বরগুনার পাথরঘাটায় গত ২৪ ঘণ্টায় বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে গেছেন।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার সাইফুল হাসান।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রার থেকে জানা গেছে, গতকাল রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে ৩০ জন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।এরমধ্যে চার বছরের শিশু রিফাতের অবস্থা বেশি গুরুতর।
পাথরঘাটা পৌর শহরের বাসিন্দা বিমল চন্দ্র শীল বলেন, সোমবার সকালে বাজারে যাওয়ার পথে পিছন থেকে একটি কুকুর পায়ে কামড় দেয়। এলাকার লোকজন এসে কুকুরকে ধাওয়া দিয়ে আমাকে রক্ষা করে। এতে আমার পায়ের গোড়ালি ছিঁড়ে গেছে।
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের শিশু রিফাতের বাবা আব্দুল্লাহ বলেন, রোববার বিকেলে বাড়ির পাশে বসে খেলার সময় একটি কুকুর কামড় দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে। রিফাতের শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাংস তুলে ফেলে। চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে রিফাতকে রক্ষা করে। আশেপাশে লোকজন না থাকলে কুকুরের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচানো সম্ভব হতো না।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ডাক্তার অরবিন্দ দাস বলেন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কুকুর নিধন দণ্ডনীয় অপরাধ। সে ক্ষেত্রে জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই অতি শিগগিরই পৌরসভা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক ডেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আলোচনা করে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হবে।
এমআই/এসকে