২০১১ সালে ক্যারিয়ারের শেষ ইংল্যান্ড সফর করেন শচিন টেন্ডুলকার। পুরো টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাসেনি ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর খ্যাত এই মহাতারকার। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ৯৯টি শতক নিয়ে সেবার শততম শতকটির স্বপ্নে বিভর ছিলেন তিনিও। দীর্ঘ একবছরের প্রতীক্ষার পর ওভালে আসে সেই সুযোগটি। সিরিজের শেষ টেস্টে পৃথীবির বুকে প্রথমবারের মতো এই রেকর্ডটি গড়ার খুব কাছে চলে যান। যদিও নার্ভাস নাইনটিতে এসে থামতে হয়েছিল তাকে। টিম ব্রেসনানের বলে এক বির্তকীত সিদ্ধান্তে আউট হয়ে যান মাস্টার ব্লাস্টার। যার কারণে ইংলিশ পেসারকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়।
৯১ রানের মাথায় টেন্ডুলকারকে আউট দেয়ায় আম্পায়ার রড টাকাকেও একই রকম হুমকি পেতে হয়েছিল। ইয়র্কশায়ার ক্রিকেটের একটি পোডকাস্টে এসে এমন তথ্য দেন ব্রেসনান।
তার ভাষায় কথায়, আমি এবং আউটের সিদ্ধান্ত দেওয়া আম্পায়ার দুজনকেই এরপর কয়েক বছর খুনের হুমকি দেয়া হয়েছিল।
ব্রেসনান জানিয়েছেন শততম শতরান মিস করেও পরদিন সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিলেন টেন্ডুলকর। একইসঙ্গে পেসার জানান, তারও মনে হয়েছিল বলটা সম্ভবত লেগ স্টাম্প মিস করে যাচ্ছিল।
তিনি বলেন, সেই ঘটনার অনেকদিন পরও আমরা হুমকি পেয়েছি। আমি টুইটারে পেতাম হুমকি। আম্পায়ারকে তার বাসার ঠিকানায় নানান ভয় দেখানো হতো।
ব্রেসনান আরও বলেন, ম্যাচের কয়েকমাস পর রড টাকারের সঙ্গে দেখা হয়েছি ব্রেসনানের। সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন নিরাপত্তাকর্মী সঙ্গে নিয়ে চলাচল করছেন তিনি। বাসার সামনে পুলিশের পাহারা ছিল।
অবশেষে ২০১২ সালে বাংলাদেশের মাটিতে ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট শতক করেছিলেন শচিন টেন্ডুলকার।
ওয়াই