নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় প্রতিবেশীর ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া চুতর্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রী একটি কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শ্রাবনী রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন দুপুরে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়।
জানা গেছে, গত ১০ মাস আগে ভুক্তভোগী শিশুটিকে প্রতিবেশী দাদা জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদুল খাঁ তার ভ্যানে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ভুক্তভোগী শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেন জাহিদুল। পরে এ ঘটনার প্রায় সাত মাস পর শিশুটির শারীরিক পরিবর্তন হলে বিষয়টি চাচির নজরে আসে। এ সময় তিনি স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে গর্ভে সন্তান থাকার বিষয়টি জানতে পারেন। পরে ভুক্তভোগী শিশুটি সব খুলে বললে চলতি বছরের ১৮ জুন শিশুটির দাদি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গত ২৫ আগস্ট রাতে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার হেলেঞ্চা এলাকা থেকে অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলামকে (৫৮) গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাহিদুল ইসলাম ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. নারগিস তানজিমা ফেরদৌস জানান, স্কুলছাত্রীর বয়স কম থাকায় মা ও নবজাতককে বাঁচানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। পরে শনিবার দুপুরে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। মা ও নবজাতক দুজনেই সুস্থ রয়েছে।
নির্বাহী অফিসার শ্রাবনী রায় জানান, শনিবার দুপুরে ওই ছাত্রী এক কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছে। মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ। ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই উপজেলা প্রশাসন ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়িয়েছে।