• ঢাকা শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
আইনজীবী সাইফুল হত্যা, গণ অধিকার পরিষদের মৌন মিছিল
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় বিচার দাবিতে মৌন মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে গণ অধিকার পরিষদ।  শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) মিছিলটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। মিছিল পূর্ববর্তী সময়ে গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, ভারত হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাঁধিয়ে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পুশ করার ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের প্রতি আবেদন এখন থেকে ভারতে কোনো মুসলমানদের উপর নির্যাতন হলে প্রতিক্রিয়া জানাবেন, প্রতিবাদ জানাবেন। একইসঙ্গে শনিবার (৩০ নভেম্বর) বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমে তাকবির মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা করেন ফারুক হাসান। তিনি বলেন, হিন্দুদের প্রতি আহ্বান, ভারত বা আওয়ামী লীগের প্ররচনায় উশৃঙ্খল আচরণ করবেন না, এতে হিন্দু-মুসলিম সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ধর্ম বিবেচনা না করে সাইফুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনেন। কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সাইফুল ইসলাম হত্যার বিচারের দাবিতে আরও বক্তব্য দেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণনেতা থোয়াইং চিং মং চাক, আবুল কালাম, আব্দুলাহ, মোজাম্মেল মিয়াজী, আরিফবিল্লাহ, ফায়সাল আহমেদ, সোহাগ আফ্রিদি প্রমুখ। আরটিভি/এমকে
৪ ঘণ্টা আগে

আইনজীবী সাইফুল হত্যার ঘটনায় এখনও হয়নি মামলা
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) তিনি জানান, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- বাবলা ধর, সজল শীল ও দুর্লভ দাশ। আজ তাদের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। বৃহস্পতিবার রাতে নগরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওসি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, পুলিশের ওপর হামলা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। তিনজনের একজন আইনজীবী হত্যায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এ নিয়ে ৩৮ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত ৯ জন রয়েছে। তবে আইনজীবী হত্যায় এখনো মামলা হয়নি। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলার পর হাজারের বেশি অনুসারী প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ, সোয়াট, বিজিবি লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় আইনজীবীদের গাড়ি ভাঙচুর, ইটপাটকেল নিক্ষেপের প্রতিবাদে মিছিল বের করেন কিছু আইনজীবী। তখন চিন্ময় অনুসারীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। সেসময় মিছিল শেষে ফেরার পথে হোঁচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান সাইফুল। তখন তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে চিন্ময় অনুসারীরা। আরটিভি/কেএইচ
৫ ঘণ্টা আগে

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা / পুলিশের ডিসি-ওসি বদলি
আইনজীবী সাইফুল হত্যাকাণ্ড তদন্তে পুলিশের প্রাথমিক ব্যর্থতার কারণে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার স্থলে বন্দর জোনের ডিসি শাকিলা সোলতানাকে পদায়ন করা হয়েছে।  এ ছাড়া সিএমপি দক্ষিণ জোনের অধীনে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফজলুল কাদের চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার স্থলে সিএমপির বিশেষ শাখায় কর্মরত পরিদর্শক মো. আবদুল করিমকে পদায়ন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) তাদের পৃথক বদলি আদেশে সই করেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ। এদিন পর্যন্ত ৩০ জনের অধিক লোককে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত কারা এবং তাদের ভূমিকা কী ছিল তা স্পষ্ট করতে পারেনি পুলিশ। অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিষয়টি নজরদারি করা হয়।     এদিকে, বুধবারের মতো বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সহকর্মী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আইনজীবী নেতারা। তারা অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সকাল থেকে নীরব ছিল। তাদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে ইসকনের অনুসারীরা অ্যাডভোকেট সাইফুলকে নির্মমভাবে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এত বড় ঘটনা হত না। এটি পুলিশের ব্যর্থতা।  সিএমপি কমিশনারকে আল্টিমেটাম দিয়ে আইনজীবী নেতারা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলের খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে আপনি পদে থাকতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিম্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে পরদিন (মঙ্গলবার) কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করে। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।  এ নিয়ে বিক্ষোভ করে ইসকন অনুসারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম।  আরটিভি/কেএইচ
২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার ৬
চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার লালদীঘি এলাকায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার ভিডিও দেখে সন্দেহভাজন অন্তত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ভিডিও ফুটেজ থেকে এই ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। একইসেঙ্গে দেশীয় ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভসহ (ককটেল) আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ হওয়ায় তার অনুসারীরা আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন। এ সময় সংঘর্ষের মাঝে পড়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। আরটিভি/আইএম-টি
২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৮

আইনজীবী সাইফুলের জানাজা সম্পন্ন, জনসমুদ্র চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে আদালত প্রাঙ্গণে সাইফুলের মরদেহ আনা হয়। পরে আদালত প্রাঙ্গণেই প্রথম জানাজা এবং জমিউত-উল-ফালাহে দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় জানাজায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ ছাত্র আন্দোলনের হাজারও শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। এ সময় জনসমুদ্রে পরিণত হয় পুরো চট্টগ্রাম নগরী। এ সময় দূর-দূরান্ত থেকে লাখো মানুষকে আইনজীবী সাইফুল ইসলামের জানাজায় শরিক হতে আসতে দেখা যায়।   সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজায় সহকর্মী এবং পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে সৃষ্টি হয় হৃদয়বিদারক দৃশ্য।  জানাজায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা। এ দিকে এই হত্যার ঘটনায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন আইনজীবী সমিতির নেতারা। এ পরিস্থিতি বহাল থাকবে কিনা- সেটি নিয়ে বিকেলে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। উল্লেখ্য, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনার মধ্যেই হত্যা করা হয় আইনজীবী সাইফুলকে। আরটিভি/এমকে
২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:১১

আইনজীবী সাইফুল হত্যা, আটক ৩০
চট্টগ্রামে আদালত চত্বরে হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ। তিনি বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই চলছে। দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। যাচাই-বাছাই শেষে এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এ দিকে আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ দল নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড় ও আন্দরকিল্লাসহ কয়েকটি স্থানে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এর আগে, গত সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় তার অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। আরটিভি/এমকে-টি
২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৯

আইনজীবী সাইফুল হত্যার কঠোর শাস্তি হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার লালদীঘি এলাকায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে যেসব সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে তাদের অবশ্যই কঠোর শাস্তি হবে। তিনি লিখেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি-দাওয়া আন্তরিকভাবে বিবেচনা করেছে। কিন্তু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বিভিন্ন সভা-সমাবেশে মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছিল।  তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা আরও লিখেছেন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া সত্ত্বেও কোনো আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে বিভিন্ন সভা করে বেড়াচ্ছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ। মূলত, এই ধরনের তৎপরতার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং বাংলাদেশ ও জুলাই অভ্যুত্থানকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করা। ভারতীয় মিডিয়া এরকম মিথ্যা প্রচারণা বরাবরই করে আসছে। নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, আজ চট্টগ্রাম আদালতে যেভাবে একজন আইনজীবীকে চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকরা কুপিয়ে হত্যা করলো তা নজিরবিহীন। দেশে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পরিকল্পনা নিয়েই চিন্ময় কৃষ্ণ কাজ করছিল এবং সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে এ ধরনের সন্ত্রাসী সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি করেছে। তিনি লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বরাবরই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে একটা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে চেয়েছে। এখন ভারতীয় মিডিয়াও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি করতে চাচ্ছে। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করব। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সরকার নাশকতাকারী হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের আইনি প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করবে।  সবশেষে উপদেষ্টা লিখেছেন, সবাইকে ধৈর্য ধারণ ও শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। দ্রুতই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হবে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ হওয়ায় তার অনুসারীরা আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন। এসময় সংঘর্ষের মাঝে পড়ে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হন। তবে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী কে এখনও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আরটিভি/আইএম-টি
২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৭

