‘দগ্ধদের রক্ত নয়, মৃত্যু হবে ফ্লুইডের অভাবে’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনারের ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন অন্তত ৪৫০ জন ব্যক্তি। এসব ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ (চমেক) আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় আহতদের জন্য রক্তের হাহাকার দেখা দিয়েছে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।

• আরও পড়ুন... সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড : ১৫ ঘণ্টা পর বার্তা পাঠাল মালিকপক্ষ (ভিডিও)

বিশেষ করে এবি পজেটিভ ‘ও’ নেগেটিভ এবং ‘এ’ নেগেটিভ রক্তের চাহিদা বেশি। স্বেচ্ছাসেবকরা প্ল্যাকার্ড হাতে নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন লেখা কাগজ নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এবং রক্তের প্রয়োজন জানিয়ে রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরাও হ্যান্ডমাইকে একের পর এক ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে আহতদের সাহায্যে চমেক হাসপাতালে শত শত স্বেচ্ছাসেবক ও সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছেন।

এমন এক সময়ে দগ্ধদের রক্ত নয়, মৃত্যু হবে ফ্লুইডের অভাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় অবস্থিত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক।

• আরও পড়ুন... 'মামা আমার মেয়েটার মুখ আর দেখা হলো না'

মঙ্গলবার সকালে এ বিষয়ে তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি ৩টি বিষয় উল্লেখ করেছেন। 

এর মধ্যে রয়েছে- রক্তের অভাবে নয়, মৃত্যু হবে পর্যাপ্ত ফ্লুইডের অভাবে। কাজেই রক্তদাতারা অপেক্ষা করাই ভালো হাসপাতালে ভিড় না করে।

• আরও পড়ুন... ক্লান্ত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা

তিনি আরও বলেন, পুড়ে যাওয়া ব্যক্তির ভেইন পাওয়া খুবই দুরূহ। কাজেই এক্সপার্ট ছাড়া অন্য কারও সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভিড় না করাই উচিত। এবং প্রশিক্ষিত নার্সিং স্টাফ প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। আশপাশের জেলা থেকে হলেও বেশি নার্সিং স্টাফ আনা হয়তো দরকার বলে মত দেন তিনি।

গতকাল শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুন লাগে। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৪১ ছাড়িয়েছে এরই মধ্যে।

• আরও পড়ুন... ‘বাবা, আমি মারা যাচ্ছি’