দেশীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গত ২১ আগস্ট। ঈদের ছুটির কারণে পরিচালক সমিতি নায়করাজের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালন করেছে আজ শুক্রবার।
নায়করাজের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এফডিসিতে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি।
এদিন সকাল ১০টায় প্রয়াত নায়করাজ স্মরণে এফডিসির ভিআইপি প্রোজেকশন হলে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুণী পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, আমজাদ হোসেন, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ অনেকে। আলোচনা অনুষ্ঠানে রাজ্জাকের কর্মজীবনের নানা বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন বক্তারা।
আলোচনা শেষে বাদ জুমা দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ করা হয়। নায়করাজ রাজ্জাক পরিচালক সমিতির আজীবন সম্মানিত সদস্য ছিলেন।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আরটিভির নাটক ‘মেঘ দেখবে বলে’
-------------------------------------------------------
নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালে কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় আসেন তিনি। এর পর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। দু’একটা সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করার পর ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম ছায়াছবি ‘বেহুলা’। সেই থেকে শুরু।
১৯৭২ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে—স্লোগান, আমার জন্মভূমি, অতিথি, কে তুমি, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, প্রিয়তমা, পলাতক, ঝড়ের পাখি, খেলাঘর, চোখের জলে, আলোর মিছিল, অবাক পৃথিবী, ভাইবোন, বাঁদী থেকে বেগম, সাধু শয়তান, অনেক প্রেম অনেক জ্বালা, মায়ার বাঁধন, গুণ্ডা, আগুন, মতিমহল, অমর প্রেম, যাদুর বাঁশী, অগ্নিশিখা, বন্ধু, কাপুরুষ, অশিক্ষিত, সখি তুমি কার, নাগিন, আনারকলি, লাইলী মজনু, লালু ভুলু, স্বাক্ষর, দেবর ভাবী, রাম রহিম জন, আদরের বোন, দরবার, সতীনের সংসার।
অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনার কাজও করেছেন রাজ্জাক। ১৬টির মতো ছায়াছবি পরিচালনা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন :
এম/জেএইচ