ঢাকাসোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২

মিন্নি ছিলো না কিশোরের বাইকে, রিফাতের বাবা বাড়ি গেলেন গ্যানম্যান নিয়ে   

বরগুনা প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০২:৫৬ পিএম


loading/img
রায়ের আগে মেয়েকে নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন মোজম্মেল হক কিশোর

বহুল আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে মেয়ে মিন্নিকে হোন্ডায় করে আদালতে হাজির হতেন মিন্নির বাবা। আজও সবার আগে মিন্নিকে নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তবে বাড়ি ফেরার সময় খালি হোন্ডায় ফিরতে হয়েছে তাকে। অন্যদিকে রিফাতের বাবা কড়া নিরাপত্তায় দুজন গানম্যান নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে মিন্নির মৃত্যুদণ্ডের রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মিন্নির বাবা মোজম্মেল হক কিশোর বলেছেন, আমরা উচ্চ আদালতে যাব। সঠিক বিচার পাইনি।

আজ বুধবার দুপরে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জাম চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার ঘোষণা করেন।।

বিজ্ঞাপন

এই মামলায় ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

এর আগে সকাল নয়টার দিকে রিফাতের স্ত্রী এ মামলার অন্যতম আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি তার বাবা মোজম্মেল হক কিশোরের মোটরসাইকেলে করে আদালতে উপস্থিত হন। মামলার আসামিদের মধ্যে কেবল তিনিই জামিনে ছিলেন।

গেলো বছরের ১৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে নয়ন বন্ড ও তার বন্ধুরা রিফাত শরীফকে ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়। ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়। ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।

রায় ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় তিনস্তরের কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আদালত প্রাঙ্গণ, প্রবেশপথ ও আশপাশের এলাকায় কড়া পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছে। আদালতের ভেতরে সাদা পোশাক ও ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। নিরাপত্তাবেষ্টনী অতিক্রম করে আদালতে প্রবেশ করেন বিচারপ্রার্থীসহ সাংবাদিকরা।

জেবি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |