ঢাকারোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে সেই বিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থী

নীলফামারী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

রোববার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩ , ০৯:১১ এএম


loading/img

অবশেষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে নীলফামারীর টুপামারী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের আন্দোলনরত ১৫ শিক্ষার্থী। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভুলে ফরম ফিলাপ না হওয়ায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না এক শিক্ষার্থী। 

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩০ এপ্রিল) আন্দোলনরত ১৫ শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারা বিষয়টি নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১১টা ১০ মিনিটে নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহারের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা একাডেমিক সুপারভাইজার মিজানুর রহমান, ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মেজবাহুল হকসহ আরও অনেকে। এর আগে পরীক্ষার প্রবেশ পত্র না পাওয়ায় একই দিন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্কুলের বারান্দায় অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টা দিকে নীলফামারী-রামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

জেসমিন নাহার বলেন, বিষয়টি জানার পর শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেওয়া বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্রের জন্য সড়ক অবরোধ ও বিদ্যালয়ের বারান্দায় অবস্থান করছিল। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছি। আজকে বোর্ডের সার্ভারও সমস্যা ছিল। প্রবেশপত্রগুলো ডাউনলোড হচ্ছিল না। পরে ডাউনলোড হয়েছে। আমরা সেগুলো বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

বিজ্ঞাপন

জেলা শিক্ষা একাডেমিক সুপারভাইজার মিজানুর রহমান বলেন, ওই বিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষার্থীর সমস্যা ছিল বিভাগ পরিবর্তন ও ১৬ জনের সমস্যা ছিল রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র না পাওয়ার। রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র না পাওয়ার মধ্যে ১৫ জন পরীক্ষার্থী সমাধান হয়েছে।

নীলফামারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর ডিসি স্যারসহ দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করলে, তাদের প্রবেশপত্র আমাদের প্রেরণ করেন। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আমার একাডেমিক সুপারভাইজার, কেন্দ্রে সচিবসহ প্রতিষ্ঠানে ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়েছেন। আমিও একাধিকবার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে ফোন দিয়ে ছিলাম কোনো সাড়া পাইনি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থী বা অভিভাবকের পক্ষ থেকে যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করেন। তাহলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে কারণ দর্শনের নোটিশ করবো। সর্বশেষ সংবাদ কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ আপনারা যদি না লিখতেন, তাহলে আমরা জানতে পারতাম না।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |