নওগাঁর বদলগাছীতে সরকারি ঘর বরাদ্দ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বালুভরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আনন্দ কুমার শীলের বিরুদ্ধে। গত ২ মার্চ রাতে বদলগাছী উপজেলার বালুভরা ইউনিয়নের কোমারপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে গতকাল শুক্রবার (৫ মার্চ) বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৩৬ বছরের ওই বিধবা অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে জীবনযাপন করেন। ইউপি মেম্বার আনন্দ কুমার শীলের চাচাতো ভাই রবিন্দ্রনাথ শীলের বাড়িতেও ঝিয়ের কাজ করেন তিনি। চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে আসা যাওয়ার পথে আনন্দ কুমার শীল প্রায়ই বিধবাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। কিন্তু নিজের সম্মানের কথা ভেবে আনন্দকে এড়িয়ে চলতেন বিধবা।
গত ২ মার্চ রবীন্দ্রনাথ শীলের বাড়িতে কাজ শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই বিধবা। এ সময় আনন্দ কুমার শীল পথরোধ করে তাকে সরকারি ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলেন। পরে এ বিষয়ে দিনের বেলায় কথা বলতে চান ওই বিধবা।
বিধবার অভিযোগ, মেম্বার তাকে ঘর দেয়ার কথা বলে তার কুপ্রস্তাবে রাজি হতে বলেন। কিন্তু রাজি না হওয়ায় বিধবাকে জাপটে ধরে টেনে হিঁচড়ে পাশের বাগানে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি চিৎকার শুরু করলে তাকে ছেড়ে পালিয়ে যান মেম্বার। পরে বাড়ি গিয়ে বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান বিধবা।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আনন্দ কুমার শীল মেম্বার হওয়ার পর থেকেই আমাকে রাস্তাঘাটে বিরক্ত এবং কুপ্রস্তাব দিতো। আমার ফোন নম্বর চাইতো কথা বলার জন্য। এক পর্যায়ে আমাকে সরকারি বরাদ্দের ঘর দেয়ার প্রলোভন দিয়ে তার সাথে গোপন সম্পর্ক করতে বলে। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। বুধবার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমাকে রাস্তায় থামিয়ে কথা আছে বলে জাপটে ধরে রাস্তার পাশে বাগানে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে তার কাছ থেকে কোনোক্রমে ছুটে আসি।’
বিধবা আরও বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
অভিযোগের বিষয়ে মেম্বার আনন্দ কুমার শীল বলেন, মানুষের ভালবাসায় এবার নিয়ে তিনবার আমি নির্বাচিত হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সম্মানহানীর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলার বালুভরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল এমরান হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী ওই মহিলা একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিস্তারিত জানতে চাইলে মহিলা আমাকে জানায়, মেম্বার তাকে বিরক্ত করতো ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে।