• ঢাকা শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১
logo
মেহেরপুরে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে পেঁয়াজ ও আলুর দাম বৃদ্ধিসহ আইনে নিষিদ্ধ খোলা ভোজ্য তেল বিক্রির প্রতিবাদে মেহেরপুরে মানববন্ধন করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।  সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন করা হয়। ভোক্তা অধিকার রক্ষা করার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ক্যাব মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি রফিকুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক মানিকসহ ক্যাব নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ক্যাব সদস্য ও মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেন ইয়ামিন মুক্ত, ক্যাব গাংনী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, প্রভাষক রফিকুল আলম বকুল ও ক্যাব সদস্য প্রদীপ ও দিলারা জাহান প্রমুখ। এই কর্মসূচিতে ক্যাব সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। আরটিভি/এমএ  
০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৫১

ক্লায়েন্ট সেজে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
একটি অসাধুচক্র ব্যবসায়িক কৌশলে ক্লায়েন্ট সেজে ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে থ্রি অ্যাংগেল মেরিন লিমিটেড।  বুধবার (১২ জুন) বিকেলে রাজধানীর সেগুণবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে থ্রি-অ্যাংগেল মেরিন লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এসব কথা বলে অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি অসাধুচক্র তাদের মুন্সিগঞ্জের ডকইয়ার্ডে একটি অবৈধ জাহাজ মেরামত করার পর বিল পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। বিলের জন্য বারবার তাগিদ দিলে এক পর্যায়ে সেটা না দিয়ে কৌশলে ডক থেকে জাহাজটি সরিয়ে নেয়। উপরন্তু ওই জাহাজ অ্যাংগেল মেরিন লিমিটেডের ডক থেকে খোয়া যাওয়ার অজুহাত তুলে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তাদের প্রতারণা থেকে উদ্ধার পেতে ইতোমধ্যে তারা আইনের আশ্রয় নিয়েছে। এ বিষয়ে তারা জানান, ২০২৩ সালের ২২ মে নয়ানগর, গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জে অবস্থিত থ্রি অ্যাংগেল মেরিন লিমিটেডের শিপইয়ার্ডে মিলন হাজী, রফিক ও আবুল হোসেন নামের তিন ব্যক্তি ‘টি-টেকনাফ’ নামক একটি পুরাতন অয়েল ট্যাংকার মেরামতের জন্য নিয়ে আসেন। মেরামতের পর ওই বছরের ২৩ জুলাই তারা জাহাজের মালিকপক্ষের কাছে ৫ লাখ ২৪ হাজার টাকার বিল দাখিল করে। তখন তারা বিলও দেননি, জাহাজও ডেলিভারি নেয়নি। এরপর আরও পাঁচ মাস পর চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি রফিক নামের এক ব্যক্তি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ওই সময় পর্যন্ত ১১ লাখ ৩৬ হাজার টাকার বিল তাকে দেওয়া হয়। তিনি সেই বিল গ্রহণও করেন। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে জাহাজটি আনডকিং করে পানিতে বার্থিং করে রাখেন। সেদিন তিনি জাহাজটি ডেলিভারি নিতে চান এবং দুই দিন পর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিলের টাকা পরিশোধ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। তারা বলেন, শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পানিতে বার্থিংরত জাহাজে তিনি (রফিক) তার নিজস্ব দুইজন স্টাফ সার্বক্ষণিক পাহারারত অবস্থায় রেখে চলে যান। এখন পর্যন্ত তিনি কোনও বিল পরিশোধ করেননি। পাওনা বিলের জন্য রফিককে বারবার তাগাদা দিলেও সে টাকা পরিশোধ করা হয়নি। উপরন্তু এপ্রিল মাসের শেষ দিকে সন্ধ্যার পর পানিতে বার্থিংরত টি-টেকনাফ জাহাজটি নেওয়ার জন্য দুইটি টাগবোট জাহাজটির পাশে ভিড়লে শিপইয়ার্ডের লোকদের তা গোচরীভূত হয়। তখন শিপইয়ার্ড হতে জাহাজটি নিতে বাধা দিলে টাগবোট দুইটি চলে যায়। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, এর মধ্যেও থ্রি অ্যাংগেল মেরিন লিমিটেডের পাওনা বিল আদায়ের জন্য তাগাদা অব্যাহত রাখা হয়। প্রকাশ থাকে যে, জাহাজটি শিপইয়ার্ডের দক্ষিণ পাশে শেষ প্রান্তে মেঘনা নদীতে জাহাজ মালিক পক্ষের ২-৩ জন স্টাফের তত্ত্বাবধানে বার্থিং অবস্থায় ছিল। গত ১৬ মে বার্থিং চার্জসহ সর্বমোট প্রায় ৩০ লাখ টাকার বিল রফিককে দেওয়া হয় এবং তিনি সেটা গ্রহণ করেন। এরপরও তারা কোনও বিল না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। এভাবে পানিতে বার্থিং থাকা অবস্থায় গত ১৯ মে সকাল থেকে টি-টেকনাফ অয়েল ট্যাংকার জাহাজ মালিকের ২-৩ জন স্টাফসহ এই স্থানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি শিপইয়ার্ডে যারা জাহাজ মেরামতের জন্য আনেন, তাদের জানালে তারা ‘জাহাজ ও স্টাফদের বিষয়ে কিছু জানেন না’ বলে জানান। এই সময়ে জাহাজের স্টাফদের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর চাইলে তারা তা দিতেও অস্বীকৃতি জানায়। ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, জাহাজটি বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থ্রি অ্যাংগেল মেরিন লিমিটেডের পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) গত ২৯ মে স্থানীয় গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। তিনি বলেন, মূলত জাহাজটি ২০২৩ সালের মে মাসে ডকিং করলেও অক্টোবর মাসে এসে জানা যায়, এটি মেসার্স বেঙ্গল ইলেকট্রিকের মালিকানাধীন। নৌযানটির নির্মাণ তারিখ ১৯৪৫। ১৯৭২ সালে এটি বিআইডব্লিউটিসি’র বহরে যুক্ত হয়। এরপর মেসার্স মাল্টিপল ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর বিআইডব্লিউটিসি থেকে ১ কোটি ১১ লাখ টাকায় এসসিআরএপি হিসেবে কিনে নেয়। এসসিআরএপি জাহাজ কেনার পর একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘোষণাপূর্বক সেটি ‘এসসিআরএপি হিসেবে’ বেচার প্রচলিত বিধান থাকলেও কোম্পানিটি দীর্ঘ ৫ বছরের অধিক সময় কোন কারণে ফেলে রেখে দিলো, তা অনুসন্ধানের দাবি জানান তারা। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই কোম্পানি বা তার সাবসিডিয়ারি সব কোম্পানির মালিকানাধীন নৌযানগুলো পুরাতন নৌযান ক্রয়পূর্বক আইএমও এবং নৌ নিরাপত্তার সব বিধি ভঙ্গ করে নতুন নৌযান হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে কিছু অসাধু চক্রের মাধ্যমে সামান্য কিছু মেরামত করে এবং সরকারি সংস্থাগুলোকে বিভ্রান্ত করে তারা এই কাজ করে থাকেন। তাদের পক্ষ থেকে থ্রি অ্যাংগেল মেরিন লিমিটেডকে এ ধরনের প্রস্তাব দেওয়ামাত্র তা প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং নৌযানটি আনডকিং করা হয়। এর কিছুদিন পরই তাদের নৌযানটি রাতের অন্ধকারে প্রায় ৩০ লাখ টাকা বিল এবং দুটি এয়ারব্যাগের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে নৌযানটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুরো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে অসাধুচক্রটিকে আইনানুগভাবে শাস্তির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন থ্রি অ্যাংগেল মেরিন লিমিটেড। পাশাপাশি দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের কোনও প্রতিষ্ঠান যেন এ ধরনের চক্রের কবল আর না পড়ে, সেজন্য সবাইকে সর্তক থাকারও আহ্বান জানানো হয়।
১২ জুন ২০২৪, ২২:০৯

আইনের জালেই অসাধু ব্যবসায়ীদের আটকাতে হবে
বাজারে দ্রব্যের দাম অস্বাভাবাবিক ভাবে বৃদ্ধি বা বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হলে ভোক্তাদের মনে প্রশ্ন জাগে দাম নিয়ন্ত্রণহীন বাজারে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে কেউ কি কাজ করছেন? ছুটিতে বাংলাদেশে ছিলাম, বাজার সদাই করতে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি বিষয়টি টের পেয়েছি। উপলব্ধি করেছি, দেশের মানুষ কেন কথায় কথায় বলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস। এ ব্যাপারে লন্ডনে ফিরে একটু লিখবো লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। অর্থনীতিতে বাজার দর, চাহিদা যোগান, অস্থিতিশীল বাজার নিয়ে অর্থনীতি বিশেজ্ঞরা লিখেছেন। আমরা ভোক্তারা নিত্যপ্রয়োনীয় দ্রব্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে থাকলে খুশি, অন্তত খেয়ে বাঁচি মরি। অনার্স ডিগ্রিতে অর্থনীতি পড়েছি, অর্থনীতি সম্পর্কে অর্জিত সম্যক জ্ঞান আমাকে তাড়া করেছে প্রশ্ন করতে, কেন আমাদের বাজার দর নিয়ন্ত্রণহীন বা কথিত নাভিশ্বাস। অর্থনীতি হলো, সামাজিক বিজ্ঞান যা পণ্য ও পরিষেবার উৎপাদন বণ্টন ব্যবহার অর্থনীতি বা অর্থনৈতিক ব্যবস্থার তত্ত্ব ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে। বা যে বিজ্ঞান সম্পদের উৎপাদন, বণ্টন ব্যবহার শ্রম, অর্থ, কর ইত্যাদি সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করে। বা অর্থনৈতিক বিবেচনায়, যা পণ্য এবং পরিষেবা তৈরি, বিতরণ, বিক্রয় এবং ক্রয় নিয়ে কাজ করে। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামে আগুন। গরিব আছে সংকটে, মধ্যবিত্তরা দিশেহারা। দেশে ভোক্তা অধিকার কেমন কাজ করছে তা জানার চেষ্টা করেছি। ২০২০ সালের একটি পরিসংখ্যান দৃষ্টিকটু হয়েছে, যা পড়ে মনে হয়েছে কেন আমাদের বাজার নিয়ন্ত্রিণহীন। দেশে ভোক্তার অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। দেশের প্রায় ১৬ কোটি ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠানটির জনবল রয়েছে প্রায় ২০৮ জন। এর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ১০৮ জন। শুধু রাজধানীর ২ কোটি ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে মাত্র ৫ জন কর্মকর্তা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনবল না থাকায় প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কোনো অভিযান পরিচালনার পর ফলোআপ করা সম্ভব হয় না। এতে প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে ভোক্তা অধিকার। যার সুবিধা নিচ্ছে মুনাফাভোগী একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।  ২০২০ সালের বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে উৎসর্গ করা হয়েছিল, যার প্রতিপাদ্য- ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, সুরক্ষিত ভোক্তা অধিকার।’ এমন একটি বিশেষ দিবসকে জাতির জনকের নামে উৎসর্গ করার পাশাপাশি এই দিবসের সংশ্লিষ্টতা মানুষের জীবনকে যাতে অতিষ্ট করে না তুলে তার দায় দায়িত্বশীদের। উল্লেখিত রেফারেন্স পরিসংখ্যানটি ২০০০ সালের বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস থেকে সংগ্রহীত। জানি না জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ যাবত তাদের জনবল বৃদ্ধি করেছে কি না? আমার বিশ্বাস জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লোকবল সংযোজনসহ উত্থাপিত সমস্যার আশু সমাধান হয়েছে। অর্থনীতির ভাষায় চাহিদা এবং যোগান বলতে কোন একটি পণ্যের বা সেবার ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে বিদ্যমান বাজার সম্পর্ক বোঝায়। বাজারে কোন পণ্যের দাম এবং সরবরাহ কী-রূপ হবে তা চাহিদা ও যোগানের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক দ্বারাই নির্ধারিত হয়। সভ্য সমাজে কোন বিশেষ উপলক্ষ বা উৎসবকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমতে দেখা যায় বা স্থিতিশীল থাকে। ব্যতিক্রম শুধু আমাদের বাংলাদেশে। পবিত্র রমজান বা অন্য কোনো উৎসব উপলক্ষ সামনে রেখে আমাদের বাজারে দ্রব্যমূল্যের উল্লম্ফন শুরু হয়। আমাদের দাম বাড়ানোর কারণ অজুহাত মেলা। যুক্তরাজ্যে মাহে রমজানকে সামনে রেখে সুপার মার্কেটগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যে, যেমন- চাল, ডাল, তেল, আটা, ময়দা, সেমাই, ঘি, এসব পণ্য দ্রব্যগুলোতে বিশেষ মূল্যছাড়ের (discount) ব্যবস্থা থাকে। যেমন ধরেন, মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে ২০ কেজি ওজনের এক বস্তা বাসমতি চালের দাম ২০ পাউন্ড থেকে ৫০% মূল্যছাড় দিয়ে ১০ পাউন্ড রাখা হয়। আমাদের বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা উদ্বেগজনক। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, অসাধু ব্যবসায়ীদের তৎপরতায় ভোক্তারা প্রতিনিয়ত কেবল ঠকছেনই না; একইসঙ্গে তাদের সিন্ডিকেটবাজির কারণে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। দ্রব্যের দাম ক্রমাগত কেন বাড়ছে। এতে সরকারের ভূমিকা কি? আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার প্রভাব কতটুকু আর ব্যবসায়ী বা মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজি কতটুকু। দাম বাড়ার ফলে কারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এসব বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা গবেষণা হয়েছে কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি। যে কোনো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করার দায়িত্ব সরকারের। আমাদের দেশে বাজার ব্যবস্থায় সর্বত্রই একধরনের সিন্ডিকেটের প্রভাব লক্ষণীয়। সিন্ডিকেট চক্র কিছুদিন পর পর যৌক্তিক কারণ ছাড়া বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তোলে। মজুত, সিন্ডিকেট বা কোনো অনৈতিক উপায়ে কেউ যাতে বাজারকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সরকারের যথাযথ মন্ত্রণালয়কে নিতে হয়। দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের দাবিকে প্রাধান্য না দিয়ে সরকারকে সর্বোচ্চ যৌক্তিক অবস্থান নিতে হয়। দাম বাড়ানোর কারণগুলো যথাযথভাবে ভোক্তাদের অবহিত করতে হবে। যেসব ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিকভাবে সময়ক্ষণে অনৈতিকতার কৌশলে বাজারকে অস্থিতিশীল করেন আইন সংশোধন করে কঠোর তাদের শাস্তির বিধান করতে হবে। পণ্যদ্রব্যের দাম নিজ থেকে বাড়ে না, বাড়ানো হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও আমাদের দেশে পণ্যের দাম অপরিবর্তিত। এমনকি দেশে বাম্পার ফলন হলেও পণ্যদ্রব্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে থাকে না। দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আমদানিকারক, ব্যবসায়ী, আড়তদার, চাঁদাবাজ, আন্তর্জাতিক বাজারের ভূমিকা থাকলেও সরকারি নীতি ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ভূমিকা উপেক্ষণীয়। সরকার এ ব্যাপারে কার্যকর কিছু করছে না। তাই সাধারন ভোক্তারা মনে করছি আমাদের বাজার নিমন্ত্রণ কাঠামো দুর্বল। সৎপথে থেকে ব্যবসা বাণিজ্য করে বড় মুনাফা সম্ভব নয় ইহা আমাদের সমাজে ব্যবসায়ীদের একটি ভ্রান্ত ধারণা। এসব ভ্রান্ত ধারণার জন্য আমাদের ব্যবসায়ীদের ইমেজও খুব একটা ইতিবাচক নয়। চোরাপথে পণ্যদ্রবই ক্রয়, শ্রমিক-কর্মচারীদের ঠকা, ভেজাল নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ ,ওজনে কম , মজুতদারি, দাম বাড়িয়ে ও ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে তাড়াতাড়ি বড়লোক হবেন এমন ধারণা শুরু থেকেই তাঁরা পোষণ করেন যা তাদেরকে অনৈতিকতার পথে প্ররোচিত করে। দেশে মানুষের আয় যে হারে বেড়েছে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য। কারণ একটাই, তা হচ্ছে বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এই দাম বেড়ে যাওয়া নিয়েও আছে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য। সরকার দোষারোপ করেন ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীরা বলেন, উৎপাদন কম হওয়া,পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, চাঁদাবাজি, আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণেই মূল্যবৃদ্ধির কারণ। অর্থনীতির সংজ্ঞা অনুযায়ী, বাজারে চাহিদা ও জোগানের ওপর দব্যমূল্য নির্ভর করে; কিন্তু এ সংজ্ঞা বাংলাদেশে ফেল করেছে। বাংলাদেশে অর্থনীতির কোন সংজ্ঞাই কাজ করছে না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের জন্য সীমিত পরিসরে শুধু মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও জরিমানা করা হচ্ছে, যা পর্যাপ্ত না। আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক জনবল বাড়িয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে শক্তিশালী করতে হবে। নকল ও মজুদদারদের বিরুদ্ধে প্রান্তিক পর্যায়ে তদারকি করতে হবে। শহরে নিবিড় মনিটরিংয়ের কারণে ভেজালের আগ্রাসন অসাধু ব্যবসায়ীরা গ্রামগঞ্জে নিয়ে গেছে। এজন্য উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অফিস প্রয়োজন, যাতে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা যায়। তা না হলে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের প্রতারিত করেই যাবে। ব্যবসা করে ব্যবসায়ীরা মুনাফা করবে এটাই স্বাভাবিক। অর্থনীতি বলে, পণ্য দ্রব্যের দাম বাড়লে মানুষের চাহিদা কমে ,আর দাম কমলে চাহিদা বাড়ে। তবে এই সূত্র একটা বিশেষ সময়ে বাংলাদেশের অকার্যকর হয়ে পড়ে। যেমন ধরেন, রামাদান মাস এই সময়টাতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন যারা সময়ের সুযোগ নেয়। পাইকারি খুচরা আড়তদার যে সকল ব্যবসায়ী আছে তারা প্রায় সকলেরই লম্বা দাড়ি, দাড়ির মধ্যে আবার  কালার, নামাজ পড়তে পড়তে অনেকেরই কপালে কালো দাগ, তবে তাদের নীতি নৈতিকতাবোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে! ১৭ কোটি লোকের বসবাস এই দেশে। মন্ত্রী মহোদয় বাজারে গিয়ে বাজার দর মনিটরিং করবেন এটা কেমন করে সম্ভব বলুনতো? যুগোপযোগী ও যথাযথ আইন প্রয়োগ করুন, যে আইন আছে সেটাকে আমেন্ডমেন্ট করার প্রয়োজন হলে আমেন্ডমেন্ট করুন। আইনের জালেই অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে আটকাতে হবে। বাজারদর মনিটরিং ও অভিযোগ এর জন্য একটা হট লাইন নাম্বার দেওয়া হয়েছে। মহাজন কোন কোন পণ্যদ্রব্যে বেশি দাম নিয়েছেন recipt চেক করে ক্রেতা দোকানে থেকেই সরাসরি হটলাইনে ফোন দেবে, ভ্রাম্যমান আদালত instantly সেখানে চলে আসবে, ক্রেতার অভিযোগকে খতিয়ে দেখবে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর অনুরোধ করবেন। এই সময়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বিষয়টি সমাধান হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত । অপরাধের ধরন বিবেচনায় প্রয়োজনে দোকানকে সিলগালা করে রাখবেন। ঘটনার সত্যতা প্রমাণ সাপেক্ষে প্রত্যেকটি জেলায় ৪০/৫০ টা দোকানকে সিলগালা করতে পারলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা তারের মতো সোজা হয়ে আসবেন।  আমাদের দেশের লোকজন একটু কঠিন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, তাই আইনের প্রয়োগে একটু কঠিন tough হতে হয়।  লেখক : জার্নালিস্ট, ওয়ার্কিং ফর ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS) লন্ডন। মেম্বার, দ্য ন্যাশনাল অটিস্টিক সোসাইটি ইউনাইটেড কিংডম।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৪

কমছে পেঁয়াজের দাম, নেমেছে অর্ধেকে
দেশের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনের এলাকা পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়ার পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের ব্যাপক কমেছে। এক সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা মণের পেঁয়াজ বুধবার বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। পবিত্র রমজান মাসে বেশি দামে বিক্রির আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে। পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজও এসেছে বাজারে। তাতে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এই দরপতন ঘটেছে বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, সুজানগর উপজেলা সদরে প্রতি রোববার ও বুধবার পাইকারি পেঁয়াজের হাট বসে। বুধবার এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। এরপর থেকেই সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। পেঁয়াজের দরপতনের একই চিত্র মিলেছে সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা হাটেও। এ হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঙ্খিত দাম না পেয়ে অনেক কৃষক হতাশ হয়ে পেঁয়াজ ফের নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগার কথা। কিন্তু তার আগেই অনেক কৃষক তড়িঘড়ি করে পেঁয়াজ বাজারে তুলছেন। রমজানে বেশি দামের আশায় পেঁয়াজ হাটে তুলেছেন তারা। আবার বেশি দামের আশায় অনেকে পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। রমজান শুরুর পর থেকেই মজুত পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করে। তাতে দরপতন ঘটে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দুই জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয় পাবনায়। একটি মুড়িকাটা জাতের আগাম পেঁয়াজ, অপরটি হালি পেঁয়াজ। চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল। এবার ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৮৮ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে। অন্যদিকে ৫৩ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে এই পেঁয়াজ বাজারে আসছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। এদিকে পেঁয়াজের দরপতনে দুই উপজেলার কৃষকের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। দাম আরও কমে গেলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা। তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে গেছে। তবে বর্তমানে যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে লোকসান হবে না বলেও জানায় সূত্র।
২১ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৪

অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
অসাধু ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৬ মার্চ) বেলা ১১টায় র‌্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন। সরকারপ্রধান বলেন, রমজানে র‌্যাবের নজরদারি বাড়াতে হবে। সংযমের এই মাসে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অসংযমী হয়ে ওঠে। এই অসাধু ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, ঈদ এলেই জাল টাকার সরবরাহ বেড়ে যায়। সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। যদিও অভিযান চলছে, তারপরও এদিকে আরও খেয়াল রাখতে হবে। অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। এ সময় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে র‌্যাব সাহসী ভূমিকা রেখেছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করায় মানুষের মনে শান্তি ফিরে এসেছে। র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের অধিকার সংরক্ষণে যারা কাজ করেছে তাদের ওপর কীভাবে স্যাংশন আসে? স্যাংশন কখনও এক তরফা হয় না, দরকার হলে আমরাও স্যাংশন দিতে পারি। র‌্যাব সবসময় নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই বাহিনী ২০০৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর প্রায় তিন সপ্তাহ পর ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) রমনা বটমূলে নিরাপত্তা দিয়ে র‌্যাব তাদের কার্যক্রম শুরু করে। একই বছরের ২১ জুন পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু বাহিনীটি।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৬

রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য ভোক্তারাও দায়ী (ভিডিও)
রমজানে পণ্যের দাম বৃদ্ধির পেছনে কেবল কৃক্রিম সংকট সৃষ্টিকারী সিন্ডিকেটই নয়, অনেক ক্ষেত্রে ভোক্তাদেরও দায় রয়েছে। ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, রমজানে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেক ভোক্তা পুরোমাসের বাজার একসঙ্গে করেন। আর এতেই সৃষ্টি হয় সংকট। চাহিদা বুঝে লাগামহীন দাম বৃদ্ধির সুযোগ নেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। সহমর্মিতা ও আত্মসংযমের মহান এই শিক্ষার মাসেই (রমজান) অসিহষ্ণু আচরণ করতে দেখা যায় অনেক রোজাদারকে। তারা তিন-চার দিন কিংবা সপ্তাহ নয়, বরং রমজানে পরিবারের জন্য পুরো মাসের নিত্যপণ্য এক সঙ্গে কেনেন। এতেই সমস্যা সৃষ্টি হয়। দোকানিদের অভিযোগ, ভোক্তারা এক মাসের বাজার একসঙ্গে করতে চায়। তখন চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রিও বেশি হয়। এই সুযোগেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। ভোক্তাদের এমন অধৈর্য আচরণেই মূলত পণ্যের দাম বৃদ্ধিকে আরও বেশি উসকে দেয়। বাজার বিশ্লেষক কাজী আব্দুল হান্নান বলছেন, ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অনেক ভোক্তাও মাল স্টক করে রাখেন। তাদের এমন আচরণে বাকি ভোক্তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায় রোজাদারদের আরও মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেনাকাটায় আরও বেশি সহনশীল হতে হবে। একই পরামর্শ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের। তিনি বলেন, ভোক্তারা যদি তিন বা সাত দিনের পণ্য একসঙ্গে কেনেন তাহলে ব্যবসায়ীরা চাইলেও এবার অতিরিক্ত দাম বাড়াতে পারবে না। এদিকে খুচরা বাজারের চেয়ে ২০ শতাংশ কম দামে পণ্য কেনার উপায় বাতলে দিলেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, রমজানের পণ্য সুনির্দিষ্ট। তাই ভোক্তারা যদি সপ্তাহে একদিন পাইকারি বাজার থেকে একসঙ্গে পণ্য ক্রয় করেন তাহলে ২০ শতাংশের বেশি সাশ্রয় করা সম্ভব। শুধু রমজানের পণ্য আমদানিতে বিশেষ শুল্ক ছাড়ের পরামর্শ অর্থনীতিবিদ ড. সায়েম আমীর ফয়সলের। তিনি জানান, তিন মাসের জন্য একটি বিশেষ শুল্ক মওকুফের ব্যবস্থা করা গেলে ভোক্তাদের সুবিধার পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৫

অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে র‍্যাবের গোয়েন্দারা
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাদা পোশাকে মাঠে নেমেছে র‌্যাবের গোয়েন্দারা। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে নিত্যপণ্য ও মাংস বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেবে তারা। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত ও বেশি দামে পণ্য বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে র‍্যাব কাজ করছে। এরই মধ্যে র‍্যাবের গোয়েন্দারা সাদা পোশাকে মাঠে কাজ করছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে র‍্যাব সবসময় মাঠে কাজ করে যাবে। র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত চলমান রয়েছে উল্লেখ করে খন্দকার আল মঈন বলেন, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত দামে নিত্যপণ্য ও মাংস বিক্রি করার অভিযোগে ২০ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে রোববার রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথ থেকে অর্ধশত চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে র‍্যাবের ধারাবাহিক অভিযান চলমান বলে জানান তিনি।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়