নদীর তীরে স্থাপনা করতে লাগবে অনুমতি
এখন থেকে নদী তীরবর্তী স্থান বা প্লাবনভূমিতে সরকারি কোনো স্থাপনা নির্মাণের আগে ‘জেলা সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির’ মতামত নিতে হবে। সম্পদ রক্ষায় এই উদ্যোগ নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি চিঠি সব মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবের কাছে পাঠিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
গত ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী নদীর পাড়ে বা চরে কোনো ধরনের সরকারি অফিস, বাসভবন, স্কুল ও কলেজ নির্মাণ না করার নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, স্কুল-কলেজের ক্ষেত্রে সহজে খুলে সরিয়ে নেয়া যায় এ রকম নির্মাণ কৌশল এবং ডিজাইন করে তৈরি করতে হবে।
ভবিষ্যতে নদী তীরবর্তী স্থান বা প্লাবনভূমিতে সরকারি কোনো অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণের আগে ‘বাংলাদেশ পানি বিধিমালা ২০১৮’ অনুযায়ী গঠিত জেলা সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির পরামর্শ মতামত গ্রহণে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
বলা হয়েছে, বর্ষাকালে বন্যা ও বন্যা পরবর্তী সময়ে নদী ভাঙনের বিষয়টি নদীবিধৌত বাংলাদেশের জন্য একটি পুরনো সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে সরকার শতবর্ষী পরিকল্পনা ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ গ্রহণ করেছে। এর আওতায় সমন্বিতভাবে নদী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বন্যা মোকাবিলায় প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
কোনো প্রকার যাচাই ছাড়া নদী ভাঙনের সম্ভাবনা আছে এমন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ, মন্দির, রাস্তা, কালভার্ট, সেতু, সাইক্লোন সেল্টারসহ অন্যান্য স্থাপনা) নির্মাণ করা হয়। নদী ভাঙনের ফলে এসব স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ পরিস্থিতি থেকে সরকারি অর্থ ও সম্পদ রক্ষায় অবকাঠামো নির্মাণের স্থান নির্বাচনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এক্ষেত্রে ‘সরকারি বিভিন্ন দপ্তরগুলো নদীর ভাঙনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম প্রকল্প গ্রহণের আগে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে অবকাঠামো নির্মাণের স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে সঠিক দিক নির্দেশনা ও মতামত গ্রহণ করতে পারে, যা উন্নয়ন বিনিয়োগের স্থায়িত্ব রক্ষায় সহায়ক হবে।’
জিএ
মন্তব্য করুন