বর্ডার হাট চালুর ফলে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধনের সৃষ্টি হবে। দেশে বেশ কয়েকটা বর্ডার হাট চালু হয়েছে, আরও ৬টা হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কুরমাঘাট সীমান্তে বর্ডার হাটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এ হাট স্থাপনের কারণে দুই দেশের মানুষের জানাশোনা হবে। সহজেই ভারতের পণ্যসামগ্রী এ দেশের মানুষ কিনতে পারবেন, এ দেশের পণ্যসামগ্রীও তারা নিতে পারবেন।
প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ সীমান্ত হাটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সরকারি অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. আবদুস শহীদ এমপি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, সহকারী হাইকমিশনার নিরাজ কুমার জেশওয়াল, মৌলভীবাজারের জেলা প্রসাশক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমানসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই অনুষ্ঠান শেষে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই দুদেশের মধ্যে সুন্দর সম্পর্কের জন্য। এ সম্পর্ককে বাণিজ্যিক সম্পর্কে পরিণত করে বর্ডার হাট নির্মাণে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় হবে। আজকের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আসার পর দেখেছি একসময় ত্রিপুরা থেকে ২৭ লাখ টাকা এক্সপোর্ট হতো। এখন ১৩৪ কোটি টাকা ত্রিপুরা দিয়ে এক্সপোর্ট হয় বাংলাদেশে। এক সময় সেটি বেনাপোল দিয়ে হতো। তবে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ব্রিজ ইতোমধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে ত্রিপুরা রাজ্যের কমলপুর স্কুলে আলোচনায় অংশ নিতে ভারতে প্রবেশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
জিএম/টিআই