একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের দুই রাজাকারের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার দুপুর ১২টায় বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন।
বুধবার বেলা পৌনে ১১টায় কিশোরগঞ্জের দুই আসামির রায় পড়া শুরু করেন আদালত।
মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসেবে হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন, অপহরণ ও নির্যাতনের ছয় অভিযোগ রয়েছে এই দুই আসামির বিরুদ্ধে। ট্রাইবুনালের বিচারে আসামিদের বিরুদ্ধে সবকটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
রায় পড়ার শুরুতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক বলেন, দুই রাজাকারের যে রায় দেয়া হচ্ছে তা এসেছে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। এর পরে বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী রায়ের সার সংক্ষেপ পড়া শুরু করেন।
অভিযুক্তরা হলেন সৈয়দ মো. হুসাইন ও মোহাম্মদ মোসলেম প্রধান। এর আগে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গেলো ৭ মার্চ রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ঠিক করে আদেশ দেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও তাপস পাল। আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
গেলো বছরের ৯ মে এই দুই রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রসিকিউটর সৈয়দ মো. হুসাইন ও মোহাম্মদ মোসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী ৬টি অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেয়।
এর আগে ২০১৫ সালের ৭ জুলাই এই দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার কামারহাটি গ্রাম থেকে মোসলেমকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে সৈয়দ মো. হুসাইন মালয়েশিয়ায় পালিয়ে রয়েছেন।
২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হুসাইনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়, ওই অভিযোগ তদন্ত চলাকালে মোসলেম প্রধানের নাম উঠে আসে। সৈয়দ মো. হুসাইন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার রাজাকার কমান্ডার পলাতক সৈয়দ মো. হাসান আলীর ভাই।
এইচটি/এসএস