• ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
logo
আপনার জুতার যে সমস্যাগুলো অসুস্থতা বাড়ায়
সুন্দর জুতার পাশাপাশি সেটা যাতে আরামদায়ক হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। কারণ পায়ের স্বাস্থ্যের জন্যও এটা উপকারী। বাজারে এখন বিভিন্ন লুকের, বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা বেরিয়েছে। দাম আর ব্র্যান্ড দেখেই মানুষ জুতা কিনে থাকেন। কিন্তু এই জুতার কারণেও আপনার শরীরে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে, জানেন? হিল, সমান্তরাল, হাঁটা কিংবা অফিসে যাওয়ার জুতা যদি প্রথমেই পরতে গিয়ে অস্বস্তি হয় তাহলে সেটা পরা আর কখনও ঠিক হয় না। কারণ জুতার কারণেই বাড়তে পারে আর্থ্রাইটিস, হাঁটুর সমস্যা, ফ্ল্যাটফিটের মত সমস্যাগুলো। বিএইচইউর একটি সমীক্ষা অনুসারে নিজের আরাম অনুসারে ঠিকঠাক মাপের জুতা না কেনার জন্য অনেক তরুণ খেলোয়াড় অনেক আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী এমন ১০০০ থেকে ১৫০০ জন খেলোয়াড়কে এই প্রশ্ন করা হয়েছে সমীক্ষার মাধ্যমে। তাদের সকলেরই বক্তব্য জুতোর কারণেই তাদের অনেক সময় পায়ের সমস্যা দেখা দিয়েছে, ব্যথা, আর্থ্রাইটিসের মত সমস্যা এসেছে। এই বিষয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের পা-বিষয়ক চিকিৎসক জোডি আর.শোয়েনহাস বলেন, সঠিক মাপের জুতা দেহের ভারসাম্যে সামঞ্জস্য আনার পাশাপাশি সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উপকার করে। জুতা পরার অস্বস্তি থেকে পায়ে অস্বস্তি, আঙ্গুলে ব্যথা, পেশিতে টান ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। আর দীর্ঘদিন এভাবে চললে অবস্থা গুরুতর হতে পারে। তাই সবসময় আরামদায়ক জুতা পরার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক। সঠিক জুতা নির্বাচনের জন্য কয়েকটি বিষয় জেনে নিন — প্রতি বছর পায়ের মাপ নেওয়া: শুনতে অবাক লাগতে পারে, তবে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও পায়ের গঠন পরিবর্তন হয়- একই প্রতিবেদনে মন্তব্য করেন মার্কিন চরণ-চিকিৎসক এলিজাবেথ ডর্থি। তিনি বলেন, বয়সের সাথে পায়ের পাতার সংযোগ স্থলে পরিবর্তন, কোলাজেন’য়ের স্থিতিস্থাপকতা কমা ইত্যাদি থেকে পায়ের আকার পরিবর্তিত হয়। এছাড়া ওজন বাড়া বা কমা, নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান ধারণ ও প্রসবের পর পায়ের রূপান্তর হতে পারে। তাই বছরে একবার অন্তত পায়ের মাপ নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেন ডা. ডর্থি। পায়ের পাতার প্রস্থ বিবেচনা করা: শুধু লম্বায় নয় আরামদায়ক জুতা বেছে নিতে পায়ের পাতার প্রস্থের দিকেও নজর দিতে হয়ে। ডা. শোয়েনহাস বলেন, বেশি চিকন জুতা ব্যবহার করলে পায়ে ব্যথা হবে। সেই সাথে পড়বে পেশিতে চাপ। আবার কারও পায়ের পাতা সরু হলে সে চওড়া জুতা পরলে হাঁটায় ভারসাম্য থাকবে