প্রস্তুতি ম্যাচেও এই আফগানিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপের বাচাই পর্ব শুরু করেছিল দু’বারের বিশ্বকাপ জয়ী ওয়েস্টইন্ডিজ। বাচাইপর্বের ৪ ম্যাচেই জয় পেয়েছিল ক্যারিবীয়রা। যেখানে গ্রুপ পর্বের খেলায় ৪ ম্যাচের তিনটিতে হেরে খাদের কিনারায় থাকা আফগানরা এক জয়ে কোনরকম জায়গা করে নেয় সুপার সিক্স পর্বে। আফগানদের চমক কি তবে এখান থেকেই শুরু! বলাই যায়।
হারারেতে সুপার সিক্সের খেলায় দু’দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে। টস জিতে ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। যে দলে ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, মার্লন স্যামুয়েলসের মতো বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানরা থাকে সেখানে আফগানদের মতো দলকে রানের পাহাড়ে ঢেকে দেয়াই যায়।
কিন্ত বিধি বাম। উলটো আফগান বোলারদের কাছেই ঢাকা পড়ে গেইল-স্যামুয়েলসরা। বল হাতে এক প্রান্ত থেকে শুরু করেন পেসার দৌলত জারদান আর অন্য প্রান্তে সদ্য দলে ডাক পাওয়া স্পিনার মুজিব উর রহমান। জারদান রানের দিকটা চেপে ধরলেও মাত্র ৩৩ রান দিয়ে ১০ ওভারে ৩ উইকেট তুলে নেন মুজিব।
গেইল ১৯ বল খেলে মাত্র ১ রান করে আউট হন। এভিন লুইসের ব্যাটে আসে ৬০ বলে ২৭ রান। মাঝে মোহাম্মদ নবীর বলে কাটা পড়েন ৩৩ বলে ১৫ রান করা হেটমায়ার আর ৭০ বলে ৩৬ করা মারলন স্যামুয়েলস।
উইন্ডিজ ব্যাটম্যানদের যাওয়া আসার মিছিলে দলীয় সর্বোচ্চ রান করেন শাই হোপের। হোপ খেলেন ১১০ বলে ৪৮ রানের ইনিংস।
মুজিব-নবীদের বিধ্বংসী বোলিংয়ের কাছে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৭ রান।
১৯৮ রানের লক্ষ্য দাড় করে দিয়ে হয়তো ক্যারিবীয়রা ভাবেনি এই ম্যাচেও হারতে হবে তাদের। কেননা আফগান দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহাজাদ আর জাবেদ আহমাদি ফেরেন খুব দ্রুতই। শাহাজাদের ব্যাটে আসে ৮ আর জাবেদের ব্যাটে আসে মাত্র ১ রান।
কিন্তু তিন নম্বরে খেলতে আসা রহমত শাহার স্থির ব্যাটিংয়ে একে একে শামিউল্লাহ সানোয়ারি, মোহাম্মদ নবীদের সাথে জুটি গড়ে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান দলকে।
নবী করেন ৩১ রান। শেনওয়ারি করেন ২৭ রান। শাহার ব্যাটে আসে ১৪৮ বলে ৬৮ রান।
উইন্ডিজদের হয়ে ৩৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান জেসন হোল্ডার। ১৪ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান।
গ্রুপ পর্বে ধুকতে থাকা আফগানিস্তানের বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন কি তবে এখান থেকেই শুরু!
এমআর/এএ