রাজনীতি বা ক্রিকেট ভারত-পাকিস্তানের পাশে ‘লড়াই’ শব্দটি চলে আসে। দেশ দুটির মধ্যেকার চলমান কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন শহীদ আফ্রিদি এবং গৌতম গম্ভীর।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পাকিস্তান সাবেক অধিনায়ক আফ্রিদি পোস্ট করেন। এতে তিনি বলেন, ‘ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং উদ্বেগজনক।’
ভারতীয় দলের সাবেক ওপেনার গম্ভীর এর জবাবে টুইট করেন, ‘আফ্রিদির অভিধান জড়বুদ্ধিগ্রস্ত।’
আফ্রিদি আর গম্ভীরের মধ্যে এ বাকযুদ্ধ শুরু হয় এ ঘটনার পরই যখন আফ্রিদি ভারতকে ‘নিপীড়ক শাসকচক্র’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জাতিসংঘের (ইউএন) হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: সৌম্য তাণ্ডব!
--------------------------------------------------------
তিনি লেখেন, ‘কাশ্মীরের নিরপরাধ লোকেরা নিপীড়ক শাসকচক্রের গুলিতে নিহত হচ্ছে, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার এবং স্বাধীনতার কণ্ঠ রোধ হচ্ছে।’
এর পর গৌতম গম্ভীর কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে আফ্রিদির মূল্যায়নকে প্রত্যাখ্যান করে লেখেন, ‘লোকে বলছে আমাকে প্রতিক্রিয়া জানাতে । কি আর বলবো? আফ্রিদি শুধু ইউএন-কে খুঁজছে, তার জড়বুদ্ধিসম্পন্ন অভিধানে যার অর্থ হচ্ছে অনুর্ধ-১৯।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সংবাদ নিশ্চিন্তে থাকুন, আফ্রিদি নো-বলে উইকেট নিয়ে উল্লাস করছে।’
জবাবে আফ্রিদি আরেকটি টুইট করেন একটি ছবি দিয়ে - যাতে তাকে ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে।
এতে তিনি লেখেন ‘আমরা সবাইকে সম্মান করি, এটাই খেলোয়াড়দের করা উচিত। কিন্তু মানবাধিকারের কথা উঠলে আমরা নিরপরাধ কাশ্মীরীদের জন্য সেই সম্মানই প্রত্যাশা করি।’
কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে শুধু যে আফ্রিদিই কথা বলেছেন তাই নয় - টুইট করেছেন ইমরান খানও - যিনি পাকিস্তানের ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক এবং এখন রাজনীতিবিদ।
ইমরান খানও ‘ভারতীয় বাহিনীর বর্বরতার নিন্দা করে’ জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
১৯৪৭ সালের ব্রিটিশ ভারত ভেঙে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮০ সাল থেকে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সহিংসতা চলছে এবং তাতে কয়েক হাজার লোক নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ওয়াই/পি