না। পিছলে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। দিনের শেষে জুতা কেনা: বয়সের সাথে যেমন পায়ের আকার পরিবর্তিত হতে পারে তেমনি সকালের চেয়ে বিকাল বা সন্ধ্যায় পায়ের পাতায় ভিন্নতা আসে। তাই ডা. ডর্থি পরামর্শ দেন, সবসবময় দিনের শেষভাগে জুতা কেনার চেষ্টা করুন। কারণ সারাদিন পর পা একটু ফুলে থাকতে পারে। যে কারণে দিনের প্রথমভাগে কেনা জুতা দিন শেষে পরলে অনেক সময় আঁটসাঁট লাগে। পায়ের পাতার মাঝের অংশের ভারসাম্য রক্ষা: পায়ের পাতার মাঝের অংশ বাঁকা থাকে। যে কারণে এই অংশে জুতার সঠিক ভার বহনের ক্ষমতা থাকতে হবে। অনেকের পায়ের পাতার মাঝের অংশ বেশি বাঁকানো হয়। এক্ষেত্রে কিছুটা উঁচু হিল’য়ের জুতা পরা উপকারী- বলেন ডা.শোয়েনহাস। যে জুতা পায়ের পাতার বাঁকানো অংশে ভালো ভারসাম্য দেবে না, সেটা ভালো হবে না। আঙ্গুলের সামনে কিছুটা ফাঁকা জায়গা থাকা: জুতার অগ্রভাগ পায়ের আঙ্গুল লেগে থাকলে স্নায়ুতে চাপ পড়ে। সেই সাথে কড়া পড়া, আঙ্গুলে ব্যথা হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। জুতার সামনের দিক চওড়া বা আঙ্গুল যাতে স্বচ্ছন্দে থাকে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। আর সামনের দিকে সরু জুতা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে পায়ের সবচেয়ে বড় আঙ্গুলের থেকে অন্তত আধা ইঞ্চি যেন বাড়তি জায়গা থাকে সেটা খেয়াল করতে হবে। আলাদা কুশন: পায়ের পাতায় আরাম দেওয়ার জন্য অনেক জুতার ভেতর আলাদা কুশন দেওয়া থাকে। এই কুশনগুলো অতিরিক্ত চাপ গ্রহণ করে পায়ের ওপর চাপ কমায়। উপলক্ষ্যের ভিন্নতায় জুতা নির্বাচন: উদ্দেশ্যে অনুযায়ী জুতা বাছাই করতে হবে।। ডা. শোয়েনহাস বলেন, যেমন- খেলতে বা হাঁটতে গেলে গোড়ালিতে ভালো ভারসাম্য দেয় এমন জুতা পরা উচিত। এক্ষেত্রে স্নিকার্স উপকারী। আবার ভারোত্তলন বা এই ধরনের ব্যায়ামের জন্য সমতল জুতা ভালো। হাঁটার জন্য হালকা পাদুকা বাছাই করতে হবে। জোর না করা: ডা. শোয়েনহাস’য়ের ভাষায়, যে জুতা প্রথমেই পরতে জোর দিতে হয় সেটা কখনই আর ঠিক হয় না। একটা কথা প্রচলিত আছে, কয়েকদিন ব্যবহারের পর জুতা আকার একটু বড় হয়। কথাটা ঠিক। তবে যেটা পরতে জোর দিতে হয় সেটা ছাড়লেও আরামদায়ক হয় না। কেনার সময় পরতে গিয়ে জুতা জোর করে পায়ে গলাতে হলে, সেটা কেনা বাদ দিতে হবে। তাই দোকানে গিয়ে অতি পছন্দ হওয়ার পর, পায়ে আরাম না দিলে সেই জুতা কেনা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক। সঠিক মাপের জুতা বাছাই: একইভাবে বাচ্চাদের মাপের চাইতে বড় জুতা পরানোর অভ্যাস রয়েছে অনেক অভিভাবকের, যা মোটেও ভালো নয়। এতে শিশুদের পায়ের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আরামদায়ক জুতা না পরলে অনেকক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি হতে পারে। আরটিভি/এফআই
১৫ ঘণ্টা আগে

৩৯০ কোটিতে বিক্রি হলো জুডির সেই জুতা জোড়া!
