চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ের থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে রেলওয়ের থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম মো. বাবুল হোসেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। তাতে তিনি জানিয়েছেন, থানায় গেলে পুলিশ ‘মান-সম্মানের’ কথা ভেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে মানা করে।
ওই অভিযোগপত্রে তিনি জানান, সকালে শাটল ট্রেনের দ্বিতীয় বগিতে তিনি ও বাবুল ছাড়াও আরও দুজন ছিলেন। ওই দুজন ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন বাবুল তার কাছে এগিয়ে গেলে তিনি ৯৯৯- এ কল দেন। সংযোগ না পেয়ে এক সহপাঠীকেও কল দেন। এর মধ্যেই বাবুল তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি চিৎকার করলে বাবুল দৌঁড়ে পালিয়ে যান। এর মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা দুই আরোহী জেগে উঠে বিষয়টি বুঝতে পারেন ও বাবুলকে ধরতে যান। ততক্ষণে বাবুল ট্রেন থেকে নেমে যান।
ওই তরুণীর অভিযোগ, থানায় যাওয়ার পর পুলিশ তাকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না করতে পরামর্শ দেয়।
তিনি প্রক্টরকে দেওয়া অভিযোগপত্রে লেখেন, পুলিশ আমার লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করবে বলে আমার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর জিজ্ঞেস করে। এরপর পুলিশ আমাকে ঘটনাটির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে নিষেধ করে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি।
ভিডিও ধারণে বাধা দেওয়া ও ঘটনা গোপন রাখতে বলার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওটার কী উত্তর দেব? ভুক্তভোগী আপনাকে কী বলছে, সেটা কী লিখবেন আপনি জানেন। সেটা আমাকে বলে লাভ নাই। আমাদের বিরুদ্ধে তো সবাই বলে। কতজনই তো বলে।
চবির অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোদাব্বের আহমেদ বলেন, আমার কাছে মেয়েটা অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। আমি প্রক্টরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। আমাকেও একটা কপি দিয়েছে। বাকি আইনি ব্যবস্থা আমি করে দিছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ভুক্তভোগী দুপুরে এসেছিল। আমরা রেলওয়ে থানার এসপিকে জানিয়েছি।