• ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১
logo

ইতিহাসের পাতায় ৫ আগস্ট

আরটিভি নিউজ

  ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১৭:১৩
ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পরাজয় হলো টানা ১৫ বছর পর। আজ সোমবার (৫ আগস্ট)। বাঙালি জাতির স্মরণীয় একটি দিন। কোটা আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা গণভবন থেকে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন।

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লং মার্চ টু ঢাকা ছিল সোমবার (৫ আগস্ট)। এর আগে দুইদিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গড়ে ওঠা এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পুরো জুলাই মাসজুড়ে চলে এই আন্দোলন। একপর্যায়ে সরকার কোটা সংস্কার করে। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার জেরে এক দফা দাবি ওঠে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আজ বেলা ১১টার পর থেকে ঢাকার পথে ঢল নামে মানুষের। কারফিউ উপেক্ষা করে বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে শুরু করেন তারা। এক পর্যায়ে শাহবাগ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।

এর আগে সোমবার দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনাকে নিয়ে উড্ডয়ন করেন। এ সময় তার ছোট বোন শেখ রেহানাও সঙ্গে ছিলেন।

বিকেলে ৪টায় আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করবো এবং এই সরকারের মাধ্যমে দেশের সব কার্যকলাপ চলবে। আমরা এখন মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যাবো। গিয়ে এই সরকারের গঠনের ব্যাপারে আলোচনা করবো।

জাতির উদ্দেশে ভাষণে সেনাপ্রধান বলেন, আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি সব হত্যা, সব অন্যায়ের বিচার আমরা করবো। আপনারা সেনাবাহিনীর প্রতি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আস্থা রাখেন। আমি সব দায়দায়িত্ব নিচ্ছি। আপনাদের জানমাল। আপনাদের কথা দিচ্ছি, আপনারা আশাহত হবেন না। ইনশাআল্লাহ আপনাদের যত দাবি আছে সেগুলো আমরা পূরণ করবো এবং দেশে একটা শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবো। আপনারা আমার সাথে সহযোগিতা করেন। দয়া করে আর এই ভাঙচুর, হত্যা, মারামারি, সংঘর্ষ থেকে বিরত হন।

সেনাপ্রধান আরও বলেন আমি নিশ্চিত যে আপনারা যদি আমার কথামতো চলেন, আমাদের সাথে যদি কাজ করি আমরা। নিঃসন্দেহে আমরা একটা সুন্দর পরিণতির দিকে অগ্রসর হতে পারবো। আপনারা আমাকে দয়া করে সাহায্য করেন। মারামারি করে এই সংঘাতের মাধ্যমে আমরা আর কিছু অর্জন (অ্যাচিভ) করতে পারবো না। আর কিছু পাবো না।

তিনি বলেন, সুতরাং দয়া করে আপনারা সমস্ত ধ্বংসযজ্ঞ, সমস্ত অরাজকতা, সমস্ত সংঘর্ষ থেকে বিরত হন। এবং ইনশাআল্লাহ আমরা সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হবো।

সেনাপ্রধান বলেন, আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি সব হত্যা, সব অন্যায়ের বিচার আমরা করবো। আপনারা সেনাবাহিনীর প্রতি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আস্থা রাখেন। আমি সব দায়দায়িত্ব নিচ্ছি। দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবো।

এর আগে, দুপুরে সেনা সদরদপ্তরে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

উল্লেখ্য, জুলাইয়ের শুরুতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। প্রথম সপ্তাহ রাজধানীর শাহবাগ ঘিরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলে। ১৪ জুলাই পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। এরপর দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সারাদেশে স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে আন্দোলন। বাড়তে থাকে প্রাণহানি। অবশেষে সরকার পতনের এক দফা দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে ছাত্র-জনতা।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের ট্রফি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে টাইগাররা
৫ আগস্টের পর আরেকটি দল লুটের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: ফয়জুল করীম
ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ে যাদের কৃতিত্ব দিলেন তামিম
ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পর মুখ খুললেন সাকিব