‘দ্য উইজার্ড অব ওজ’ হলিউডের কালজয়ী সিনেমাগুলার একটি! ত্রিশের দশকে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে রীতিমত অমরতা লাভ করেছেন কিংবদন্তী অভিনেত্রী জুডি গারল্যান্ড! বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম এই ক্লাসিক সিনেমাটির গুরুত্ব এখনো কতোটা, তার কিছুটা আন্দাজ করা যাবে শনিবারের একটি নিলামের খবরে! এল ফ্র্যাঙ্ক বমের শিশুতোষ ফ্যান্টাসি উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে হলিউডে ‘দ্য উইজার্ড অব ওজ’ মুক্তি পায় ১৯৩৯ সালে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ছবিটি এখনো দর্শক হৃদয় জয় করে চলেছে! শুধু এই ছবি কিংবা অভিনেত্রী নয়, এর সঙ্গে যুক্ত যেকোনো স্মারকও বেশ মূল্যবান! সম্প্রতি ‘দ্য উইজার্ড অব ওজ’-এর আইকনিক রুবি স্লিপার নিলামে তোলা হয়। যার প্রস্তাবিত মূল্য ছিলো সাড়ে ১৫ লাখ ডলার। যেখানে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ২৫ জনের মতো ক্রেতা! নিলামে সেই রুবি স্লিপারের চূড়ান্ত দাম উঠে ২৮ মিলিয়ন ডলারে! নিলামে বিজয়ী সেই ক্রেতা আরো সাড়ে চার মিলিয়ন ডলার যোগ করে ৩২.৫ মিলিয়ন ডলারে ‘দ্য উইজার্ড অব ওজ’ এর সেই আইকনিক রুবি স্লিপার কিনে নেন! বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা! হলিউড স্মৃতিচিহ্নের নিলামের ইতিহাসে এটিকেই সর্বোচ্চ মূল্য বলে জানিয়েছে সিএনএন! এই জুতা জোড়া নিয়ে অতীতে বহু নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে! জুডি গারল্যান্ড ব্যবহৃত এ জুতা ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার একটি জাদুঘর থেকে চুরি হয়ে যায়। পরে ২০১৮ সালের এফবিআইয়ের এক অভিযানে উদ্ধার হয়।  আরটিভি /এএ 
১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:২১

কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে জুতাপেটা, ২ নারী গ্রেপ্তার
‘দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে জুতাপেটা করেছেন দুই নারী’ এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়ার কোর্ট স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী জুতা হাতে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যকে মারধর করছেন। মারধরে তার সঙ্গে যোগ দেন আরেক নারী। মারধর করে ওই দুই নারী ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। জানা গেছে, সোমবার সকালে মসজিদের মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল। তখন স্টেশনে ট্রেনের সিগন্যাল পড়ে। স্থানীয়রা বলেন, ওই দুই নারী একটি বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। এ সময় সড়কে অতিরিক্ত যানজট থাকায় রিকশায় থাকা দুই নারীর রিকশা আটকে দেন ট্রাফিক পুলিশের ওই কনস্টেবল। তবে তারা ট্রেনের সিগন্যাল উপেক্ষা করে জোরপূর্বক যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ কনস্টেবল। সেখান থেকেই শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। স্থানীয় একটি ফার্মেসির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই দুই নারীর সাথে থাকা শিশুকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে ট্রাফিক পুলিশের দিকে তেড়ে এসে প্রথমে একজন ধাক্কা দেয়। এরপর আরেকজন ট্রাফিক পুলিশের মুখে জুতা দিয়ে আঘাত করে। তারপর তাদের সাথে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা ঠেকালে ওই দুই নারী চলে যায়। এদিন বিকেলে ওই পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। এজাহারে ওই দুই নারীর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে পরিচয় শনাক্ত করার পর শহরের থানাপাড়ার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী সোহানা ইসলাম (৪৪) ও হাউসিং বি ব্লকের বাসিন্দা রিপন হোসেনের স্ত্রী সানজিদা আক্তার শান্তা (৩৯) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শান্তার স্বামী রিপন জানান, সন্ধ্যায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা প্রথমে তাকে দোকান থেকে তুলে নেন। পরে বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেন। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘একজন মুরব্বি (বয়োজ্যেষ্ঠ) ট্রাফিক সদস্য ডিউটি করছিলেন। ট্রেন চলে আসায় লেভেল ক্রসিংয়ের বার নামিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় একজন নারী রেলপথ পার হওয়ার চেষ্টা করলে ওই পুলিশ সদস্য বাধা দেন। প্রথমে ওই নারী অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরে আরেক নারীকে সঙ্গে নিয়ে এসে পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন।’ আরটিভি/এসএপি
