বিড়িতে বৈষম্যমূলক শুল্ক প্রত্যাহারসহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বগুড়া জেলা বিড়ি শ্রমিক ও কর্মচারী ঐক্য ইউনিয়ন। সোমবার সকাল ১১টায় বগুড়া রাজস্ব কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ও বগুড়া জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি মোঃ আব্দুস সালামসহ নেতারা।
তারা বলেন, ক্রমাগত মূল্যস্তর ও শুল্ক বৃদ্ধি এবং বৈষম্যমূলক নীতির কারণে শত শত বিড়ি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কাজ হারিয়ে কয়েক লাখ শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। মানববন্ধন শেষে এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী বলেন, দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পে সমাজের অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলাঙ্গসহ নদী ভাঙন কবলিত ও চর এলাকার মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু শ্রমিকদের কর্ম রক্ষার্থে অনতিবিলম্বে বিড়িতে বৈষম্যমূলক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
কার্যকরী সভাপতি মোঃ আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, ‘চলতি বাজেটে প্রতি প্যাকেট বিড়ির মূল্যস্তর ৪ টাকা বাড়ানো হলেও সিগারেটে মাত্র দুই টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা চরম বৈষম্যমূলক ও বিড়ি শিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ ধরনের অনাকাঙ্খিত মূল্যস্তর বৃদ্ধিতে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। বিড়ির মূল্যস্তর বৃদ্ধিতে বিড়ির বাজার নকলবাজদের দখলে চলে যাচ্ছে। ফলে সরকার বিড়ি থেকে প্রকৃত ট্যাক্স আহরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বগুড়া জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, বিড়ি শ্রমিকরা চরম অসহায়ত্বে জীবন যাপন করছে। শুল্ক বৃদ্ধির ফলে তারা কর্ম হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ছে। বিড়িতে শুল্ক কমিয়ে বঙ্গবন্ধুর সময়ে বিড়ি শ্রমিকদের যেভাবে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল সেভাবে সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
পরে বগুড়া রাজস্ব কর্মকর্তার মাধ্যমে এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়। স্মারকলিপিতে বিড়ির উপর অতিরিক্ত ৪ (চার) টাকা মূল্যস্তর প্রত্যাহার, বিড়িতে অগ্রিম ১০% আয়কর প্রত্যাহার, সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও ৩টি মূল্যস্তরকরণ, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি ও ব্যান্ডরোলবিহীন বিড়ির ব্যবসা বন্ধ এবং ভারতের মতো বিড়িশিল্পকে সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
পি