সিরাজগঞ্জ শিল্পপার্ক স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। কিন্তু এ প্রকল্পে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহমেদসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১০ এপ্রিল) এই সমস্যার বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে এর আগে বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান ২৩ মার্চ এ অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান।
বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান এক লিখিত অভিযোগে জানান, সিরাজগঞ্জ শিল্পপার্ক স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। ৪০০ একর জমির ওপর নির্মিত শিল্প পার্কটির মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। দেশি-বিদেশি আধুনিক শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে কমপক্ষে ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
এই প্রকল্পের সীমানা প্রচীর, রাস্তা, অফিস ভবন ও ড্রেন-কালভার্টসহ বিভিন্ন কাজের মালামাল প্রবেশে স্থানীয়ভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। চাঁদাবাজি ও অযথা উৎপাতের কারণে প্রকল্পের কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। এসব কাজে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ বিন আহমেদ, ছোবহান আলী ও রফিক গং বাহিনী জড়িত বলে ওই অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।
এই সমস্যা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে করা এসব লিখিত অভিযোগের কপি পাঠানো হয়েছে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), পুলিশ সুপার, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক, র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য বরাবর। তাদের সকলের কাছে প্রকল্প বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ বিন আহমেদ বলেন, প্রকল্পের সীমানা প্রচীর, রাস্তা, অফিস ভবন, ড্রেন-কালভার্ট কাজের সাব ঠিকাদার আমি নিজেই। এখানে চাঁদা বা হুমকির প্রশ্নই ওঠেনা। প্রকল্পের মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাজেদ অ্যান্ড সন্স আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিতে পারে।
এই সমস্যা বিষয়ে বিসিক শিল্পপার্ক সিরাজগঞ্জের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সাজিদুল ইসলাম বলেন, বিসিক শিল্প-পার্কের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরাসরি ঢাকা অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি আমি শুনেছি। ঢাকা অফিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
জিএম