১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২১

আদালত চত্বরে আ.লীগ নেতা কিরণের ওপর জুতা নিক্ষেপ
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণকে আদালতে হাজির করারা সময় জুতা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাকে পৃথক একটি মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য আদালতে আনা হয়। পরে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।   তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার পথে কিরণের ওপর ডিম নিক্ষেপ, প্রিজন ভ্যানে লাথি ও ঢিল ছোঁড়াসহ ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ জনতা ও বিএনপির একাংশ। জানা যায়, আসাদুর রহমান কিরণ গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতের পরিদর্শক আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, কিরণকে পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালত-৫ এ নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ দিকে গাজীপুর সিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কিরণের ফাঁসির দাবিতে মিছিল করেছে বিএনপির একাংশ।  বিক্ষোভ শেষে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আ ক ম মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগের দোসর কিরণের কারণে আমাদের নেতা প্রয়াত মান্নান স্যার (গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র) মেয়র নির্বাচিত হয়েও দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। আমরা এই খুনি, দোসর কিরণের ফাঁসি চাই।’  এর আগে গত ১৮ নভেম্বর রাতে ভারতে পালানোর সময় যশোরের শার্শা সীমান্তে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক এই ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণকে গ্রেপ্তার করে বিজিবি। আরটিভি/এমকে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৪৯

সিনথেটিক-ফেব্রিক্স মিশ্রণের জুতা-ব্যাগ রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা ঘোষণা
সিনথেটিক ও ফেব্রিক্সের মিশ্রণে তৈরিকৃত জুতা এবং ব্যাগ রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নতুন এ নির্দেশনা আগামী বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহাজীকরণ পণ্যের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। নতুন সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, রপ্তানিতে ব্যবহৃত উপকরণের ওপর শুল্ক বন্ড বা ডিউটি ড্র-ব্যাক সুবিধা গ্রহণ করে সিনথেটিক ও ফেব্রিক্সের মিশ্রণে তৈরি জুতা ও ব্যাগ রপ্তানির করলে রপ্তানি প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে। এ ক্ষেত্রে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাহাজিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হবে। পাশাপাশি ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাহাজিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ হারে রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রযোজ্য হবে। সিনথেটিক-ফেব্রিক্সের মিশ্রণে তৈরি জুতা ও ব্যাগ রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রদান সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সার্কুলারের নির্দেশনাবলি যথারীতি অপরিবর্তিত থাকবে বলেও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে। এর আগে ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেক সার্কুলারে বলা হয়েছিলে, রপ্তানিতে ব্যবহৃত উপকরণের ওপর শুল্ক বন্ড বা ডিউটি ড্র-ব্যাক সুবিধা গ্রহণ করে সিনথেটিক ও ফেব্রিক্সের মিশ্রণে তৈরি জুতা ও ব্যাগ রপ্তানি করলে রপ্তানি প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ, নতুন সার্কুলারে প্রণোদনা সংক্রান্ত আগের নির্দেশনা থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আরটিভি/এসএইচএম
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৩১

শীতে জুতো পরলে মোজায় গন্ধ, সমাধানে রইল টিপস
