এটাই ক্যারিয়ারের সেরা গোল: মতিন
মতিন মিয়ার জোড়া গোলে শ্রীলঙ্কাকে বিদায় করে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবলে লঙ্কানদের ৩-০ ব্যাবধানে হারিয়েছে লাল-সবুজরা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৭ মিনিটে মানিক হোসেন মোল্লার দেয়া পাসে গোল করে স্বাগতিক দর্শকদের উল্লাসে মাতান মতিন।
পিছিয়ে পড়ে গোল পরিশোধের চেষ্টা করে শ্রীলঙ্কা। তবে স্বাগতিকদের রক্ষণভেদে ব্যর্থ হয় লঙ্কানরা। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় লাল-সবুজরা। তাতেই তছনছ সফরকারীদের রক্ষণ। ৬৪ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে লম্বা দৌড়। কয়েকজনকে কাটিয়ে দুর্দান্ত এক গোলে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাবধান দ্বিগুণ করেন মতিন। ম্যাচ শেষ সংবাদ সম্মেলনে এই গোলটিকেই ক্যারিয়ারের সেরা গোল বলে উল্লেখ করেছেন সিলেটে জন্ম নেয়া এই ফরোয়ার্ড।
‘এটাই ক্যারিয়ারের সেরা গোল। কারণ এর আগে আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল পাইনি।’
গেল বছর বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাই পর্বে লাওসের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো একাদশে নেমেছিলেন মতিন।
‘জাতীয় দলের হয়ে ১০/১২টা ম্যাচ খেলেছি। লাওসের বিপক্ষে প্রথম থেকে খেলেছিলাম।’
এবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নেমে দলকে রক্ষা করলেন।
‘গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে দুটি গোল। দেশের জন্য কিছু করতে পেরে ভালো লাগছে। এই ম্যাচের জন্য আমরা সেমিফাইনাল খেলতে পারছি।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন উল্লেখ করে মতিন বলেন, ‘লক্ষ্য ছিল গোল করার, সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়েছি। ফুটবল গোলের খেলা। ফিনিংশ করতে পেরেছি এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।’
বসুন্ধরা কিংসের হয়ে অনেক সময় রাইট উইং কখনও স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতে দেখা যায় তাকে। কোন পজিশনে খেলতে পছন্দ করেন মতিন?
‘রাইট উইং-স্ট্রাইকার একই রকম মনে হয়। ক্লাবের কোচ আমাকে অনেক সময় রাইট উইংয়ে খেলিয়েছেন। অনেক সময় স্ট্রাইকার হিসেবেও খেলি। রাইট উইং, লেফট উইং বা স্ট্রাইকার আসলে যে পজিশনই হোক আমার কাছে একই রকম মনে হয়।’
এদিকে দলের প্রধান কোচ জেমি ডে’র মুখেও মতিন বন্দনা।
‘মতিন দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলেন। প্রতিটি ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সুযোগ পেয়েই কাজে লাগাতে পেরেছে। এটাই সবচেয়ে ইতিবাচক।’
ওয়াই/পি
মন্তব্য করুন