ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজানের ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লাসহ দেশের আটটি জেলা। দুর্গত এলাকাগুলোতে জনগণের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব দপ্তর, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া আকস্মিক এ বন্যা পরিস্থিতিতে দুর্গত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডেরও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দপ্তরগুলোর সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর ও দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও।
বন্যাকবলিত অঞ্চলের জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা ও ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা জানিয়েছেন, চলমান বন্যায় দেশের ৮টি জেলার ৩৫৭টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৪০টি পরিবার। মোট ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ লাখ ৪ হাজার ৯৬৪ জন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। তাদের একজন ফেনীতে, অন্যজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ- দেশের এই আটটি জেলার বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। বন্যা দুর্গতদের নিরাপদে রাখতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৫৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।