ঋতু পরিবর্তনের পালাবদলে দেশে নেমেছে শীত। আর এই সময় মোজা দিয়ে জুতা পরায় অনেকের পায়েই দুর্গন্ধ হয়। সাধারণত দীর্ঘক্ষণ মোজা পরে থাকার কারণে পায়ে দুর্গন্ধ হয়। শীতে পা ঘামার বড় কারণ পা ঢাকা জুতা পরা। তবে শুধু ঘামের জন্যই যে দুর্গন্ধ হয়, তা নয়। পায়ে দুর্গন্ধ হওয়াকে বলা হয় ব্রোমোডোসিস।  এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন জেনে নিন— ১) শীতকালেও অনেকের পা ঘেমে যায়। তাই পায়ের যত্ন নিন সবার আগে। প্রতিদিন রাতে বাড়ি ফিরে উষ্ণ পানিতে লবণ ফেলে পা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালো করে মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ২) প্রতিদিন মোজা ধুয়ে নিন। পারলে ডেটল পানি ব্যবহার করুন, কিংবা একাধিক মোজা কিনে মাঝে মধ্যে বদলে নিন। দেখবেন এতে সমস্যা মিটবে। ৩) ভুলেও গন্ধ মোজায় পারফিউম স্প্রে করবেন না। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। ৪) মোজা পরার আগে ভালো করে পা ধুয়ে নিন। একটু বেকিং সোডা হাতে নিয়ে ভালো করে পায়ে ঘষে নিন। দেখবেন এতে সমস্যা দূর হবে। ৫) বাড়িতে ফিরে জুতার মধ্যে কিছুটা পরিমাণ কাগজ ঢুকিয়ে রাখুন। এতে জুতার মধ্যে হওয়া দুর্গন্ধ দূর হবে। ৬) সপ্তাহে একবার জুতা রোদে দিন। এতে জুতাও ভালো থাকবে এবং দুর্গন্ধও হবে না। প্রয়োজনে জুতার মধ্যে ন্যাপথোলিন রাখতে পারেন। আরটিভি/এফআই
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮

জুতার আঠা খেয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে জুতায় ব্যবহৃত আঠা খেয়ে মো. আরিফ (৪০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।  শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে পূর্ব রসুলপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। অসুস্থ অবস্থায় আরিফকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ৮টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ছেলে মো. অনিক জানান, তার বাবা মো. আরিফ একটি জুতার কারখানায় কাজ করতেন। হঠাৎ তারা জানতে পারেন কারখানার মধ্যে জুতায় ব্যবহার করার আঠা খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে। আরটিভি/এসএইচএম
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩

চট্টগ্রামে জুতার গোডাউনে আগুন
চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারে একটি জুতার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে নুপুর মার্কেটের সপ্তম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তামাকুমুণ্ডি লেন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, নুপুর মার্কেটের সপ্তমতলায় একটি জুতার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়েছে। আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এ দিকে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, আগুনের খবর পেয়ে লামারবাজারসহ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নির্বাপণে অংশ নিয়েছে। আরটিভি/এমকে-টি
১১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:২৩

মিরপুরে বিদায়ী টেস্ট খেলতে সাকিবের ইচ্ছা নিয়ে ক্ষোভ, ছবিতে জুতাপেটা
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব আল হাসান। একইসঙ্গে মিরপুরের মাটিতে নিজের বিদায়ী টেস্ট খেলতে দেশে ফেরার কথা জানিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের সমর্থনও চেয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বসেরা এই টাইগার অলরাউন্ডারের এমন আকুতিতে অনেকেই সমর্থন জানালেও বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন একটা অংশ।  বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দাবি করা একটি পক্ষ ব্যক্ত করেছেন তীব্র ক্ষোভ। যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চত্বরে একত্রিত হয়ে সাকিবের ছবি টানিয়ে জুতাপেটা করেন তারা। একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, মিরপুর স্টেডিয়ামে সাকিবকে খেলতে দেবেন না তারা। পরে স্টেডিয়াম এলাকাজুড়ে সাকিব বিরোধী গ্রাফিতি আঁকেন বিক্ষুব্ধ ওই শিক্ষার্থীরা। নিজেদের উদ্যোগ নিয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারদিন হাসান আন্তন বলেন, ‘যে মিরপুরে আমার ভাইয়েরা হত্যার শিকার হয়েছে, সেই মিরপুরে স্বৈরাচারের দোসর সাকিব খেলতে পারবে না।’ এ উদ্যোগের অন্যতম আয়োজক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল মাশনুন বলেন, ‘মিরপুরের মাটিতে সাকিবকে খেলতে হলে আমার লাশের ওপর দিয়ে যেতে হবে।’ এছাড়া গ্রাফিতি করার কাজে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব আদিব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈয়দ মুয়াজ, নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী প্রত্যয়সহ অনেকে। পিপল অ্যাক্টিভিস্ট কোয়ালিশনের পিয়াস এবং মিরপুরের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ হাবিবুর রহমানও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সমর্থন জোগাতে উপস্থিত হন সেখানে। বিদায়ী টেস্ট খেলতে সাকিবের দেশে ফেরার ইচ্ছার প্রতিবাদে তারা জানান, ভোট চুরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত এবং স্বৈরাচারের দোসর সাকিব, যে কি না দেশবাসীর ক্রান্তিলগ্নে বিদেশের মাটিতে আনন্দময় সময় কাটাচ্ছিল, সে আর কোনোদিন যেন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে না দেয় এবং মিরপুর মাঠে না আসে। এর আগে ছাত্র আন্দোলনে নীরব ভূমিকার দায় নিজের মাথায় নিয়ে ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট দিয়ে সাকিব লিখেন, ‘এই সংকটকালীন সময়টাতে আমার সরব উপস্থিতি না থাকায় আপনারা যারা ব্যথিত হয়েছেন বা কষ্ট পেয়েছেন তাদের অনুভূতির জায়গাটার প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনাদের জায়গায় আমি থাকলে হয়ত এভাবেই মনঃক্ষুণ্ন হতাম।’ দেশের মাটিতে সাদা পোশাকে শেষ ম্যাচ খেলার আকুতি জানিয়ে সাকিব ওই পোস্টে বলেন, ‘আপনারা জানেন, খুব শিগগিরই আমি আমার শেষ ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছি। আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আজকের সাকিব আল হাসান হয়ে ওঠা পর্যন্ত এই পুরো জার্নিটাকে ড্রাইভ করেছেন আপনারা। এই ক্রিকেটের এই গোটা গল্পটা আপনাদের হাতেই লেখা। তাই আমার শেষ ম্যাচে, এই গল্পের শেষ অধ্যায়ে আমি আপনাদের পাশে চাই। আমি আপনাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিদায় নিতে চাই। বিদায়বেলায় সেই মানুষগুলোর হাতে হাত রাখতে চাই, যাদের হাতের তালি আমাকে ভালো খেলতে বাধ্য করেছে। বিদায়বেলায় সেই মানুষগুলোর চোখে চোখ রাখতে চাই, আমার ভালো খেলায় যাদের চোখ আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়েছে। আবার আমার খারাপ খেলায় যাদের চোখ ছলছল করেছে। আমি আশা করি, শুধু আশা না বিশ্বাস করি– এই বিদায় বেলায় আপনারা সবাই আমার সঙ্গে থাকবেন। সবাই সঙ্গে থেকে সেই গল্পের ইতি টানবেন, যে গল্পের নায়ক –আমি নই, আপনারা।’ আরটিভি/এসএইচএম
১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৪

যে কারণে লন্ডনের রাস্তায় জুতা হাতে স্বস্তিকা
সোশ্যাল মিডিয়ায় টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর মাথায় হ্যাট। কাঁধে ঝোলা ব্যাগ, দুই হাতে জুতা। আর চোখে-মুখে স্নিগ্ধ হাসি। কোথায় তিনি আর কেনই বা এমন হাল? এই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন স্বয়ং স্বস্তিকা। তাও আবার ছবির ক্যাপশনে। তিনি লিখেছেন, মায়েরা যেটা সব থেকে ভালো পারে সেটাই করছি। সব পোশাকের সঙ্গেই বোঁচকা ব্যাগ নিয়ে চলছি। হাতে স্যান্ডেল নিয়ে ঘুরছি যাতে ইভেন্টের পর মেয়ে পরতে পারে। হিল সাময়িক ব্যবহার করার জন্যই। আর এই ব্যাগে নিজের গোটা সংসার নিয়ে ঘুরছি। ভক্ত-অনুরাগীরা স্বস্তিকার এই পোস্টে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। কৃষ্ণা সাহা নামে একজন লিখেছেন, মা তো মা-ই হয়। সে সেলেব্রেটি হোক আর সাধারণ। আমার মা-ও এমন করতো, যখন আমি প্রোগ্রাম করতাম। মামন গাঙ্গুলী লিখেছেন, মা হলে তার বোঁচকায় সন্তানের সব কিছুই থাকে, এটাই হলো ভারতীয় বিশেষত বাঙালি মা। ঋষিকা ভক্ত লিখেছেন, তুমিই সেরা মা। অধরা ইসলাম নামে আরেকজন লিখেছেন, ক্যাপশনটা দারুণ। আর মানুষটার কথা না হয় নাই বা বললাম। প্রসঙ্গত, স্বস্তিকা মুখার্জি বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। তার মেয়ে অন্বেষা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এ উপলক্ষ্যে মেয়ের সঙ্গে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তারই ফাঁকে জুতা হাতে ক্যামেরাবন্দি হন এই অভিনেত্রী।
০২ আগস্ট ২০২৪, ১৫:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়