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: সাইফুল আলম খান 
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম খান মিলন বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই দেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু থাকবে না। এমনকি ইউরোপ আমেরিকার থেকেও বাংলাদেশ এখন অনেক ভালো অবস্থানে আছে। আমরা আমাদের দেশে যারা বাস করি, এ দেশের যারা সন্তান তারা সবাই-ই এ দেশের নাগরিক। এ দেশে কোনো সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু নেই, ইতোমধ্যেই জামায়াত সেটা প্রমাণ করেছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, আমরা রাত-দিন হিন্দু ভাইদের মন্দিরগুলো পাহারা দিয়েছি। আপনারা দেখেছেন আমাদের জামায়াতের ভাইয়েরা, ছাত্রশিবিরের ভাইয়েরা মন্দিরের সামনে নামাজ আদায় করেছেন। সামনের পূজায় আমরা হিন্দু ভাইদেরকে বলেছি যে কোনো সহযোগিতা লাগলে আমরা তাদের করব। আমরা হিন্দু ভাইদের বলেছি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে, আমরাও তাদের সাথে যোগাযোগ করব। ইসলামে আছে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। তিনি বলেন, মব জাস্টিস করা যাবে না। জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া যাবে না। স্বৈরাচার যে কাজ করেছে আমরা সে কাজ কীভাবে করব। আপনি, আমি কেন আইন হাতে তুলে নেব। গত পরশু দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফজলুল হলে যে ছেলেটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে এই নৃশংসতা কি মানুষ সহ্য করতে পারে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যে ছয়জন জড়িত ছিল তারা নাকি সবাই ছাত্রলীগের। দেশে তারা চাচ্ছে আবার চাক্কা ঘুরিয়ে দিতে। তারা প্রথমত জুডিশিয়াল ক্রু করার চেষ্টা করল, আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা সেটা নস্যাৎ করল। আনসার দিয়ে তারা চেষ্টা করল, কিন্তু ছাত্র ভাইয়েরা সেটাও প্রতিহত করল। সে সময় একজন সমন্বয়ক গুরুতর আহত হয়েছিল। সে সিএমএইচএ ভর্তি ছিল। আমাদের আমিরে জামায়াত তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের এই কষ্টার্জিত স্বাধীনতা আমরা বিলীন হয়ে যেতে দিতে পারি না। আজকে জনগণকে, ছাত্রদেরকে, আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। এই আন্দোলন জনগণের আন্দোলন, এই আন্দোলন ছাত্রদের আন্দোলন, এই আন্দোলন হিন্দুদের আন্দোলন, এই আন্দোলন বৌদ্ধদের আন্দোলন, এই আন্দোলন-খ্রিস্টানদের আন্দোলন, এই আন্দোলন দেশের সকল মানুষের আন্দোলন। রাজবাড়ী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. বদর উদ্দিন, জামায়াতে ইসলামীর ফরিদপুর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক আবদুত তওয়াব, শামসুল ইসলাম আল বরাটি। জেলা জামায়েতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মো. আলিমুজ্জামানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মো. জামাল উদ্দিন, রাজবাড়ী জেলা জামায়েতের নায়েবে আমির হাসমত আলী হাওলাদার, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য হারুনউর রশিদ, ইসলামী ছাত্রশিবির জেলা শাখার সভাপতি রবিউল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হাফেজ হাসিবুল হাসান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রাজবাড়ী জেলার দুইজনের প্রত্যেক পরিবারকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা করে মোট ৪ লাখ টাকা এবং রাজবাড়ী জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত ১৫ জনের মাঝে মোট ১ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করা হয়।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:০৬

ডিজিএফআইয়ের সা‌বেক ডিজি সাইফুল আলমের ব্যাংক হিসাব স্থগিত
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সা‌বেক মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলমের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা হিসাব ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে। নির্দেশনা অনুসারে, মো. সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী-সন্তানের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সব লেনদেন বন্ধ থাক‌বে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করা যাবে না। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে। লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশনার ক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে মো. সাইফুল আলমের বাবা এ কে এম র‌ফিকুল আলম, মা রা‌বেয়া আলম ও স্ত্রী লুবনা আফ‌রোজের নাম এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে। বিএফআইইউয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাব সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৫১

ডামি নির্বাচনের হোতা ইসিকে পদত্যাগ করতে হবে: সাইফুল হক 
ডামি নির্বাচনের হোতা গোটা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পদত্যাগ দাবি করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সমাবেশে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেছেন, ডামি নির্বাচনের হোতা নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি বরাবর তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া।  শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে মুন্সীগঞ্জে শহরের শহীদ চত্বরে অনুষ্ঠিত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সমাবেশে এ দাবি জানান তিনি।  এখনও তারা পদত্যাগ না করায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘মানুষের ভোটের অধিকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সমগ্র নির্বাচন ব্যবস্থাকে তামাশায় পরিণত করার ব্যাপারে এই নির্বাচন কমিশনেরও দায়দায়িত্ব রয়েছে। রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’  সাইফুল হক আরও বলেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুনর্গঠন করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন-পীড়নের উদ্দেশ্যে আর ব্যবহার করা যাবে না।  এ সময় যৌক্তিক সময়ের মধ্যে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের রোডম্যাপ দেশবাসীর কাছে হাজির করারও দাবি জানান তিনি। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মুন্সীগঞ্জ জেলা কমিটির সম্পাদক শেখ মো. শিমুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মাহমুদ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, সাইফুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের নেতা আবু তালেব দেওয়ান, বিপ্লবী ছাত্র সংহতির নেতা শেখ মোহাম্মদ সৌরভ প্রমুখ।  সভার শুরুতে মুন্সীগঞ্জের তিন শহীদসহ ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 
৩০ আগস্ট ২০২৪, ২১:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়