‘মেলা’ শব্দটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মনে আনন্দ অনুভূত হয়। কিন্তু সবার জন্য সে অনুভূতি আনন্দের নয়। বিষাদের পাহাড় জমেছে সাত বছর আগে ভাইয়ের সঙ্গে মেলায় গিয়ে হারিয়ে যাওয়া তুলির জীবনে। এখন প্রতিদিনই মা-বাবার জন্য কান্নাকাটি করছে ১৫ বছরের জেসমিন আক্তার তুলি নামের ওই কিশোরী।
জানা গেছে, আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর এলাকায় বসবাস করত তুলির পরিবার। তার বাবার নাম খাইরুল ইসলাম এবং মায়ের নাম লতিফা বেগম। বাবা ইঞ্জিনের নৌকায় কাজ করে সংসার চালাত। সাত বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভাইয়ের সঙ্গে মেলায় গিয়ে সে হারিয়ে যায়। পরে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রথমে ঢাকা তারপর টঙ্গী চলে আসে। বর্তমানে তুলি গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন বালিকা কেন্দ্রে রয়েছে।
আলী মাহমেদ নামের একজন সমাজকর্মী জানান, গত ৩১ আগস্ট শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের এডুকেটর রঞ্জিত অধিকারী তুলিকে নিয়ে আখাউড়ায় আসেন তার পরিবারের খোঁজে। পরে আখাউড়া খড়মপুর এলাকায় সরজমিনে গিয়ে খাইরুল ইসলাম নামের কোনো ব্যক্তির সন্ধান মেলেনি।
স্থানীয়র জানান, এ নামে খড়মপুর গ্রামে কেউ থাকে না। ৭ বছর আগের ঘটনা হওয়ায় এ বিষয়ে কেউ বিস্তারিত বলতে পারেনি।
শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের এডুকেটর রঞ্জিত অধিকারী মুঠোফোনে জানান, ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট থেকে তুলি আমাদের এখানে রয়েছে। স্থানীয় এনজিওর লোকজন তাকে আমাদের কাছে দিয়ে যায়। আমরা তুলির দেওয়া তথ্যমতে আখাউড়ায় তুলিকে নিয়ে সেখানকার আলী মাহমেদ নামে একজন সমাজকর্মীর সহযোগিতায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তার পরিবারের খোঁজ পাইনি।
এ বিষয়ে জেসমিন আক্তার তুলি কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমি আমার ভাইয়ের সাথে মেলায় গিয়ে হারিয়ে যাই। এখন আমি আমার মা বাবার কাছে যেতে চাই।