সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় প্লাটফর্ম ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন এক নারী। প্রেমের পর কৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ এবং পরবর্তীতে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আব্দুল আহাদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেপ্তারের সময় তার হেফাজত থেকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও দু’টি সিম উদ্ধার করা হয়। সোমবার ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা-সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মহিদুল ইসলাম, পিপিএম বলেন, ফেসবুকে পরিচয় থেকে নিয়মিত কথোপকথন হওয়ায় তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার আহাদ ভিকটিমকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখায়। ভিকটিম তার ব্যবহৃত মেইল অপারেট করতে সমস্যা হওয়ায় মেইল-এর আইডি ও পাসওয়ার্ড সরল বিশ্বাসে আহাদকে দেয়। কথোপকথনের সময় গ্রেপ্তার ভিকটিমকে শরীরের বিভিন্ন অংশের ছবি দিতে বলে। ছবি না দিলে মেইল আইডির মাধ্যমে ভিকটিমের ফেসবুক আইডিতে ঢুকে ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম বাধ্য হয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশের ছবি আহাদের ফেসবুক মেসেঞ্জারে প্রেরণ করে।
তিনি আরও বলেন, আহাদ পরবর্তীতে ভিকটিমের ছবি পেয়ে তাকে শারীরিক সম্পর্ক করার কু-প্রস্তাব দেয়। তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। অতঃপর ভিকটিমের অভিযোগে লালবাগ থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তের অবস্থান শনাক্ত করে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র : ডিএমপি নিউজ।