পরীবাগে এসআইয়ের ওপর হামলাকারীরা হিজড়া নয়!
রাজধানীর পরীবাগে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাহিদুল ইসলামের ওপর হামলাকারীরা প্রকৃতপক্ষে হিজড়া নয়। সোমবার (৩ জুন) এমনটাই দাবি করেছেন রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘হিজড়ারাও আমাদের সমাজের একটি অংশ। কিন্তু কিছু হিজড়া দুষ্টু। তারা কমিউনিটি নিয়ে চলে। তাদের সঙ্গে আবার কিছু আছে সুস্থ মানুষ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পুরুষাঙ্গ ঠিকই আছে। তবে মেডিকেল পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘তথাকথিত এসব হিজড়াকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘পরীবাগের ঘটনা আমাদের অবাক করেছে, হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
ডিসি বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (৩ জুন) সাথী ওরফে পাভেল নামে একজনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তানিয়া, তন্নী ওরফে তিথী, কেয়া নামে অপর তিন আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে যেসব হিজড়া সড়ক, পরিবহন ও বিভিন্ন বাসাবাড়িতে চাঁদাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে গত ছয় মাস ধরে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। ডিএমপির আট বিভাগেই এ ধরনের সমস্যা রয়েছে।’
ডিসি মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার (৩১ মে) ভোর রাতে এসআই আনোয়ারুল ইসলাম ও এসআই মো. মোজাহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ইস্কাটন গার্ডেনে নেভি কোয়ার্টার্সে ডিউটিরত অবস্থায় পরীবাগ ফুটওভার ব্রিজের কাছে কয়েকজন রিকশাচালক ও পথচারীর চিৎকার শুনতে পান। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কয়েকজন হিজড়া বা হিজড়া বেশধারীকে ছিনতাই করতে দেখতে পান। পুলিশের টিমটি ছিনতাইয়ে বাধা দিলে তারা পুলিশ সদস্যদের ওপর ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ইট-পাথরের একটি টুকরা এসআই মোজাহিদুলের চোখে লাগে। তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। তখন হিজড়াদল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’
তিনি জানান, ‘আহত মুজাহিদকে রাজারবাগ সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতাল ভর্তি করা হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।’
মন্তব্য করুন