি ও বাজে ড্রাইভিংয়ের জন্য ১৮ মাস জেলে থাকতে হয় বিরমিংহ্যাম সিটির তারকা মারলন কিংকে। ২০১৪ সালে জ্যামাইকা জাতীয় দলের এই স্টাইকারকে জেলে পাঠানো হয়। ক্যারিয়ারে লিডস, ওয়েটফোর্ড ও শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছেন তিনি।

ওয়াই

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh