অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বয়স্ক জীববিজ্ঞানী ড. ডেভিড গুডল ১০৪ বছর বয়সে এসে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তিনি নিজের দেশ ছেড়ে সুইজারল্যান্ডে যান সেখানকার আত্মহত্যায় সহায়তা আইনের সুবিধা পেতে।
আত্মহত্যার আগে ডেভিড গুডল জানান, তিনি সুস্থ আছেন কিন্তু চলাফেরা করতে পারছেন না। গত কয়েক বছরে তার জীবন প্রায় নিস্তেজ হয়ে গেছে এবং তিনি এখন এটাকে শেষ করতে পারলেই বেশি খুশি হবেন।
গুডল তার শরীরে অনুভূতিনাশক হিসেবে ব্যবহৃত পেন্টোবারবিটাল (একটি ম্যালেরিকোটিক এবং স্যাডাইটিভ বারিবটিউরেটেড ড্রাগ, যা অনিদ্রা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করা হয়।) প্রবেশ করান, যা অধিক মাত্রায় নেয়া হলে প্রাণঘাতী হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুডলকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
রাইট-টু-ডাই গ্রুপ এক্সিট ইন্টারন্যাশনাল জানায়, স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার পরপরই আত্মহত্যার পরিকল্পনা শুরু করেন গুডল। এক্সিট ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক বলেন, গুডলের জ্ঞান হারানোর আগের কথাগুলো ছিল, ‘এটি অত্যন্ত বেশি সময় নিচ্ছে।’
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : বারিসান ন্যাশনাল জোট থেকে পদত্যাগ নাজিব রাজাকের
--------------------------------------------------------
ডেভিড গুডল অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বয়স্ক বিজ্ঞানী। ৭০ বছরের ক্যারিয়ারে পরিবেশ বিষয়ে তিনি শতাধিক গবেষণাপত্র লিখেছেন। তিনি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার এডিথ কাওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দশক ধরে গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।
প্রতি বছর কয়েশ মানুষ সুইজারল্যান্ডে যান আত্মহত্যার জন্য। সুইজারল্যান্ডে আত্মহত্যায় সহায়তা বৈধ কিন্তু অনেক ডাক্তার এটাকে সমর্থন করেন না।
আরও পড়ুন :
কে/পি